কবরস্থানে ফের হামলা হাতির দলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
বাঁকুড়ায় ঢোকা দলমার হাতির ছোট দলটি সোনামুখী ও রাধানগরে তাণ্ডব চালিয়েছে আগেই। এখন তারা হানা দিচ্ছে বিষ্ণুপুর বনবিভাগের বাঁকাদহ রেঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে।
সোমবার বাঁকাদহ রেঞ্জের রাজপুর গ্রামে একটি কবরস্থানে ঢুকে শুঁড় দিয়ে সাতটি কবরের মাটি তুলে ফেলে হাতির দলটি। এলাকা থেকে হাতিগুলিকে সরানোর দাবিতে এ দিন বন দফতরের রেঞ্জ কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। ওই গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের খান বলেন, “এর আগে কবরস্থানের পাঁচিল ভেঙেছিল হাতির দল। এ বার মাটির তলা থেকে দেহ খুঁড়ে বের করল। পাশাপাশি সব্জি খেতেও ব্যাপক ক্ষতি করেছে। বন দফতর এসব দেখেও কিছুই করছে না।” তাঁরা দ্রুত হাতিগুলিকে সরানোর ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বাঁকাদহের রেঞ্জ অফিসার বলাই ঘোষ বলেন, “এ রকম ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। আমরা বিষয়টি দেখার ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি।” |
|
বাঁকাদহ রেঞ্জের বালিগুমা গ্রামে শুভ্র মিত্রের তোলা ছবি। |
এর আগে রবিবার রাতে বাঁকাদহেরই বালিগুমা গ্রামে ঢুকে সুমি হেমব্রমের মাটির বাড়ি ভেঙে দেয় হাতিরা। দুই মেয়েকে নিয়ে প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বাঁচেন ওই বধূ। তাঁর দেওর কানন হেমব্রম বলেন, “বৌদি ও দুই ভাইঝি কোনও রকমে প্রাণে বেঁচেছে। ঘরের কোনও জিনিস আস্ত রাখেনি। ঘরের রাখা রান্নার চাল খেয়ে, ছড়িয়ে রান্নার বাসনপত্র ভেঙে দুমড়ে দিয়েছে হাতির দলটি।” পাশের মাজুড়িয়া গ্রামের আশিস পালুইয়ের তিন বিঘে জমির কুমড়ো ও মেঘনাদ মণ্ডলের দু’বিঘে জমির ঝিঙে মাচা নষ্ট করে দিয়েছে হাতিরা। ক্ষতি করেছে দুনদুড় গ্রামের একটি কবর স্থানেরও। বাঁকাদহের রেঞ্জ অফিসার বলেন, “হাতির দলটি এখন বাঁকুড়া-পশ্চিম মেদিনীপুর সীমান্তের গ্রাম নাচনা ও গিলাবনিতে রয়েছে।” দলটিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের হুমগড়ের দিকে পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। |
|