আগামী ২০১৫-এর মধ্যে ইন্টারনেটে মোট তথ্যের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৪.৪ এক্সাবাইট (১ এক্সাবাইট=১০০ কোটি জিবি)। ২০১০-এর ১.৬ এক্সাবাইটের তুলনায় যা ৯ গুণ বেশি। আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা সিস্কোর ‘ভিজ্যুয়াল নেটওয়ার্কিং ইনডেক্স’ রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত প্রতি বছরে ৫৪% হারে বাড়বে ইন্টারনেটে মোট তথ্যের পরিমাণ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের ক্ষেত্রে ২০১৫ সালে বছরে ৩০০ কোটি ডিভিডি-তে জমা রাখার মতো তথ্য আদানপ্রদান হবে। প্রতি মাসে তা ২৭.৩০ কোটি এবং প্রতি ঘন্টায় ৩৭৪,৩৭২টি। দেশের ক্ষেত্রে ২০০৫-এর তুলনায় এই পরিমাণ প্রায় ৫৩ গুণ। সেখানে ২০১৫ সালে শুধুমাত্র মোবাইলেই তথ্যের মোট পরিমাণ ২০১০-এর তুলনায় বাড়বে প্রায় ১১৪ গুণ। প্রতি বছর যার চক্রবৃদ্ধি হার ১৫৮%। পাশাপাশি, ওই সময়ে ইন্টারনেটের সুবিধা রয়েছে এমন পণ্যের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০০ কোটি। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্রডব্যান্ডের গতিও বাড়বে প্রায় ৪.১ গুণ।
সিস্কো-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ২০১৫ সালে এক জন গড়পড়তা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রতি মাসে ৭.৭ জিবি তথ্য আদানপ্রদান করবেন। যা ২০১০-এর ১.৪ জিবি থেকে ৪৩৪% বেশি। দেশের প্রায় ১০ লক্ষ বাড়িতে প্রতি মাসে ১০০ জিবির বেশি পরিমাণ তথ্য জমা পড়বে ওই সময়ে। পাশাপাশি, বিশ্বে প্রায় ৬০ লক্ষ বাড়িতে প্রতি মাসে ১ টেরাবাইট (১০০০ জিবি)-এর বেশি তথ্য আদানপ্রদান হবে। বর্তমান সংখ্যার থেকে যা কয়েক হাজার গুণ বেশি। |