|
|
|
|
তৃণমূলের সভামঞ্চ ভাঙচুর, অভিযুক্ত কংগ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
একুশে জুলাইয়ের ব্রিগ্রেড সভার সমর্থনে তৃণমূলের পথসভায় নেতাদের মারধর ও মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের তালপুকুর বাজারে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান হাসনাবাদের ওসি। পুলিশ গিয়ে তৃণমূল নেতাদের উদ্ধার করে। তৃণমূলের নেতাদের মারধর ও গাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ।
কংগ্রেসের বক্তব্য, সম্প্রতি দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া এক নেতার বক্তব্যে জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠলে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “একুশে জুলাই স্মরণে করা তৃণমূলের সভা মঞ্চে তাণ্ডব চালানো ও দলীয় নেতাদের মারধরে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।”
এ দিন তালপুকুর বাজারে সভায় জেলা পরিষদের সদস্য সিরাজুল ইসলাম, টাকির পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, আমলানি পঞ্চায়েতের সভাপতি সিরাজুল মল্লিক-সহ নেতারা হাজির ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টায় ভাষণ দিতে ওঠেন জেলা পরিষদের সদস্য সিরাজুল ইসলাম। কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী সিরাজুল সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অভিযোগ, মঞ্চে তিনি কংগ্রেস সম্পর্কে আপত্তিকর কথা বলেন। এরপরেই গোলমাল শুরু হয়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে দুই সিরাজুলকে স্থানীয় একটি দোকানে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সিরাজুলের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
ব্লক কংগ্রেস নেতা সালাউদ্দিন ঘরামি বলেন, “একটা গ্রাম্য বিবাদে জড়িত থাকা কয়েক জনকে মঞ্চে তুলে মালা পরানো ও কংগ্রেসের নামে আপত্তিকর কথা বলায় মানুষ ক্ষুব্ধ ওয়ে ওঠে। সামান্য ঘটনা। তবে গাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
টাকির পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “কংগ্রেসের একাংশ নির্দল প্রার্থীর হয়ে ভোট করায় বিধানসভায় আমাদের প্রার্থী হেরে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন সিরাজুল। এরপরে আমি বলতে উঠেছিলাম। তখন কয়েক জন কংগ্রেস কর্মী ভাঙচুর শুরু করে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।” পুলিশ তদন্ত করছে। |
|
|
|
|
|