|
|
|
|
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধান নির্বাচন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁইথিয়া |
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাঁইথিয়া ব্লকের শ্রীনিধিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আস্থা ভোটে জয়ী হল তৃণমূল। ৯ সদস্যের ওই পঞ্চায়েতে শুক্রবার ভোটাভুটিতে যোগ দেয়নি সিপিএম। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়া ব্লকের আমোদপুর এলাকার শ্রীনিধিপুর পঞ্চায়েত বরাবর বামফ্রন্টের দখলে। এ বারও ৯টি আসনই বামফ্রন্টের দখলে ছিল। সিপিএম ৭ ও ফরওয়ার্ড ব্লক ২টি আসন পেয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সিপিএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের মধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। এর ফলে বেশ কিছু দিন থেকে ওই পঞ্চায়েতের কাজকর্ম শিকেয় উঠেছিল। সম্প্রতি সিপিএমের ২ জন ও ফরওয়ার্ড ব্লকের ২ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এবং ৮ জুলাই প্রধানের বিরুদ্ধে তাঁরা অনাস্থা আনেন। ওই অনাস্থায় সই করেছিলেন সিপিএম সদস্য উজ্জ্বল দাস, বীরেন বিশ্বাস, ফব-র নিখিল দাস এবং সীমা ঘোষ। এমনকী তাতে উপপ্রধান ইলিসা বাস্কীও সই করেছিলেন। প্রধানের কাজকর্মে আস্থা রাখতে পারছেন না বলে তাঁরা জানিয়েছিলেন।
শুক্রবার তৃণমূলে যোগ দেওয়া সিপিএম সদস্য উজ্জ্বল দাস বিনা বাধায় প্রধান নির্মাচিত হন। ৯ সদস্যের মধ্যে অনাস্থায় সই করা ৫ জন সদস্য এ দিন উপস্থিত ছিলেন। অন্য দিকে, বিদায়ী প্রধান সিপিএমের দিলীপ মণ্ডল-সহ ৪ জন সদস্য এ দিন অনুপস্থিত ছিলেন।
উজ্জ্বলবাবুর অভিযোগ, “দিলীপবাবু পঞ্চায়েতের কোনও কাজের ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতেন না। উনি দলের কথামতো কাজ করতেন। ফলে উন্নয়নের কাজ থমকে গিয়েছিল।” তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক কার্যকরী সভাপতি রাজেন্দ্রনাথ চন্দ্র বলেন, “সিপিএমের সন্ত্রাস, হুমকি ও অত্যাচারে এই পঞ্চায়েত এলাকায় বিরোধীরা কার্যত কোনও প্রার্থী দিতে পারত না। এখন অনেকে ভয়মুক্ত হয়ে বামফ্রন্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন।” আমোদপুর এলাকার সিপিএমের জোনাল সম্পাদক কালীচরণ কিস্কু বলেন, “নানারকম প্রলোভনে পা দিয়ে উজ্জ্বল দাস বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই তৃণমূল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। বাকিরা একই কারণে ওই শিবিরে গিয়েছেন।” তাঁর অভিযোগ, “যাঁরা তৃমমূলে গিয়েছেন তাঁরা সুবিধাবাদী। আর্থিক প্রলোভনের কারণে গিয়েছেন।” বিডিও উৎপল চক্রবর্তী বলেন, “৫ সদস্য ৮ জুলাই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। এ দিন ভোটে ৫ জনই উপস্থিত ছিলেন। উজ্জ্বল দাস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধান নির্বাচিত হন।” |
|
|
|
|
|