|
|
|
|
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে নতুন ভাবনা পুরসভার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মহানগরীতে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে উদ্বিগ্ন পুরসভা। ‘কলকাতা জেলা টিবি কন্ট্রোলিং সোসাইটি’ নামে উচ্চক্ষমতার একটি কমিটি থাকলেও দীর্ঘকাল তাদের কোনও বৈঠকই হয়নি বলে মঙ্গলবার অভিযোগ করেন পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা। একই সঙ্গে কলকাতায় যক্ষ্মা রোগের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা।
গত ১৩ বছরে ‘কলকাতা জেলা টিবি কন্ট্রোলিং সোসাইটি’র কোনও বৈঠক হয়নি বলে এ দিন জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ। অতীনবাবু আরও বলেন, “যক্ষ্মা প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে জোরদার করতে সোসাইটির পুরনো কমিটি ভেঙে দিয়ে তাই নতুন কমিটি গড়া হয়েছে। দীর্ঘ ১৩ বছর বাদে আজ পুরভবনে কলকাতা জেলা
টিবি কন্ট্রোলিং সোসাইটির বৈঠক হয়েছে।” এত দিন কোনও বৈঠক না হওয়ার অভিযোগটি অবশ্য
অস্বীকার করেছেন পুরনো কমিটির কর্মকর্তাদের অনেকেই।
মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) এ দিন জানিয়েছেন, কলকাতা শহরের ১৪১টি ওয়ার্ডে যক্ষ্মা প্রতিরোধক ব্যবস্থা গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে পুরসভা যে ভাবে প্রচার চালায়, এখন থেকে যক্ষ্মা প্রতিরোধেও একই ভাবে প্রচার শুরু করা হবে।
পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসায় এই মুহূর্তে মহানগরীতে ১৬০টি ডটস্ কেন্দ্র রয়েছে। পুরসভার ১০টি টিবি চিকিৎসা কেন্দ্রের মধ্যে চালু রয়েছে মাত্র একটি। মঙ্গলবারের বৈঠকে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে যক্ষ্মা নির্ণয় কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সিদ্ধান্ত হয়েছে ট্যাংরায় একটি যক্ষ্মার ওষুধ মজুত ভাণ্ডার তৈরিরও।
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, কলকাতা শহরে চালু থাকা যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসার ১৬০টি ডটস্ কেন্দ্রের অভিজ্ঞতা একেবারেই আশাব্যঞ্জক নয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসার পরে অনেক যক্ষ্মারোগীই আর চিকিৎসা কেন্দ্রে যাচ্ছেন না। ফলে রোগীদের চিকিৎসাও সম্পূর্ণ হচ্ছে না। ডটস্ চিকিৎসাও অসম্পূর্ণ রেখে চলে যাচ্ছেন বহিরাগত যক্ষ্মারোগীরাও। এই ব্যবস্থার বদল ঘটাতে জনসচেতনা বৃদ্ধির পাশাপাশি ডটস্ চিকিৎসা ব্যবস্থায় জড়িত স্বাস্থ্য সহায়কদের ভাতা এবং আনুষঙ্গিক সুবিধে বাড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|