পতাকা-ব্যানারে ছেয়েছে কলেজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কোথাও প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। কোথাও বা চলছে ভর্তির শেষ পর্ব। বরাবরের মতো এ বারও এই সময়টায় কলেজগুলোতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনগুলি। নতুন পড়ুয়াদের সমর্থন আদায়ই লক্ষ্য। রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে এ ক্ষেত্রেও ছবিটা বদলের। মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শহরের বিভিন্ন কলেজ ছেয়ে থাকা ফেস্টুন-ব্যানার-পোস্টারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদেরই পাল্লা ভারী। সেখানে এসএফআইয়ের ‘প্রচার’ নেহাতই কম। |
|
অপরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের প্রচার সরঞ্জামে মুখ ঢেকেছে কলেজগুলির।
মেদিনীপুর-খড়্গপুর দুই শহরেই এক ছবি। মেদিনীপুর কলেজ চত্বরে গাছের গায়েও প্রচার। |
তবে কলেজ চত্বরে রাজনীতির এই বাড়াবাড়িতে চারদিকের পরিবেশ অত্যন্ত অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। আগেও ব্যানার-ফেস্টুন থাকত। কিন্তু এ বার সংখ্যাটা অনেক বেড়েছে। কার্যত প্রচারে মুখ ঢেকেছে কলেজগুলির। খড়্গপুর কলেজের প্রধান ফটকের চার পাশে পোস্টার-ব্যানারের ছড়াছড়ি। কলেজের নাম ঢাকা পড়ার উপক্রম। একই ছবি মেদিনীপুর কলেজে। এই অবস্থায় ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখার তৎপরতা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মেদিনীপুর কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, “কলেজ ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে সকলকেই উদ্যোগী হতে হবে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ব্যানার- ফেস্টুন খুলে ফেলার আবেদন জানানো হয়েছে। আশা করি, সাড়া মিলবে।” |
|
খড়্গপুরে পতাকা-পোস্টারে কলেজের নাম ঢাকা পড়েছে (নীচে)। |
মেদিনীপুর কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক এসএফআইয়ের সম্রাট বেরার দাবি, “যত্রতত্র পতাকা-ফেস্টুন লাগানোর সংস্কৃতি আমদানি করেছে টিএমসিপি।” টিএমসিপি নেতা শৈবাল গিরির পাল্টা দাবি,“আগে এসএফআই আমাদের পতাকা লাগাতে দিত না। তবে ক্যাম্পাস অপরিচ্ছন্ন হবে, এমন কিছু আমরা করিনি।” ছাত্র পরিষদ নেতা স্নেহাশিস পন্ডা এই অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আর ডিএসও’র জেলা নেতা দীপক পাত্রের মতে এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের উচিত ব্যবস্থা নেওয়া।
|
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
|