|
|
|
|
কোটশিলায় অপহরণ, মৃত্যুর তদন্তে সিআইডি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
কোটশিলায় অপহরণ-কাণ্ড এবং যৌথ বাহিনীর সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াইয়ে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-র হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝালদা ২ পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সভানেত্রী মেনকা মাহাতোর স্বামী লক্ষ্মীকান্ত-সহ দু’জনকে অপহরণ করেছিল এক দল সশস্ত্র লোক। ‘মুক্তিপণ’-এর টাকা নিয়ে নিজের কাকা লক্ষ্মীকান্তকে ছাড়াতে শুক্রবার রাতে ঝাড়খণ্ড সীমানা ঘেঁষা যে বেকোর জঙ্গলে যান অশ্বিনী মাহাতো। সেই সময় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে অপহরণকারীদের গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে মারা যান স্থানীয় হরতান গ্রামের বাসিন্দা, ৩০ বছরের অশ্বিনী। ওই ঘটনার পরে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল ও ঝাড়খণ্ডের বোকারো লাগোয়া জঙ্গল এলাকা ঘুরে গিয়েছেন রাজ্য পুলিশের আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) জুলফিকার হাসান এবং ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) বিনীত গোয়েল। তার পরেই সিআইডির হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে পুলিশ সূত্রের খবর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বোকারো জেলার জুরিডি-কাশমার থানা এলাকার কোনও মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য অপহরণকারীদের দলটিতে রয়েছে। যদিও মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলা আদালত চত্বরে ধৃত মাওবাদী শীর্ষ নেতা তেলগু দীপকের দাবি, “মুক্তিপণের জন্য কাউকে অপহরণ করা আমাদের নীতি নয়। আমাদের নাম নিয়ে কেউ করতেই পারে।”
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “অশ্বিনীর বাঁ দিকের পাঁজরে যে গুলিটি বিঁধেছিল, সেটি ‘সিল’ করে পরীক্ষার জন্য কলকাতায় বিশেজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাতে জানা যাবে, কী ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়া হয়েছিল। কিন্তু ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি যৌথ বাহিনীর না অপহরণকারী দলের, তা বোঝা সম্ভব নয়।” আইজি বলেছেন, “এখন গোটাটাই তদন্তের স্তরে। এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।”
এ দিকে, আড়শার কাঁটাডি পুলিশ ক্যাম্প থেকে অস্ত্র লুঠ ও বান্দোয়ানের দুয়ারসিনির নির্মীয়মাণ অতিথি নিবাসে বিস্ফোরণ ঘটানোর মামলায় অভিযুক্ত তেলগু দীপককে এ দিন জেলা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। পুরুলিয়ার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় দাস দীপককে ১৩ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃতের আইনজীবী সাগর মণ্ডল বলেন, “ওই দু’টি মামলাতেই তাঁর জামিন মঞ্জুর হলেও অন্য কিছু মামলায় অভিযুক্ত থাকায় তাঁর মুক্তি হয়নি।” আদালত চত্বরে বন্দিমুক্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে দীপক বলেন, “এখনও পর্যন্ত কোনও ফল নেই। আমাদের দাবি, সমস্ত রাজনৈতিক বন্দিকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁরা আলোচনায় প্রস্তুত কি না, তাঁর প্রতিক্রিয়া, “আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু সরকার আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। তবে সবটাই পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করবে।” |
|
|
|
|
|