টুকরো খবর
|
অরবিন্দনগরে ফের মাঠ দখলের প্রতিবাদে অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
খেলার মাঠ দখলের প্রতিবাদে ফের পথে নামলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দনগরে খেলার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু দিন ধরেই গোলমাল হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের মদতে কিছু দরিদ্র মানুষজন এই মাঠের একাংশ দখল করে বসতি গড়েছে। এলাকার এক টুকরো সবুজ বেদখল হতে বসেছে দেখে বারবার প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। লাভ হয়নি। প্রতিবাদে মঙ্গলবার ফের মেদিনীপুর জজকোর্টের কাছে পথ অবরোধ করেন এলাকার মানুষ। অভিযোগ, মাঠের জমি দখল করার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। এ নিয়ে রাজনীতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে তাতে সামিল করা হচ্ছে। মাঠ দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সংগঠিত করায় প্রথম থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক ধর। তিনি বলেন, “যাতে মাঠ দখল না হয়, এ নিয়ে কেউ যাতে রাজনীতি না করে, সে জন্যই আমরা ফের অবরোধ করছি। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত সমস্যার সমাধান করুক।” অবরোধের জেরে বেশ কিছুক্ষণ জজকোর্ট এলাকায় যানচলাচল বন্ধ ছিল। ধর্মা হয়ে ঘুরপথে যেতে হয়েছে খড়্গপুরগামী গাড়িগুলিকো। এর ফলে নজরগঞ্জ, জুগনুতলা, জগন্নাথমন্দির, নতুনবাজার এলাকার মানুষ সমস্যায় পড়েন। দীর্ঘ পথ হেঁটে বাস ধরতে তাঁদের যেতে হয় বটতলাচক ও মোহনপুর সেতুর কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। হাজির একজন একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটও। মাঠ দখলের বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করার প্রশাসনিক আশ্বাস মেলায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। আজ, বুধবার স্থানীয়দের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক করার কথা। প্রশাসনের আশা, বৈঠকেই সমাধান সূত্র মিলবে। পাশাপাশি কার্তিকবাবুর হুঁশিয়ারি, “প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করলে আমরা সব রকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হব।”
|
ভাড়াটে আক্রান্ত, ধৃত বাড়ির মালিক
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
ভাড়াটেকে উৎখাত করতে হামলার অভিযোগ উঠল মালিকের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে চন্দ্রকোনার রামজীবনপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দয়াল বাজারের এই ঘটনায় এক মহিলা-সহ দু’জন জখম হন। অভিযুক্ত বাড়ির মালিক তথা রামজীবনপুর পুরসভার হেড ক্লার্ক তরুণ মোদককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দীর্ঘ চল্লিশ বছর তরুণবাবুর বাড়িতে ভাড়া রয়েছে শ্রীকান্ত সরকারের পরিবার। অভিযোগ, বেশ কয়েকবছর ধরেই বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তরুণবাবু। কিন্তু শ্রীকান্তবাবু রাজি হননি। এ নিয়ে মামলাও হয়। শ্রীকান্তবাবুর পক্ষেই যায় রায়। তারপরেও অবশ্য মালিক-ভাড়াটে গোলমাল থামেনি। শ্রীকান্তবাবু মজুর। সোমবার হামলার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ছিলেন তাঁর স্ত্রী ছায়াদেবী ও ছেলে কলেজ পড়ুয়া সুকমল। অভিযোগ, আচমকাই তরুণবাবু লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হন। ছায়াদেবীকে টেনে বের করে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়, অশালীন