|
|
|
|
কর চাপিয়ে রাজস্ব বাড়ানোই পথ, পরামর্শ প্রণবের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
নতুন কর বসিয়ে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর পরামর্শই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে ফের দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। প্রণববাবু বলেন, পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক হাল ফেরাতে রাজ্য সরকারকে সব রকম সাহায্য করবে কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্য নিজের কর সংগ্রহের পরিধি না বাড়ালে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষেও সাহায্য করা কঠিন।
আজ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন অমিতবাবু।
তিনি বলেন, ৩৪ বছরে বামেরা সরকারি কোষাগারের যা হাল করে গিয়েছেন, তাতে কেন্দ্রের অর্থ সাহায্য না পেলে নভেম্বরেই রাজ্যের ট্রেজারি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। প্রণববাবু অবশ্য তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, কেন্দ্র কিছুতেই এমনটা
হতে দেবে না। সেই আশ্বাস পাওয়ার পরই অমিতবাবু ঘোষণা করেন, পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের যে জোয়ার এনেছেন, তা
অব্যাহত থাকবে।
গত শনিবার কলকাতায় প্রণববাবুর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পরে প্রণববাবু জানিয়েছিলেন, রাজ্যের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক সংস্কার নিয়ে যে কাজ শুরু হয়েছে, তাতে কেন্দ্র সর্বতো ভাবে সাহায্য করবেন। আজ অমিতবাবু জানান, সেই সিদ্ধান্তকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তা কী ভাবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে চাননি অমিতবাবু। অর্থ মন্ত্রক সূত্রে অবশ্য বসা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা করে কোনও আর্থিক প্যাকেজ দিতে গেলে অন্য ২৭টি রাজ্য আপত্তি তুলবে। তাই পূর্ণাঙ্গ বাজেটে রাজস্ব বাড়ানোর জন্য রাজ্য সরকারকে আগেই পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আজ অমিতবাবুকে ফের তিনি বুঝিয়েছেন, রাজস্ব বাড়াতে গেলে রাজ্যকে নতুন কর বসাতেই হবে। অনেক ক্ষেত্রে রাজ্য নির্দিষ্ট হারে কর না বসালে বেশ কিছু কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অর্থ পেতেও সমস্যা হবে। তাই রাজ্যের নয়া কর প্রস্তাব দেখে তবেই অর্থ সাহায্যের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।
অমিতবাবু জানান, কেন্দ্রের উপর ভরসা করার পাশাপাশি রাজ্য সরকার নিজস্ব পরিকল্পনা অনুসারেও এগোচ্ছে। রাজ্যের ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ দেখলেই তা বোঝা যাবে। তবে কেন্দ্র যথাসম্ভব সাহায্য করছে। দার্জিলিঙে যে নতুন ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ তৈরি হয়েছে, তার জন্যও কেন্দ্র প্রতি বছরে ২০০ কোটি টাকা করে অর্থ সাহায্য দিচ্ছে। রাজ্য সরকারি সূত্রের খবর, ভ্যাট বাবদ কর আদায় বাড়ানোর চেষ্টা করছে রাজ্যের অর্থ দফতর। কিন্তু অর্থ মন্ত্রক মনে করছে, তাতে খুব বেশি লাভ হবে না। রাজ্যকে কর কাঠামোতেই পরিবর্তন আনতে হবে। |
|
|
|
|
|