|
|
|
|
ঘর নেই, গাছের তলায় চলে কেন্দ্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাজনগর |
রান্নার জন্য খড়-বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী একটি ঘর রয়েছে। কিন্তু স্থায়ী ভবন না থাকায় বছরের পর বছর অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রটি চলে গাছতলায়। প্রখর রোদ বা বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে কেন্দ্রে আসা শিশুগুলির একমাত্র ভরসা অস্থায়ী রান্নাঘর। কিন্তু বর্তমানে সেটিও জরাজীর্ণ। ফলে সমস্যায় পড়েছে রাজনগরের ঘাটদুর্লভপুর গ্রামের শিশুরা।
ওই অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রের কর্মী কল্যাণী রায় বলেন, “২০০৭ সালে এই কেন্দ্রে যোগ দিয়েছি। তার পর থেকে কেন্দ্রের দুরবস্থার কথা সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক (সিডিপিও), স্থানীয় চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতে বলা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বাড়ি না হোক। রান্নাঘরটিকে যদি মেরামত করে দেওয়া হয়, তা হলে শিশুদের কষ্ট কিছুটা কমে।” রাজনগরের সিডিপিও মহম্মদ সফিউল্লা অবশ্য বলেন, “বিষয়টি আমার নজরে নেই। তা ছাড়া, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘর তৈরি করে দেওয়ার কাজ স্থানীয় পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি করে থাকে।” চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের প্রধান চন্দনা অঙ্কুরের সাফাই, “ওই অঙ্গনওাড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘরটি সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।” |
|
এ ভবেই চলে পড়াশোনা। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত। |
স্থানীয় ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে ৩০০ জনসংখ্যা বিশিষ্ট ঘাটদুর্লভপুর গ্রামের এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উপরে বর্তমানে প্রায় ৪০ জন শিশু ও প্রসূতি নির্ভরশীল। কর্মী কল্যাণী রায় বলেন, “৪০ জন নির্ভরশীল হলেও রান্না করা খাবার নেন ২৮ জন। কিন্তু বৃষ্টি হলে এই কয়েক জন শিশু ও প্রসূতিদের দাঁড়ানো বা বসার জায়গা থাকে না।” স্থানীয় বাসিন্দা রেখা কোঁড়া, তাপসী মাল পাহাড়িয়াদের ক্ষোভ, “খোলা জায়গায় বাচ্চাদের জন্য এ ভাবে রান্না করা ঠিক নয়। তার উপরে রোদ ও জলের কষ্ট তো আছেই। প্রায় ভেঙে পড়া অস্থায়ী ঘরটিতে রান্না করতে সমস্যা হচ্ছে সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সহায়িকা সন্তীকা কাহার। তিনি বলেন, “কেউ যদি ব্যবস্থা না করে দেয় তা হলে আমিই বা রান্না করব কোথায়।” কর্মী কল্যাণীদেবী বলেন, “রান্নাঘর সংস্কারের জন্য পঞ্চায়েত থেকে ১ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু খড়ের দাম এত বেশি ওই টাকায় সংস্কার করা সম্ভব নয়। আর পঞ্চায়েতের তরফে এই প্রতিশ্রুতি বহুদিন ধরে শুনছি, কেন্দ্রের জন্য পাকা বাড়ি ও রান্নাঘর হবে।” প্রধান চন্দনা অঙ্কুর বলেন, “১ হাজারের পরে দেড় হাজার টাকা রান্নাঘর সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। স্থায়ী ভবন তৈরির জন্য আলোচনা চলছে।” |
|
|
|
|
|