আচরণও করা হয়। বাধা দিতে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুকমলের ঘাড়ে আঘাত করা হয়। স্থানীয়রাই দু’জনকে প্রথমে ক্ষীরপাই হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছায়াদেবী ছাড়া পেলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় সুকমলকে স্থানান্তরিত করা হয় ঘাটাল হাসপাতালে। শ্রীকান্তবাবু বলেন, “তরুণবাবু ও তাঁর দাদা-ভাইয়েরা মিলে আমার স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করেছে।”
|
পুকুরে নেমে মৃত দুই ভাই
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোয়ালতোড় |
কেউই সাঁতার জানত না। সম্ভবত পা পিছলে পড়ে গিয়েছিল পুকুরে। শেষ পর্যন্ত জলে ভেসে উঠল দুই ভাইয়ের দেহ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ালতোড়ের আমকোপা পঞ্চায়েতের মঙ্গলাপুর গ্রামে। মঙ্গলবার বেলা এগারোটা নাগাদ টিউশন থেকে ফিরেই শৌচকর্ম সারতে বাড়ির পাশের মাঠে গিয়েছিল শ্রীমন্ত কুণ্ডু (১৩) ও প্রশান্ত কুণ্ডু (১০)। পরে তারা মাঠের মাঝে সদ্য তৈরি হওয়া ছোট পুকুরটিতে নামে। আর উঠতে পারেনি। ঘন্টাখানেক পরেও দুই ছেলে না ফেরায় বাড়ির লোক খোঁজ শুরু করেন। প্রায় আধ ঘন্টা পরে এলাকাবাসী লক্ষ করেন পুকুরে ভাসছে শ্রীমন্ত ও প্রশান্তর দেহ। পাড়ে পড়ে রয়েছে দুই ভাইয়ের জুতো। ছেলেদের দেহ দেখে জ্ঞান হারান ওই দুই কিশোরের বাবা সুধাংশুবাবু ও মা রুমাদেবী। সান্ত্বনার ভাষা হারিয়ে ফেলেন প্রতিবেশীরাও। সম্ভবত পা পিছলেই গভীর ওই পুকুরে পড়ে গিয়েছিল দুই ভাই। পরে তলিয়ে যায়। চাষ করে সংসার চালান সুধাংশুবাবু। শ্রীমন্ত ও প্রশান্ত দু’জনই পড়ত মঙ্গলাপুর হাইস্কুলে।
|
শিক্ষকের মারে জখম ছাত্র, নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফের শিক্ষকের মারে অসুস্থ হয়ে পড়ল এক ছাত্র। এ বার মেদিনীপুর শহরে। বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠে নবম শ্রেণির ছাত্র অর্ণব ভট্টাচার্য। বাড়ি নজরগঞ্জে। অভিযোগ, সোমবার শেষ পিরিয়ডের ক্লাস চলাকালীন হঠাৎই তাকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন শিক্ষক তন্ময় চক্রবর্তী অসুস্থ হয়ে পড়ে অর্ণব। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা হয়। অর্ণবের কথায়, “এক সহপাঠীর পেন হারিয়ে গিয়েছিল। সেটাই খুঁজছিলাম। আচমকা স্যার মারতে শুরু করেন।” সোমবারই পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানান অর্ণবের বাবা বেণুগোপালবাবু। মঙ্গলবার স্কুল কর্তৃপক্ষকেও নালিশ জানানো হয়। এ দিন স্কুলে আসে পুলিশ। স্কুল-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে। ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের আলোচনাতেই শেষমেশ বরফ গলে। অভিযুক্ত শিক্ষক স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানান, এমন ঘটনা আর ঘটবে না। অর্ণবের মা অর্চনাদেবী বলেন, “ওই শিক্ষককে সমস্যায় ফেলা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু এ ভাবে মারলে ছাত্রছাত্রীরা ভয়ে স্কুলেই যাবে না। ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে দিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের নজর রাখা উচিত।”
|
গম পাচার, ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়গপুর |
