|
|
|
|
রাজধানী এক্সপ্রেসে ধৃত শ্যামল খুনের দুই অভিযুক্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
দীর্ঘদিন গা-ঢাকা দিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হল না হুগলির ত্রাস হুবা শ্যামল খুনের ঘটনায় প্রধান দুই অভিযুক্ত চিকুয়া ও নেপুর। ওত পেতে থাকা হুগলি পুলিশের একটি টিম ডাউন আসানসোলে শিয়ালদহগামী রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে মঙ্গলবার তাদের গ্রেফতার করে। সড়ক পথে তাদের শ্রীরামপুরে ধৃতদের নিয়ে আসা হয় এ দিন। হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল) দেবাশিস বেজ বলেন, “ধৃতেরা জেরায় শ্যামলকে খুন করার কথা কবুল করেছে।”
হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতী হুব্বা শ্যামল গত ২৯ মে নিখোঁজ হয়ে যায়। তার স্ত্রী সে সময়ে পুলিশের কাছে নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি ডায়েরি করেন। এর কিছুদিন পর বৈদ্যবাটী খাল থেকে তার পচাগলা ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ আর এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী রমেশ এবং তার সাগরেদ জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করে। কিন্তু পুলিশ নিশ্চিত ছিল শ্যামল খুনের অন্যতম প্রধান দুই অভিযুক্ত চিকুয়া এবং নেপু গিরি। এরপর পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করতে হন্যে হয়ে খোঁজখবর শুরু করে। কিন্তু গত মে মাসে হুব্বা খুন হলেও এতদিন তাদের টিঁকিটিও ছুঁতে পারেনি পুলিশ।
যদিও তদন্ত চলছিল, রিষড়া এবং শ্রীরামপুর থানার পুলিশদের নিয়ে একাধিক দলে ভাগ হয়ে পুলিশ তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। তাতেই সাফল্য মেলে। সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে হিমাচল প্রদেশের সিমলায় তারা ঘাঁটি গেড়েছে। জেলা পুলিশের একটি টিম সেখানে পাড়ি দেয়। কিন্তু পোড় খাওয়া দুই দুষ্কৃতী পুলিশের জাল কেটে পালিয়ে যায়। তাদের খোঁজে দিল্লিতেও হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু দুষ্কৃতীরা বার বার নিজেদের অবস্থান বদল করতে থাকে।
পুলিশ এ দিন একটি নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পায়, ওই দুই দুষ্কৃতী ডাউন শিয়ালদহ এক্সপ্রেসে রয়েছে। মঙ্গলবার শ্রীরামপুর থানার আইসি তথাগত পাণ্ডে এবং রিষড়া থানার ওসি অনুদ্যূতি মজুমদারের নেতৃত্বে একাধিক দলে ভাগ হয়ে জাল বিছোয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ নিশ্চিত হওয়ার পরই ধানবাদ থেকে রাজধানীতে ওঠে। আসানসোলে মঙ্গলবার ডাউন রাজধানী এক্সপ্রেসে দু’জন ধরা পড়ে যায়। নেপু গিরি ট্রেনের মধ্যে নিজেকে পুলিশের কাছে কলেজ ছাত্র পরিচয় দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে। কিন্তু আখেরে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে পারেনি। |
|
|
|
|
|