|
|
|
|
দক্ষিণ ২৪ পরগনা |
দুই পঞ্চায়েতে অনাস্থা ভোটে হার সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডায়মন্ড হারবার ও ক্যানিং |
সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থায় জয়ী হল তৃণমূল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমার ঘুটিয়ারি থানার বাঁশড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে।
দীর্ঘদিন ধরেই পঞ্চায়েতটি সিপিএমের দখলে ছিল। আর্থিক দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগে মঙ্গলবার পঞায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। ২৩ আসনের ওই পঞ্চায়েতে সিপিএমের ১৩ এবং তৃণমূলের ১০টি আসন ছিল। এ দিন ভোটাভুটিতে সিপিএমের তরফে কেউই তাতে অংশ না নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৩টি আসনেই জিতে পঞ্চায়েত তখল করে তৃণমূল। কেন তাঁরা ভোটাভুটিতে অংশ নিলেন না প্রশ্ন করায় সিপিএমের ক্যানিং-১ জোনাল কমিটির সম্পাদক রুহুল গাজি বলেন, “তৃণমূল গণতন্ত্রের নামে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। আমাদের কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। এর প্রতিবাদেই আমরা ভোটাভুটিতে অংশ নিইনি।” তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান সুমিত্রা সিকদারের স্বামী হিমাংশুবাবুকে অপহরণ করে তৃণমূলের লোকজন। উপ প্রধানকেও ভয় দেখাতে থাকে। এই অবস্থায় সুমিত্রাদেবী একদিন পঞ্চায়েত দফতরেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তা ছাড়া অনাস্থা ভোটের দিন ওদের সমর্থকেরা পুলিশের সামনেই পঞ্চায়েত দফতরের কাছে বোমাবাজি করে। এর ফলে তাঁদের সমথর্কেরা ভয়ে ভোট দিতে আসেননি। যদিও সিপিএমের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ক্যানিং-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শৈবাল লাহিড়ি বলেন, “জিততে পারবে না জেনে এবং নিজেরে ব্যর্থতা ঢাকতেই ওরা এমন মিথ্যা অপপ্রচার করছে।” পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, অনাস্থা ভোট নিয়ে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
অন্যদিকে, এদিনই ডায়মন্ড হারবার মহকুমার মন্দিরবাজার ব্লকের সিপিএম পরিচালিত নিশাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। মঙ্গলবার ভোটাভুটিতে দু’জনেই হেরে যান। ১৭ আসনের এই পঞ্চায়েতে সিপিএমের ১০টি, তৃণমূলের ৬টি আসন এবং একটি নির্দলের আসন ছিল। সিপিএম প্রধান ও উপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূল এবং সিপিএমের ৬ সদস্য অনাস্থা আনে। এ দিন অনাস্থা ভোটে প্রধান ও উপপ্রধানের পক্ষে ৫টি এবং বিপক্ষে ১২টি ভোট পড়ে। অনাস্থায় দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া সিপিএম সদস্য সয়েবালি হালদার বলেন, “পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে প্রধান আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেন না। প্রধান ও উপপ্রধানের জন্য উন্নয়নের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল। তাই তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে অনাস্থা প্রস্তাব আনি।”
উপপ্রধান সইফুদ্দিন সর্দারের পাল্টা দাবি, “ওঁদের ইচ্ছামতো অন্যায় সুযোগ পাইয়ে দিতে না পারার কারণেই আমার বিরুদ্ধে ওঁরা অনাস্থা আনেন।” বিডিও শেখ রাকিবুর রহমান বলেন, “প্রধান এবং উপপ্রধান দু’জনেই অনাস্থায় হেরে গিয়েছেন। শীঘ্রই নতুন প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হবে।”
নিশাপুর পঞ্চায়েতে অনাস্থায় সিপিএম হেরে যাওয়ায় মন্দিরবাজার পঞ্চায়েত সমিতির ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সবকটিই তৃণমূলের দখলে চলে এল। |
|
|
|
|
|