|
|
|
|
খুলল বৃহত্তম বিদেশি লগ্নি আসার দরজা |
আরআইএল-বিপি চুক্তিতে সায় কেন্দ্রের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
প্রায় পাঁচ মাসের প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে বড় করে পা রাখার স্বপ্ন পূরণের পথে ‘লাল ফিতের বাধা’ সত্যিই টপকে গেল মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ। ভারতে তাদের ২১টি তেল ও গ্যাসের ব্লকের ৩০% অংশীদারি ব্রিটিশ বহুজাতিক বিপি-র কাছে বিক্রির চুক্তিতে অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভার আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি। যার দৌলতে শেষ পর্যন্ত খুলে গেল এ দেশের ইতিহাসে বেসরকারি ক্ষেত্রে বৃহত্তম বিদেশি লগ্নি আসার দরজাও।
এ প্রসঙ্গে শুক্রবার পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী এস জয়পাল রেড্ডি জানান, ২৩টি ব্লকের ৩০% অংশীদারি বিপি-র কাছে বিক্রির অনুমোদন পেতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আবেদন জানিয়েছিল রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ (আরআইএল)। তার মধ্যে ২১টি-র জন্য ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র। কিছু পদ্ধতিগত অসুবিধার কারণে বাকি দু’টি (অসম এবং ওড়িশা উপকূল) ব্লকে তা দেওয়া হয়নি। যদিও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি শীঘ্রই মেটানোর চেষ্টা করা হবে। মন্ত্রীর দাবি, সাধারণত এ ধরনের গাঁটছড়ায় ছাড়পত্র দেয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে চুক্তির বিপুল অঙ্কের কথা মাথায় রেখেই তা মন্ত্রিসভার কাছে পাঠানো শ্রেয় মনে করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, আগেই এই চুক্তিতে সায় দিয়েছে স্বরাষ্ট্র, অর্থ, বাণিজ্য এবং আইন মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, এ দেশে ২৯টি তেল ও গ্যাসের ব্লক আছে আরআইএল-এর। যার মধ্যে ২৩টির-ই ৩০% শেয়ার বিপি-র কাছে বিক্রির কথা গত ২১ ফেব্রুয়ারি জানায় মুকেশের সংস্থা। যে তালিকায় আছে কে জি বেসিনে প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডারও। বিপি-ও জানিয়েছিল, এই মালিকানা পেতে প্রাথমিক ভাবে ৭২০ কোটি ডলার উপুড় করবে তারা। তেল ও গ্যাস উত্তোলন সন্তোষজনক হলে, পরে দেবে আরও ১৮০ কোটি। আর এই অর্থ হাতে এলে চলতি অর্থবর্ষেই সংস্থার নিট ঋ
ণ আর থাকবে না বলে গত বার্ষিক সাধারণ সভায় দাবি করেছিলেন রিলায়্যান্স কর্ণধার। তা ছাড়া, গ্যাস উত্তোলন (বা আমদানি) থেকে বিপণন সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটির জন্য দুই সংস্থা ৫০:৫০ যৌথ উদ্যোগেও সামিল হবে। যার মাধ্যমে আগামী ক’বছরে ভারতে আরও ১,১০০ কোটি ডলার লগ্নি করবে বিপি। অর্থাৎ মোট লগ্নি পৌঁছবে ২ হাজার কোটি ডলারে। লন্ডনে এ নিয়ে চুক্তি সই করেন আরআইএল কর্তা মুকেশ অম্বানী এবং বিপি-র চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার রবার্ট ডাডলি। ওই চুক্তিতেই আজ ছাড়পত্র দিল মন্ত্রিসভা।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এই চুক্তিতে আখেরে লাভ হবে দু’পক্ষেরই। এক দিকে, গভীর সমুদ্রে প্রাকৃতিক গ্যাস বা তেল উত্তোলনে বিপি-র দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবে আরআইএল। তেমনই এখানকার তেল ও গ্যাসের ভাণ্ডারকে ব্যবসার আওতায় আনার সুযোগ পাবে বিপি। |
|
|
|
|
|