টুকরো খবর
|
পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগে স্মারকলিপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাল তৃণমূল। মঙ্গলবার দুপুরে আরামবাগের বিডিও মৃণালকান্তি গুঁইয়ের কাছে আরামবাগের সিপিএম পরিচালিত হরিণখোলা ১ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি জমা পড়ে। তৃণমূলের দাবি, শিবপুর ও মজফ্ফরপুরে মুণ্ডেশ্বরী নদীর বাঁধ তৈরির মাটি কেটে বিক্রি করেছেন কিছু পঞ্চায়েত সদস্য। সে কথা পঞ্চায়েতেরও অজানা নয় বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও বছর দশেক আগে মধুরপুর মৌজায় পঞ্চায়েত ৬টি মিনি ডিপ টিউবয়েল বসায়। সিপিএমের স্থানীয় কিছু নেতা সেচের জল বাবদ চাষিদের থেকে টাকা আদায় করলেও পঞ্চায়েতের তরফে কোনও বিল দেওয়া হয়নি। ওই মিনিগুলি থেকে এ পর্যন্ত কত আয় হয়েছে, তার কোনও হিসেব পঞ্চায়েতের কাছে নেই। অভিযোগ, কয়েক লক্ষ টাকা এই খাতে আত্মসাৎ করেছে সিপিএমের লোকজন। এ ছাড়াও, সরকারি প্রকল্পে জলের কলের কিছু পাইপ সিপিএমের লোকজন পঞ্চায়েতের মদতে আত্মসাৎ করে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ মফিজুদ্দিন এবং বিনয় পাল জানান, গত ৩ জুন এ সব দুর্নীতির কথা প্রধান সিপিএমের অজিত রায় লিখিত ভাবে স্বীকার করেছিলেন। ওই ‘স্বীকারপত্র’ ব্লক প্রশাসনে জমা দেওয়ার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে এ দিন। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। অজিতবাবু বলেন, “সে সময়ে চাপে পড়ে স্বীকারপত্র লিখে দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। অভিযোগগুলি তদন্ত করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমার স্বীকারপত্র কখনও দুর্নীতির প্রমাণ হতে পারে না।” বিডিও বলেন, “তদন্ত হবে। দুর্নীতি প্রমাণ হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
মিড-ডে’র টাকায় দুর্নীতির অভিযোগে ঘেরাও স্কুলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মিড ডে মিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল আগেই। সপ্তাহ খানেক আগে এ ব্যাপারে অভিযোগ জমা পড়ে বিডিও-র কাছে। কিন্তু প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার ঘেরাও করা হয় স্কুলে। ছাত্রছাত্রীদের বের করে দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। খবর পেয়ে পুলিশও গিয়েছিল। ঘটনাটি খানাকুলের হেলান নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের। তৃণমূলের নেতৃত্বেই এ দিন ঘেরাও-বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। যদিও সে কথা দলের নেতারা মানতে চাননি। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, প্রধান শিক্ষিকা সামসুরা খাতুন গত ছ’বছর ধরে মিড ডে মিলের টাকার একটা অংশ আত্মসাৎ করেছেন। খাবার দেওয়া হত অত্যন্ত নিম্নমানের। সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতের কাছ থেকে টাকার হিসেব চেয়েও আগে পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ। গত ১১ জুলাই ‘দুর্নীতি’র ঘটনা বিডিওকে লিখিত ভাবে জানানো হয়। কিন্তু প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেই এ দিন ঘেরাও করা হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শেখ জামাল মল্লিক, শেখ এক্তিয়ার আলি, শেখ হামেদুল হক, শেখ জামাল মল্লিক, শেখ হীরা প্রমুখ। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকার বক্তব্য, “ডাহা মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ওরা সিবিআইকে ডেকে তদন্ত করাক। পরিবর্তনের নামে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে তৃণমূল।” বিডিও সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় আগামী ২৭ জুলাই প্রশাসনের সঙ্গে প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শককে নিয়ে সরেজমিনে যুগ্ম তদন্তের আশ্বাস দিলে তালা খুলে মুক্ত করা হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
|
ধনেখালিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত স্কুল ছাত্র, জখম সাত
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধনেখালি |
ট্রেকারে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক স্কুল ছাত্রের। তাকে পাশ কাটাতে গিয়ে ট্রেকারটি উল্টে যায়। জখম হন অন্তত ৭ যাত্রী। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ধনেখালির থানার পারাম্বুয়া জগন্নাথপুরে। পুলিশ জানায়, মৃত ছাত্রের নাম সুরজিৎ বারিক (১১)। ট্রেকারটিকে আটক করেছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ স্কুল ছুটির পর সাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিল সুরজিৎ। পথে তারকেশ্বর ফিডার রোডে সে সাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ছাত্রটিকে বাঁচাতে ব্রেক কষেন ট্রেকারটির চালক। তীব্র ঝাঁকুনিতে উল্টে যায় ট্রেকারটি। পথচারীরা দ্রুত ওই ছাত্র এবং জখমদের তারকেশ্বর বদ্যিপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা ছাত্রটিকে মৃত ঘোষণা করেন। পারাম্বুয়া জগন্নাথপুর জগদ্ধাত্রী হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল সুরজিৎ। তার বাড়ি গোবিন্দপুর গ্রামে। ট্রেকারের যাত্রীদের আঘাত ততটা গুরুতর নয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
|
চোলাইয়ের ঠেক ভাঙতে অভিযান
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
মঙ্গলবার দুপুরে উলুবেড়িয়ার সোমরুক গ্রামে হানা দিয়ে পুলিশ ৮টি চোলাই মদ তৈরির কারখানা ভেঙে দিয়েছে। তিন জন চোলাই মদের ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমরুক গ্রামে রয়েছে প্রচুর চোলাই মদ তৈরির কারখানা। কারখানাগুলি থেকে বর্জ্য এসে জমিতে পড়ে চাষ নষ্ট করে দেয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের কাছে বহুবার চোলাই মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য আবেদন করে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশকে দেখে বেশিরভাগ চোলাই মদের কারবারি চম্পট দিতে পারলেও তিন জন ধরা পড়ে যায়। প্রায় ৬০ হাজার লিটার চোলাই মদ তৈরির উপকরণ নষ্ট করে দেওয়া হয়। ১০০ লিটার চোলাই মদ বাজেয়াপ্ত হয়।
|
গুপ্তিপাড়ায় মৃত্যু দুই বালকের
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুপ্তিপাড়া |
মঙ্গলবার গুপ্তিপাড়ার চারাবাগানে বাজ পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম অজয় মণ্ডল (১৬) এবং জয়দেব দাস (১২)। তাঁরা সম্পর্কিত ভাই। বর্ধমানের কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। |
|