|
|
|
|
প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ |
ট্রলারডুবির পরে কেটেছে একমাস,
নিখোঁজ ২৯ মৎস্যজীবীর খোঁজ মেলেনি আজও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাকদ্বীপ |
ঘটনার পর প্রায় এক মাস কেটে গেলেও নামখানা থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ দু’টি ট্রলার এবং ২৯ জন মৎস্যজীবীর এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের অধিকাংশই কাকদ্বীপের বাসিন্দা। গত সোমবার কাকদ্বীপে ওই মৎস্যজীবীদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল ঘোষ-সহ সিপিএম নেতৃত্ব।
জেলা প্রশাসন এবং নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ জুন এফ বি কল্যাণী ট্রলারে করে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ওই মৎস্যজীবীরা। নিখোঁজ মৎস্যজীবী নীলকান্ত দাসের স্ত্রী সরলাবালা দাস, বীরেন মণ্ডলের স্ত্রী গোরী মণ্ডলেরা জানান, সেদিন ওই ট্রলারে করে তাঁদের স্বামীরা মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ১৬ জুন রাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে উল্টে যায় এফ বি কল্যাণী। পরে ওই ট্রলারের উদ্ধার হওয়া এক মৎস্যজীবী শৈলেন দাস বলেন, “রাতে ঝড়ে ও ঢেউয়ের ধাক্কায় ট্রলারটি কাত হয়ে পড়ায় ভিতরে জল ঢুকে যায়। আমরা কয়েকজন কোনওমতে ট্রলারের এক দিক আঁকড়ে ধরে ভেসেছিলাম। পরে একটি বাংলাদেশি ট্রলার এসে আমাদের কয়েক জনকে উদ্ধার করে।”
আর একটি ট্রলার এফ বি শ্যামাচরণের বেঁচে ফিরে আসা এক মৎস্যজীবী পবন দাস বলেন, “ট্রলার উল্টে যাওয়ার পরেই মাছ ধরার জালের বল ধরে ভাসতে থাকি। সঙ্গীরা কে, কোথায় গেল রাতের অন্ধকারে ঠাহর করতে পারিনি। প্রায় ৬ দিন ধরে জলে ভেসে ছিলাম। কিছুই খাওয়া জোটেনি। পরে বাংলাদেশের একটি ট্রলার আমাকে উদ্ধার করে।”
এ দিন নিখোঁজ হওয়া মৎস্যজীবীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন সুর্যকান্তবাবু। কান্নায় ভেঙে পড়ে নিখোঁজ ওই সব মৎস্যজীবীর স্ত্রীরা সূর্যকান্তবাবুর কাছে আর্জি জানান, তাঁদের একমাত্র রোজগারের উপায় স্বামীকে যেন খুঁজে দেওয়া হয়। কারণ তা না হলে তাঁদের না খেয়ে মরতে হবে। এখনও তাঁদের কাছে সরকারি কোনও সাহায্য বা তাঁদের স্বামীদের খুঁজে দেওয়ার ব্যপারে সরকারি কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে সূর্যকান্তবাবু আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, নিখোঁজ ওই সব মৎস্যজীবীদের খোঁজার ব্যপারে সরকারি তরফে কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। এমনকী তাঁদের পরিবারের কাছেও কোনও সরকারি সাহায্য পৌঁছয়নি। |
|
|
|
|
|