আমাদের স্কুল

রঘুদেববাটি সাধারণের বিদ্যালয়
ছাত্র-ছাত্রী: ২৫৫৬ জন
শিক্ষক-শিক্ষিকা: ৪০ জন
পার্শ্ব শিক্ষক: ৬ জন
বৃত্তিমূলক বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষিকা: ১৬ জন
গ্রন্থাগারিক: ১ জন
শিক্ষাকর্মী: ৪ জন
২০১১ সালের মাধ্যমিকে পাশের হার ৭২ শতাংশ।
এই বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের হার ৮৯ শতাংশ।



দুঃস্থ মেধাবীদের দিকে
লক্ষ্য রাখা হয়
অতীশকুমার গায়েন
অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করে জ্ঞানের আলোকবর্তিকা প্রজ্বলিত করার লক্ষ্য নিয়ে কয়েক জন শিক্ষানুরাগী মানুষের অক্লান্ত প্রচেষ্টা এবং সাধারণ মানুষের সমর্থন, সহানুভূতি ও আর্থিক সহায়তায় ২ জানুয়ারি ১৯৫১ সালে গড়ে ওঠে ‘সাধারণের বিদ্যালয়’। এলাকাটি শিক্ষা ও অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া তপসিলি জাতি ও সংখ্যালঘু মানুষ অধ্যুষিত। ১৯৫৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা বিভাগের আনুকূল্যে এই বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রূপে সরকারি অনুমোদন লাভ করে। পরবর্তী কালে সরকারি আমলাদের খেয়ালে বিদ্যালয়ের নাম হয় ‘রঘুদেববাটী সাধারণের বিদ্যালয়’।
দরিদ্র ও স্বল্প-মেধা ছাত্রছাত্রীদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার পরম্পরা আমরা রক্ষা করে চলেছি জন্মলগ্ন থেকে। কালের বিবর্তনে ও কর্মমুখীন, যুগোপযোগী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে ২০০৬ সালে “বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিভাগের” শুভ সূচনা হয়।
বিদ্যালয়ে নানাবিধ সমস্যার মধ্যেও শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের আন্তরিকতা ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় শিক্ষার সর্বাঙ্গীণ পরিবেশের মানোন্নয়ন করা সম্ভবপর হয়েছে। শিক্ষা ছাড়া ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চার যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছে এই বিদ্যালয়। যদিও ক্রীড়াচর্চার অন্যতম সমস্যা হল খেলার মাঠের অভাব।
বিদ্যালয়ের পদার্থ, রসায়ন ও জীববিদ্যা এবং ভূগোলের পরীক্ষাগারগুলির সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। আর্থিক সংকটের দরুন আধুনিকীকরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বৃত্তিমূলক বিভাগের কম্পিউটার এবং অন্যান্য ওয়ার্কশপগুলিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
নানান প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও এই বিদ্যালয়ের সামগ্রিক ফলাফল অত্যন্ত ভাল। বৃত্তিমূলক বিভাগের সাফল্য সমগ্র জেলার প্রথম সারিতে, এই দাবি অমূলক নয়। দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সমস্ত রকম সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে এই বিদ্যালয়।

আমার চোখে

সায়ন্ত মুখোপাধ্যায়
রঘুদেববাটী সাধারণের বিদ্যালয়-এর আমি দশম শ্রেণির ছাত্র। এই বিদ্যালয়ে আমি ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে পাঠ করছি। আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা অত্যন্ত আন্তরিক। অনেক সময় ক্লাসে বুঝতে না পারা বিষয়গুলি তাঁরা টিফিনের সময় বা ছুটির পরও বুঝিয়ে দেন। এখানকার ছাত্র হিসাবে আমি অত্যন্ত গর্বিত। ভবিষ্যতে এই বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় ভাল ফল করে বিদ্যালয়ের প্রতি আমার প্রতিদানটুকু আমি দিতে চাই।
Previous Story South Next Item



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.