পরমাণু চুক্তি নিয়ে দিল্লিকে চাপ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় আমেরিকা ভারতের পাশে থাকবে ঠিকই। তবে দিল্লিকেও পরমাণু দায়বদ্ধতা বিল নিয়ে ‘শর্ত পূরণ’ করতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন হিলারি ক্লিন্টন। আরও খুলতে হবে ভারতের বাজারও। আজ ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় এই দাবি তুলে ধরেছেন মার্কিন বিদেশসচিব এবং সাংবাদিক বৈঠকে তা জানিয়েও দিয়েছেন। ভারতের সঙ্গে অসামরিক পরমাণু চুক্তি এগিয়ে নিয়ে যেতে আমেরিকা যে আগ্রহী আজ সাংবাদিক বৈঠকে একাধিকবার সে কথা বলেছেন হিলারি। সেই সঙ্গে স্পষ্ট জানান যে দায়বদ্ধতা বিল নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তার নিরসন না হলে মার্কিন বেসরকারি সংস্থাগুলি পরমাণু ক্ষেত্রে লগ্নি করতে উৎসাহী হবে না। তাঁর কথায়, “ভারত যে বিলটি পাশ করেছে তাতে সরবরাহকারীরা পরমাণু চুল্লি গঠনের ৮০ বছর পর্যন্ত কোনও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী থাকবে। বেসরকারি সংস্থাগুলি এটা মেনে নেবে না।” তা পরিবর্তনের জন্য নয়াদিল্লির উপর চাপ তৈরি করেছেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে হিলারি স্পষ্ট বলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ভারতকে ‘পরিপূরক ক্ষতিপূরণ’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদ অনুমোদন করতে হবে। |
|
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টন। এপি |
আমেরিকায় কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যেও আজ সক্রিয় থেকেছেন হিলারি। ঠিক আট মাস আগে ভারতে এসে স্পষ্ট ভাষায় ভারতের ‘বাজার’ ধরার আহ্বান জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আর্থিক মন্দার ধাক্কায় আক্রান্ত আমেরিকার মানুষের কর্মসংস্থান ছিল তাঁর সফরের মূল লক্ষ্য। আজ তাঁর বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টনও একই রাস্তায় হেঁটে জানিয়েছেন, আরও খুলে দেওয়া হোক ভারতের বাজার। সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে ভারতকে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি হিলারি ভারতীয় নেতৃত্বের কাছে অনুরোধ করেছেন, নতুন ‘কর্মসংস্থান’ এবং ‘বাণিজ্য সম্ভাবনা’ গড়ে তুলতে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে দেওয়া হোক।
আজ কেন্দ্রীয় অথর্মন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। খুচরো শিল্পক্ষেত্রে এবং কৃষিভিত্তিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে চায় আমেরিকা। এ ব্যাপারেও প্রণববাবুকে অনুরোধ করেছেন হিলারি। |
|