টুকরো খবর

বন্যায় বিপর্যস্ত অসম-অরুণাচল
অসমে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হচ্ছে। এখনও অবধি, পাঁচটি জেলা মিলিয়ে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ ঘরছাড়া। ব্রহ্মপুত্র, ধুবুরি, দিসাং, জিয়াভরালি ও ধানসিরি নদীর জল বিপদসীমা ছাড়ানোয় প্রায় ৮০০টি গ্রাম এখন জলের তলায়। নদীদ্বীপ মাজুলির অবস্থা সব থেকে শোচনীয়। দুই জায়গায় মাটির বাঁধ ভেঙে নদের জল ঢুকে পড়েছে। এমনকী, দ্বীপের একাংশ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। আটকে পড়েছেন বহু মানুষ। লখিমপুর ও ধেমাজি জেলা মিলিয়ে ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। সরকারি দফতর, স্কুল, রেলস্টেশনে আশ্রয় নিয়েছে মানুষ। গোহপুরে ডুবেছে ৫০টি গ্রাম। ৫২ নম্বর জাতীয় সড়কের অনেকটা অংশে যান চলাচল বন্ধ। কাজিরাঙার পাশাপাশি, পবিতরা জাতীয় উদ্যানেও বন্যার জল বাড়ছে। প্রাণীদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন ও বনবিভাগের ঘুম ছুটেছে। অন্য দিকে অরুণাচলেও প্রবল বৃষ্টি ও ধসে জনজীবন বিপর্যস্ত। ইটানগর পুলিশ জানায়, ধস চাপা পড়ে দুই শিশু-সহ তিনজনের মৃত্যু ঘটেছে। নানা স্থানে ধস নামায় ইটানগর-বান্দেরদেওয়া ও ইটানগর-হলঙ্গি যোগাযোগ ভেঙে পড়ার সামিল।

যৌনকর্মীদের নিয়ে সমীক্ষার নির্দেশ
পুনর্বাসন নিতে ইচ্ছুক যৌনকর্মীদের সংখ্যা জানার জন্য কেন্দ্র-রাজ্য-কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সমীক্ষা চালাতে বলল শীর্ষ আদালত। যৌনকর্মীদের জীবনের মানোন্নয়নের জন্য দু’সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে প্রস্তাবও পাঠাতে বলেছে দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। যৌনকর্মীদের মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার সুযোগ করে দিতে তাঁদের কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা জরুরি। এ ব্যাপারে কেন্দ্র, রাজ্যগুলিকে প্রকল্পের খসড়াও জমা দিতে বলেছে বেঞ্চ।

বিস্ফোরণে ৬ ‘নয়া’ জঙ্গি, দাবি এটিএসের
মুম্বইয়ে বিস্ফোরক রাখার কাজে ছ’জন জঙ্গি জড়িত ছিল বলে দাবি করল মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা (এটিএস)। এটিএস-এর এক কর্তা বলেন, “ওই ছ’জনকে সম্প্রতি দলে নেওয়া হয়। এদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ এবং গুজরাতের যোগাযোগ আছে। আমাদের কাছে প্রমাণও আছে।” তবে, যোগাযোগটা ঠিক কী, তা বলতে অস্বীকার করেন ওই কর্তা। বিস্ফোরণের আগে জঙ্গিরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছিল বলেও জানান তিনি।

বাবার কলেজে তেজ
কলেজে আজই প্রথম দিন ছিল লালুপ্রসাদের বড় ছেলে তেজপ্রতাপের। পটনার বি এন কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েছেন তেজপ্রতাপ। লালুও এই কলেজ থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স পাশ করেন। এখান থেকেই লালুর রাজনৈতিক জীবনেরও সূচনা। লালুর ছোট ছেলে তেজস্বী গত বিধানসভা নির্বাচনে মা রাবড়ী দেবীর হয়ে প্রচারে নামলেও তেজপ্রতাপ এখনও সে ভাবে রাজনীতি করেননি। এ বার কী করেন সেটাই দেখার।

মুক্তি পেল অপহৃত তরুণ
অপহরণকারীদের হাত থেকে ছাড়া পেয়েছে হাইলাকান্দি থেকে অপহৃত তরুণ শামিম আহমেদ। শামিমের বাবা পেশায় শিক্ষক একরামউদ্দিন আজ জানান, কাল রাতে মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছেলে। পুলিশ ও জনতার যৌথ অভিযানে অপহরণকারী দুষ্কৃতীরা মুক্তিপণ পাওয়ার আশা ছেড়ে পালায়। তার আগে শামিমকে তারা কুন্দনালার পাহাড় এলাকায় ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে। শামিম পাহাড় থেকে হাঁটতে হাঁটতে লালছড়ায় এসে সেখানকার লোককে নিজের পরিচয় দিয়ে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর একরাম নিজেই ছেলেকে নিয়ে গিয়ে আনেন।

