|
|
|
|
এসপিও-দের ব্যাপারে ‘ধীরে চলো’ নীতি বিহারে |
অত্রি মিত্র • পটনা |
সমান্তরাল প্রতিরোধ বাহিনী নয়, এসপিও-দের মাধ্যমে গোয়েন্দা ‘নেটওয়ার্ক’ বাড়ানোই লক্ষ্য বিহার সরকারের। তাই সালওয়া জুড়ুম কিংবা স্পেশ্যাল পুলিশ অফিসার (এসপিও) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাঁরা চিন্তিত নন বলেই জানিয়েছেন বিহার পুলিশের প্রধান নীলমণি। ডিজি নীলমণির কথায়, “সুপ্রিম কোর্টের মূল আপত্তি এসপিও-দের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে। আমরা কিন্তু এসপিও-দের হাতে কখনওই অস্ত্র তুলে দিইনি। তার পরিকল্পনাও নেই। তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।”
উল্লেখ্য, ছত্তীসগঢ়ে বহু দিন ধরেই মাওবাদী-মোকাবিলায় স্থানীয় আদিবাসী যুবক-যুবতীদের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি হয়েছে পুলিশের বিশেষ বাহিনী। যে বাহিনীর পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘কোয়া কম্যান্ডো’। সম্প্রতি বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি এবং বিচারপতি এস এস নিজ্জরের নেতৃত্বে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই ‘সালওয়া জুড়ুম’ ব্যবস্থাকেই ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়েছে। ছত্তীসগঢ় সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এসপিও-দের হাতে যে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে তা ফিরিয়ে নিতে হবে।
তবে, শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশ আসার পরে এসপিও-দের নিয়ে অবশ্য আপাতত ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েই চলতে চাইছে বিহার প্রশাসন। নতুন করে এসপিও সংক্রান্ত কোনও পরিকল্পনা না-করার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ করে, সে দিকেও নজর রাখছে বিহার সরকার। নীলমণির কথায়, “এসপিও তৈরির পরিকল্পনা বিহার সরকারের নয়। এটা একেবারেই কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতি রাজ্যে কত জন এসপিও নিয়োগ করা যাবে, সে বিষয়েও কেন্দ্রের সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। সেই নির্দেশ মেনেই আমাদের রাজ্যে ছ’হাজার এসপিও নিয়োগ করা হয়েছে।” তবে নীলমণির দাবি, বিহারে এসপিও-দের কখনওই মাওবাদী-বিরোধী অভিযানে সরাসরি ব্যবহার করা হয়নি। বরং মাওবাদী গতিবিধির উপরে নজরদারির করার কাজেই তাদের ব্যবহার করা হয়েছে। এই কাজের জন্য কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনেই এসপিও-দের মাসে ৩ হাজার টাকা বেতন হিসেবে দেওয়া হয়। তবে পুলিশের একাংশ জানাচ্ছে, বিহারে যে একেবারে এসপিও-দের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়নি, এমনটা নয়। তাঁদের দাবি, তা হয়েছে অনেকটাই ঘুরপথে। |
|
|
|
|
|