|
|
|
|
এক বছরেও তৈরি হল না পুর-দমকল |
সঞ্জয় চক্রবর্তী ও শুভাশিস ঘটক |
পুরসভায় ক্ষমতায় এসেই তাঁদের ঘোষণা ছিল, অগ্নিকাণ্ডের মোকাবিলায় নিজস্ব একটি বাহিনী গড়ে তোলা হবে। রাজ্য দমকলবাহিনীর সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে সেই বাহিনী। কলকাতা পুরসভার কর্তাদের সেই ঘোষণার পরে কেটে গিয়েছে এক বছর। কিন্তু সেই সহায়ক দমকলবাহিনী গড়ার প্রাথমিক কাজই শুরু হয়নি এখনও। সম্প্রতি ভারতলক্ষ্মী স্টুডিও এবং নিউ মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পরে ওই বিষয়টি নিয়ে ফের নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে। কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, কিছু দিনের মধ্যেই ওই বাহিনী গঠনের কাজ শুরু করা হবে।
পুরসভার বক্তব্য, ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে লাভ হত রাজ্য দমকলবাহিনীর। দমকল-কর্তারাও জানান, অনেক সময়েই শহরের ঘিঞ্জি এলাকায় দমকলের ইঞ্জিনের ঢুকতে সমস্যা হয়। দেরি হয়ে যায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতেও। এতে অনেক সময়ে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাই আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে কোনও প্রশিক্ষিত বাহিনী যদি প্রাথমিক ভাবে মোকাবিলার কাজ শুরু করে, তবে দমকলেরও সুবিধা হয়।
এক দমকল-কর্তা জানিয়েছেন, পূর্ব ও উত্তর কলকাতার অনেক ঘিঞ্জি ও বস্তি এলাকায় এই রকম একটি সহায়ক বাহিনী আগুন নেভাতে খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠতে পারে।
পুরসভার পরিকল্পনাতেও বলা হয়েছিল, শহরের ১৪১টি ওয়ার্ডের উপরে নজর রাখতে ১৫টি বরোয় এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হবে। শুধু আগুন লাগার ঘটনাই নয়, বাড়ি ভেঙে পড়া বা অন্য কোনও বিপর্যয় হলেও দ্রুত সেখানে পৌঁছে যাবে সেই বাহিনী। কিন্তু এক বছরেও সেই কাজ আর এগোল না কেন?
এ ব্যাপারে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের পুর-বোর্ড গঠিত হওয়ার পরে পুরসভার নিজস্ব দমকলবাহিনী গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত তদানীন্তন বামফ্রন্ট সরকারকে বলা হয়েছিল। এই কাজের জন্য পুরসভা যে কয়েক কোটি টাকা দিতে প্রস্তুত, তা-ও জানানো হয়েছিল রাজ্যকে। কিন্তু বাম সরকারের তরফে সাড়া না-মেলায় কাজ এগোয়নি।”
কিন্তু এখন তো তৃণমূল কংগ্রেসের জোট সরকার ক্ষমতায় এসেছে?
মেয়র জানান, নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পরে পুরসভার নিজস্ব দমকলবাহিনী গড়ার প্রস্তাব নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও তোলা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে বলে দাবি করেছেন শোভনবাবু। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “বুধবার রাতে পুরসভার দমকলবাহিনী গড়ার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। বাহিনী গঠনের কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে।” |
|
|
|
|
|