রেলশহরের গুদামে মজুত প্রচুর অবৈধ গমের সন্ধান পেল পুলিশ। পাচারের সময় এক লরি চালককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ধৃত রমেশ মহান্তির বাড়ি ওড়িশার শঙ্করপুরে। গুদামটি সিল করা হয়েছে। মালিক ডি কে মিত্তলের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। জেলা পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, “এক সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতেই তল্লাশি চালানো হয়। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, পঞ্জাব ও হরিয়ানায় সরবরাহের কথা ছিল ওই গমের। কিন্তু তা না করে অবৈধ ভাবে খড়গপুরের গুদামে তা মজুত করে রাখা হয়। খড়গপুরে সাহাচকের উপর দিয়েই গিয়েছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। দু’পাশে একাধিক কারখানা, গুদাম। পুলিশের কাছে খবর ছিল, মঙ্গলবার দুপুরে এখান থেকেই অবৈধ গম পাচার হবে। সেই মতো তল্লাশি শুরু হয়। জেলা পুলিশের কর্তারা ছাড়াও ছিলেন খড়গপুরের মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরী ও খাদ্য সরবরাহ বিভাগের আধিকারিক। সব মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার টন গমের হদিস মেলে। গম সরবরাহের প্রয়োজনীয় কাগজ না থাকায় এক লরি চালককে গ্রেফতার করা হয়।
|
ধৃত ২ ছিনতাইকারী
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই করে পালানোর সময় বমাল ধরা পড়ে গণপিটুনি খেল দুই যুবক। মঙ্গলবার দুপুর ১টা নাগাদ দাঁতনের আঁইকোলা থেকে ওই দুই ছিনতাইকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী জানান, ধৃত রবি রাও ও শিব রাও দুই ভাই। বাড়ি ওড়িশায়। এ দিন দাঁতন স্টেশন রোডের বাঁকি বাজারের ব্যবসায়ী কানাইলাল চন্দ ও তাঁর স্ত্রী মীনাক্ষিদেবী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা তুলে হেঁটে দোকানে আসছিলেন। সরাইবাজার স্টেশন রোডে আচমকা দুই মোটর সাইকেল আরোহী তাঁদের ধাক্কা মারে। তারপর টাকার ব্যাগ নিয়ে পালায় তারা। মোটর সাইকেলেই তাদের পিছু নেন বাসিন্দারা। দু’জনেই ধরা পড়ে।
|
শিক্ষকদের বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোয়ালতোড় |
নিয়োগপত্র দেওয়া, সরকারি নিয়ম মেনে বেতন-সহ একগুচ্ছ দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন গোয়ালতোড় কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষকেরা। কলেজের প্রধান ফটক, অফিসঘর ও ক্লাসরুমে তালা ঝুলিয়ে মঙ্গলবার বিক্ষোভ চলে। বিঘ্নিত হয় পঠনপাঠন-সহ যাবতীয় কাজ। পড়ুয়া, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী, এমনকী অধ্যক্ষও কলেজে ঢুকতে পারেননি। আন্দোলনকারীদের পক্ষে শিশির হাজরার অভিযোগ, “এই কলেজে আমরা ৩৪ জন আংশিক সময়ের শিক্ষক রয়েছি। ১৬ মাস বেতন পাইনি। সরকারি নিয়োগপত্রও হাতে পাইনি। কলেজ কর্তৃপক্ষকে বারবার আবেদন করেও লাভ হয়নি।” অধ্যক্ষ হরিহর ভৌমিক বলেন, “শিক্ষা দফতরের গাফিলতিতেই ওই শিক্ষকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন। আমরা ঠিক সময়ে সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি।”
|
রেলের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা সেরসায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ইন্টার ডিভিশন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হল মঙ্গলবার। সেরসা স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার সূচনায় উপস্থিত ছিলেন খড়গপুরের ডিআরএম আর কে কুলশ্রেষ্ঠ-সহ বিশিষ্টরা। চক্রধরপুর, আদ্রা, রাঁচি, খড়গপুর এই চারটি ডিভিশন প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে। সেরসার ক্রীড়া সম্পাদক রাজেশ সিংহ জানান, আজ, বুধবার প্রতিযোগিতার ফাইনাল। |
|