পুত্তাপুর্তির আশ্রমে ফের মিলল সোনা
এ যেন ধনকুবেরের ভাণ্ডার। প্রত্যেক বারই নতুন করে মিলছে ধনরত্নের সম্ভার। এই নিয়ে তৃতীয় বার পুত্তাপুর্তির প্রশান্তি নিলয়ম আশ্রমে তল্লাশি চালানো হল। উদ্ধার হল সাড়ে ৩৪ কেজি সোনা, ৩৪০ কেজি রুপো ও নগদ ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। আর সেই সঙ্গে সত্য সাই ট্রাস্টের ভূমিকা নিয়েও ফের প্রশ্ন উঠল। অনন্তপুর জেলা কালেক্টর সাংবাদিকদের জানান, সোমবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে তল্লাশি শুরু হয়। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে চলে এই তল্লাশি। আশ্রমের ছ’টি ঘর থেকে এই সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে সোনার দুল, চুড়ি ও বালা ছাড়াও রয়েছে রুপোর বাসন ও পুজোর সামগ্রী। আয়কর দফতরের আদেশে এই সম্পত্তি একটি ব্যাঙ্কে জমা করা হয়েছে। এখনও আশ্রমের অনেক ঘরে তল্লাশি চালানো সম্ভব হয়নি। তদন্তকারী অফিসারদের ধারণা, এগুলো থেকে আরও অনেক সম্পত্তি পাওয়া যেতে পারে। গত ২৪ এপ্রিল সত্য সাইয়ের মৃত্যুর পরে তাঁর অগাধ সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ জুন প্রথম সাইয়ের নিজস্ব ঘরে তল্লাশি চালায় ট্রাস্ট। উদ্ধার হয় প্রায় ৯৮ কেজি সোনা, ৩০৭ কেজি রুপো ও নগদ ১১ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা।

পার্সেল বোমা নিয়ে কেন্দ্রের হুঁশিয়ারি
অচেনা কারও উপহারের প্যাকেট খোলার ব্যাপারে প্রতিটি রাজ্যের মন্ত্রী ও ভিআইপি-দের সতর্ক করল কেন্দ্র। কেননা তাতে উপহারের বদলে বোমা থাকতে পারে। প্রতিটি পার্সেল খোলার আগে তাই বিস্ফোরক-সন্ধানী যন্ত্রে পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে আজ এই মর্মে হুঁশিয়ারি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। ২০০৭-এ ব্রিটেন ও আমেরিকায় পার্সেল বোমা পাঠানোর বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছিল। জঙ্গিরা ভারতেও এ বার নাশকতার এই পথ নিতে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রের।

পুড়ে মৃত্যু বধূর
আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল এক বধূর (২৪)। গুরুতর জখম রিঙ্কিদেবীর দেড় বছরের শিশুকন্যা। ঘটনাটি ঘটে গোপাবন্ধুপল্লী গ্রামে। মৃতার ভাই সুনীল গুপ্ত স্বামী প্রেম চাঁদ ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরূদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তাঁদের জেরার জন্য আটক করা হয়েছে।

রাহুলের তুলনা টেনে বিতর্কের মুখে ক্যাটরিনা
রাহুল গাঁধীকে আধা-ভারতীয় বলে বিতর্কের মুখে পড়লেন বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ। ক্যাটরিনার বাবা ভারতীয়, মা ব্রিটিশ। তাঁর নাগরিকত্ব সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এত বিভ্রান্তি কেন বুঝি না। আমার মা যে ব্রিটিশ, তা তো কখনও লুকোইনি। আমার কি এ জন্য লজ্জা পাওয়া উচিত যে আমি আধা-ইউরোপীয়, আধা-এশীয়? তা হলে তো রাহুল গাঁধীও আধা-ভারতীয়, আধা-ইতালীয়।” এ ব্যাপারে দলের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি বলেন, “কে ক্যাটরিনা? তিনি কে? রাজনীতি সিরিয়াস বিষয়। সুতরাং কে কী মন্তব্য করলেন তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেব না।” বিজেপি-ও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চায়নি। বিতর্ক বাড়িয়েছে শিবসেনা। মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত এ দিন বলেন, “রাহুলই আসলে কংগ্রেসের ক্যাটরিনা।” নিজের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বিরক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে ক্যাটরিনা যে এ ভাবে বিতর্কে জড়িয়ে পড়বেন তা বুঝি নিজেও বুঝতে পারেননি। দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, “কাউকে আঘাত করতে ও কথা বলিনি।”

বিস্ফোরণস্থলে উদ্ধার ২৫ কোটির হিরে
মুম্বইয়ের অপেরা হাউসের সামনে, বিস্ফোরণস্থল থেকে গত কাল উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৬৫টি হিরে। যার মূল্য, অন্তত ২৫ কোটি টাকা। ১৩ জুলাইয়ের বিস্ফোরণের পর এখন চলছে রাস্তা থেকে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ। গত কাল রাস্তা পরিস্কার করতে গিয়েই প্রায় ৬৫টি হিরের টুকরো পেয়েছে উদ্ধারকারী দল। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সেগুলি। ধ্বংসস্তুপের নীচে এখনও কোটি কোটি টাকার হিরে চাপা পড়ে রয়েছে বলে অনুমান।
Previous Story Desh First Page


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.