|
|
|
|
দুই জিএম ছ’ঘণ্টা ঘেরাও বিমানবন্দরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শক্তি বাড়ছে একটি ইউনিয়নের। তৃণমূল সমর্থিত বলে যাঁরা নিজেদের দাবি করেছেন। অন্য দিকে এখনও বেশ শক্তিশালী বাম সমর্থিত ইউনিয়ন। সারা ভারতে তারাই স্বীকৃত ইউনিয়ন। এই দুই ইউনিয়নের মাঝখানে পড়ে নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা কলকাতা বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষের। শুক্রবার নবগঠিত ইউনিয়নের সদস্যেরা কর্তৃপক্ষের দুই উচ্চপদস্থ কর্তাকে ছ’ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখেন। বিমানবন্দরের এক কর্তার কথায়, “এ ভাবে চললে অদূর ভবিষ্যতে বিমানবন্দরই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।” তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দোলা সেন শুক্রবার বলেন, “কলকাতা বিমানবন্দরে কোনও ইউনিয়নকেই দলের তরফে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।” দোলা আরও জানান, এ ভাবে বিমানবন্দরের ভিতরে উচ্চপদস্থ কর্তাদের ঘেরাও করে রাখাকে দলের পক্ষ থেকে নীতিগত ভাবে সমর্থনও করা হবে না। নতুন সংগঠনটির নাম এয়ারপোর্ট অথরিটি স্টাফ অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। সেই সংগঠনের সম্পাদক প্রদীপ সিকদারের দাবি, “শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু আমাদের ইউনিয়নকে অস্থায়ী অনুমোদন দিয়েছেন।” প্রদীপবাবুর অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের কোন কর্মী কোথায় ডিউটি করবেন, এত দিন ধরে তা ঠিক করে এসেছে বাম ইউনিয়ন। কর্তৃপক্ষের কর্তারা সেই কথামতো চলেছেন। তাঁর কথায়, “আমরা আর সেই অন্যায় মেনে নেব না। এক ব্যক্তি বহুবছর ধরে একই জায়গায়, সুবিধামতো সময়ে ডিউটি করার সুবিধা পাবেন না। সকলকে সব ডিউটি করতে হবে।”
সম্প্রতি তাঁদের ইউনিয়ন অফিসে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন বাম নেতারা। সম্প্রতি পাঁচ সদস্য বাম ইউনিয়ন ছেড়ে নবগঠিত ইউনিয়নে যোগ দিয়েছেন। বাম নেতাদের প্ররোচনায় ওই পাঁচ জনের নামেই শো-কজ জারি করা হয়েছে বলেও প্রদীপবাবুর অভিযোগ। এই সব অভিযোগ নিয়েই এ দিন কর্তৃপক্ষের দুই জেনারেল ম্যানেজার বিজয় গোস্বামী এবং জে কে গোয়েলকে ঘেরাও করা হয়। বিমানবন্দরের বাম ইউনিয়নের নেতা দীপঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, “তৃণমূল নেতাদের দাবি, তাঁদের কথামতো ডিউটি তালিকা বানাতে হবে। এই নিয়ে অফিসারদের ধাক্কাধাক্কি, মারধরও করা হয়েছে।” যা অস্বীকার করেছেন প্রদীপবাবু। বিজয়বাবু সন্ধ্যায় বলেন, “ঘেরাও? কই না তো! আমি এ বিষয়ে কোনও কথা বলব না।” |
|
|
|
|
|