যিনি প্রশাসনের আইনি সমস্যার সুরাহা করেন তিনিই আবার বিদেশে যাওয়ার পাসপোর্ট তৈরি করেন, জেলা প্রশাসনের তরফে পুরসভাও সামলান। জনসাধারণের অভিযোগ তাকেই শুনতে হয়। যিনি জেলার উন্নয়ন পরিকল্পনা রচনা করেন, তাঁকেই জনগণনা এবং জেলার তথ্য মানচিত্র তৈরির কাজে নজর রাখতে হয়। প্রয়োজনীয় আধিকারিকের অভাবে এমনই অবস্থা জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের। জেলার এক আধিকারিকের দায়িত্বে রয়েছে ১৫টি দফতর। অন্যজনের হাতে রয়েছে ৭টি। কোনও আধিকারিকেরই হাতে একটি মাত্র দফতর নেই। অতিরিক্ত কাজ করতে হওয়ায় নাজেহাল জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের। একই অবস্থা জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের সাধারণ কর্মীদেরও। এক দফতরের টাইপের কাজ করতে ডাকা হয় অন্য দফতরের কর্মীকে। কর্মী না-থাকলে আধিকারিকরাও টাইপ মেশিন নিয়ে বসে যেতে বাধ্য হন। এক ঘর থেকে অন্য ঘরে ফাইল পৌঁছে দেওয়ার কাজও কখনও সখনও আধিকারিকদেরই করতে হয়। জেলাশাসকের দফতরের ৩৯ জন ডব্লিউবিসিএস অফিসারের পদ থাকলেও আছেন মাত্র ১৮ জন। ২০০ জন সাধারণ কর্মীর জায়গায় ১১৯ জন। অর্থাৎ অর্ধেকেরও কম সংখ্যক আধিকারিক ও কর্মী নিয়ে চলছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। জেলাশাসকের পদও একমাস ধরে শূন্য। জেলাশাসকের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, “পরিস্থিতির কথা ঊর্ধ্বতন কর্তাদের জানানো হয়েছে।” জেলার বিচার বিভাগের আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষের দায়িত্বে পুরসভা, পুরউন্নয়ন, তথ্য জানার অধিকার, পাসপোর্ট, জন-অভিযোগ সহ ১৫টি দফতর। সিনিয়র ডিসি মমীশ বর্মার দায়িত্বে রয়েছে ৬টি দফতর। উন্নয়ন পরিকল্পনা দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও দীপঙ্কর পিপলাইয়ের হাতে আরও দুটি দফতর। |