টুকরো খবর
|
জামবনির পঞ্চায়েতে ইস্তফা উপ-প্রধানের
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
পালাবদলের জঙ্গলমহলে ফের পঞ্চায়েতস্তরের এক সিপিএম জনপ্রতিনিধি ‘পদত্যাগ করলেন’। এ বার জামবনির চিচিড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান ছায়ারানি শিট। মঙ্গলবার জামবনির বিডিও বিশ্বনাথ বেরার কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে ছায়ারানিদেবী জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় তিনি পদত্যাগ করছেন। পদত্যাগ-সংক্রান্ত বক্তব্য জানার জন্য আগামী শুক্রবার ছায়ারানিদেবীকে ডেকেও পাঠিয়েছেন বিডিও। সিপিএমের অভিযোগ, সোমবার তৃণমূলের লোকজন পঞ্চায়েত অফিসে উন্নয়ন-সংক্রান্ত অভাব অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন। ওই সময়ে জোর করে ছায়ারানিদেবীকে পঞ্চায়েতের প্যাডে পদত্যাগপত্র লিখিয়ে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে তৃণমূলের লোকেরা। ছায়ারানিদেবী অবশ্য তাঁর দলের এই অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জোর-জবরদস্তির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলও।
তৃণমূলের পাল্টা দাবি, গত ৮ জুলাই স্থানীয় যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে উন্নয়নমূলক ২০ দফা দাবিতে ওই পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ওই দিন পঞ্চায়েত-প্রধান শ্যামল নায়েক অনুপস্থিত ছিলেন। দাবিগুলি সম্পর্কে পঞ্চায়েত-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে সোমবার ফের তাঁরা এসেছিলেন। কিন্তু কোনও সদুত্তর দিতে না পেরে উপ-প্রধান ছায়ারানিদেবী স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন। চিচিড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ জন সদস্যের ৮ জনই সিপিএমের। ১ জন নির্দল সদস্য। সম্প্রতি ‘অসুস্থতার’ কারণে প্রধান শ্যামল নায়েক তিন মাসের জন্য ছুটিতে রয়েছেন। জামবনি পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতায় রয়েছে সিপিএম। ব্লকের দশটি পঞ্চায়েতের মধ্যে চিচিড়া-সহ ৫টি সিপিএমের দখলে। কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পরে এ বার সেই জামবনিতেও তৃণমূলের শক্তি বাড়ছে।
|
রাস্তা সংস্কারের দাবি,অবরোধ নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বেহাল এগরা ১ ব্লকের আলংগিরি থেকে কসবাগোলা পর্যন্ত সাত কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পাঁচরোলে পথ অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জেলা পরিষদ ও পূর্ত দফতরের তরফে বুধবার থেকেই কাজ শুরু করার আশ্বাস দেওয়া হলে অবরোধ ওঠে। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার পাশে রয়েছে বেশ কিছু হাইস্কুল, প্রাইমারি স্কুল, ব্যাঙ্ক, প্রশাসনিক ভবন। জেলা পরিষদের স্থানীয় তৃণমূল সদস্য রাধানাথ মিশ্রের অভিযোগ, “খানাখন্দে ভর্তি ওই রাস্তা বৃষ্টির জলে ডুবে থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা হয়। বারবার বলা সত্ত্বেও রাস্তা সারাতে উদ্যোগী হচ্ছে না কেউ।” জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন জানান, ২০১১-১২ আর্থিক বছরের মধ্যে রাস্তা সংস্কারের কাজ করার পরিকল্পনা ছিল পূর্ত দফতরের। আপাতত গর্ত ভরাটের জন্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। বর্ষার পরে সেই কাজ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এলাকাবাসী এখনই কাজ শুরু করতে চাইছেন। তাই পূর্ত দফতরই বোল্ডার ফেলে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করে দিচ্ছে।
|
ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজে ঘেরাও
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের পাসকোর্সে আসন সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে অধ্যক্ষ কিশোরকুমার রাড়ি ও অন্য কয়েকজন শিক্ষককে মঙ্গলবার বিকেল ৪টে থেকে রাত পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) সমর্থকেরা। এ দিন থেকে কলেজে পাসকোর্সে ভর্তি শুরু হয়েছে। টিএমসিপি-র দাবি, পাসকোর্সে আবেদনকারী সমস্ত ছাত্রছাত্রীকেই ভর্তি নিতে হবে। এসএফআই এবং এআইএসএফ-এর মতো বাম ছাত্র সংগঠনগুলিও কয়েক দিন ধরেই কর্তৃপক্ষের কাছে একই দাবি জানিয়ে চলেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের বাইরে গিয়ে আসন সংখ্যার অতিরিক্ত ছাত্রছাত্রী ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, বাড়তি ছাত্রছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন অনুমোদন করবে না বিশ্ববিদ্যালয়।
|
চাল নিয়ে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ঝাড়গ্রাম পুর-এলাকায় বসবাসকারী বিপিএল পরিবারগুলিকে গত মরসুমের খরা-ত্রাণ বাবদ যে চাল এক বছর বাদে এখন দেওয়া হচ্ছে, তা নিম্মমানের, পোকাকাটা বলে অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার দুপুরে যুব তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম শহর সভাপতি অনিল দাসের নেতৃত্বে জনা পঞ্চাশেক যুবকর্মী ঝাড়গ্রামের বিডিও সুদীপনারায়ণ ওঝার টেবিলে চাল ঢেলে বিক্ষোভও দেখালেন। বিডিও তাঁদের জানান, শহরাঞ্চলে এই চাল-বিলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই। ভুল বুঝতে পেরে পরে অনিলবাবু বলেন, “শীঘ্রই আমরা পুরসভায় বিক্ষোভ দেখাব।”
|
দিঘায় স্মারকলিপি
নিজস্ব সংবাদদাতা• কাঁথি |
প্লাস্টিকের জঞ্জালের ভিড়ে নিউ দিঘায় পথ চলা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। নিকাশি ও বর্জ্য নিষ্কাশনেরও কোনও ব্যবস্থা নেই সৈকত শহরে। এরই প্রতিবাদে সোমবার দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক সৌমেন পালের কাছে স্মারকলিপি দিল নিউ দিঘা প্লট হোল্ডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
|
স্কুলে জয় তৃণমূলের |
শেষ পর্যন্ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলে পটাশপুর ২ ব্লকের আড়গোয়াল পঞ্চায়েত এলাকার নেকুড়শুনি হাইস্কুলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতলেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধির ৬টি আসনে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ১০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। বামেদের তরফে কোনও মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি। পরে দলীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে চার জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে ৬টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতেন তৃণমূল সমর্থিতেরা। |
|