|
|
|
|
আটকের প্রতিবাদে অবরোধ রামপুরহাটে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
স্থানীয় কাউন্সিলরের স্বামীর মদতে পুলিশ অন্যায় ভাবে পাড়ার এক যুবককে আটক করেছে বলে অভিযোগ। ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার সকালে ঘণ্টা দেড়েক রামপুরহাট পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মসজিদ মোড়ের কাছে রামপুরহাট-দুমকা রোড অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
অবরোধকারীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাদ্রাসা পাড়ার এক প্রতিবন্ধী যুবক রাজু শেখের এলাকায় থাকার প্রমাণপত্র কাউন্সিলরের কাছে আনতে গিয়েছিলেন তাঁর দিদি। কিন্তু কাউন্সিলর তাঁর দিদিকে ফিরিয়ে দেন। সন্ধ্যায় পাড়ার ছেলেরা কাউন্সিলরকে ঘিরে ধরলে তাঁর স্বামী পুলিশে খবর দেন। গভীর রাতে পুলিশ এসে পাড়ার এক যুবককে অন্যায় ভাবে তুলে নিয়ে যায়। তাঁদের আরও অভিযোগ, কাউন্সিলর পানীয় জল, নিকাশি নালা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করছেন না।
মাদ্রাসা পাড়ার বাসিন্দা কামরুন্নেষা বিবির অভিযোগ, “আমার ছেলে জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী। ছেলেকে সাহায্য করার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে একটি সংস্থা তাকে ডেকে পাঠায়। এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে শংসাপত্রের প্রয়োজন ছিল। সে জন্য মেয়েকে কাউন্সিলরের কাছে পাঠালে তিনি ফিরিয়ে দেন। পরে পাশের ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছেও যাই। আমাদের এলাকার কাউন্সিলর তাঁকে শংসাপত্র দিতে না করেছেন। এর পরে পাড়ার ছেলেরা কাউন্সিলরের স্বামীকে ঘিরে ধরে। তখন তাঁরা পুলিশে খবর দেন। আর রাতে পুলিশ এক যুবককে তুলে নিয়ে যায়।”
ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্দলের মঞ্জুরা খাতুনের দাবি, “যে যুবকের জন্য ওর দিদি শংসাপত্র নিতে এসছিল বলে দাবি করা হচ্ছে, আসলে তিনি প্রতিবন্ধী শংসাপত্র নিতে এসেছিলেন। আমি দিতে রাজি না হওয়ায় আমার স্বামীকে মারধর করার হুমকি দেয়। ঘরে এসে আমাকেও ধমক দিয়ে যায়।” তিনি জানান, নিকাশির কিছু সমস্যা আছে। শীঘ্রই ওই সমস্যা দূর করা হবে। পাইপ লাইনের সমস্যা থাকায় নলবাহিত জল এলাকার অনেক জায়গায় পৌঁছয়নি। অন্য দিকে, কাউন্সিলরের স্বামী আনোয়ার হোসেনও দাবি করেছেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে আমাকে কয়েক জন যুবক ঘিরে ধরে। তাদের মধ্যে এক জন মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এর জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হই।” |
|
|
|
|
|