সুব্রত: সফল অধিনায়ক
ইতিহাস ভুলে সুব্রত-সুনীলের চোখ প্রাক বিশ্বকাপে
ই দু’জনেই ভারতের নেতৃত্ব দিলেন পরপর দুটো ম্যাচে। ভাইচুং-উত্তর ভারতীয় ফুটবলের এই দু’জনই সেরা বিজ্ঞাপন। আর্মান্দো কোলাসোর জমানায় এঁরা এখন রুমমেট।
দোহা থেকে রবিবার বিকেলে ফোনে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সুব্রত পাল ও সুনীল ছেত্রী দু’জনেই নিষ্পৃহ গলায় বলছেন, কাতার ম্যাচ অতীত। তাঁদের পাখির চোখ এখন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে প্রাক বিশ্বকাপের ম্যাচ। আর একটা মিল, দু’জনেরই ভাইচুং ভুটিয়া সম্পর্কে গলায় অসম্ভব শ্রদ্ধা। মনে করছেন, আদর্শ অধিনায়ক তিনি।
সোমবারই দোহা থেকে দুবাই চলে গেল ভারতীয় দল। প্রাক বিশ্বকাপের আসল ম্যাচ খেলতে। কাতারের বিরুদ্ধে ইতিহাস গড়েও সুব্রত বললেন, “কালকের ম্যাচটা নিয়ে আর কিছু ভাবছি না। বাড়তি তৃপ্তি নিয়ে ভাবার সময় এটা নয়। আমার খিদে বেশি, তৃপ্তি কম। এ সব ভাবব, খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরে। আমার একটাই প্রার্থনা, আমাদের টিমের সবাই যেন সুস্থ থাকে।” নেতৃত্ব কেমন উপভোগ করলেন? সুব্রত বললেন, “আমাদের দলে সবাই ক্যাপ্টেন। সবাই সমান ভূমিকায়। ও সব নিয়ে আমি সত্যিই ভাবি না। শুধু দেশের হয়ে নামলে জিততে চাই। সেটা পাড়ার ক্লাবের হয়ে খেললেও এক মনোভাব থাকে।” তার পরে ভাইচুং প্রসঙ্গে ঢুকে গেলেন, “আসল নেতা হল ভাইচুং। ও ড্রেসিংরুমে থাকলে পরিবেশই বদলে যায়। ও হল জন্মগত নেতা।”
কাতার ম্যাচে ভারতীয় দলে খেলেছেন চার বাঙালি। সুব্রত, দেবব্রত, নবি ও মেহতাব। পরে লালকমল নামেন পরিবর্ত হিসেবে। সুব্রত বললেন, “এখানে বাঙালি বলে কেউ নেই। ও ভাবে ভাবছিই না। সবাই ভারতীয়। আমরা কেউ সন্তোষ ট্রফি খেলতে আসিনি।” কাতারের এই স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে অস্ট্রেলিয়া, বাহরিনের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল। তবু রবিবারও প্রচুর ভারতীয় সমর্থক আসেন। তাঁদের সামনে জিততে পেরে সুব্রত খুশি। বললেন, “সিনিয়র লেভেলে কোনও দিন এই অঞ্চলের টিমকে হারাতে পারিনি। তবে অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগে একবার হারিয়েছিলাম। জেতাটা সব সময় আনন্দদায়ক। এটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে।”
সুনীল ছেত্রীর মুখেও একই কথা। সামনে তাকাতে চান। আগের দিন তিনি ভারতীয় দলের মতোই ইতিহাস গড়েছেন। ম্যাচে গোল করে বসে যাওয়ার পরে টুইটারে লিখতে বসেছিলেন ম্যাচ নিয়ে। তখনও খেলা চলছে। ওই প্রসঙ্গ তুললে সুনীল বললেন, “অনেকে বলছে, বেঞ্চে বসে লিখলে কী করে? আসলে আমি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে চলে গেছিলাম। খেলা দেখতে দেখতে কানে হেডফোনে গান শুনছিলাম। তার পরে শুনলাম, পুরো স্টেডিয়াম ওয়াই ফাই জোন। তাই টুইট শুরু করি।” সুনীল মেনে নিলেন, মোহনবাগানে খেলার সম্ভাবনাই বেশি। কথাবার্তা প্রায় পাকা। তবে এখন আর ক্লাবের কথা নয়, তাঁর মুখে শুধু দেশ। সুব্রতর মতোই।

Previous Story Khela Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.