|
|
|
|
টাকা তুলে প্রতারণার অভিযোগে সংস্থায় তালা ঝোলাল পুলিশ |
অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য ও সীমান্ত মৈত্র • কলকাতা |
সাধারণ মানুষকে প্রতারণার অভিযোগে একটি সংস্থার হাবরা অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিল উত্তর ২৪ পরগনা পুলিশ। ৩০ শতাংশেরও বেশি হারে সুদ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তারা জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করত বলে অভিযোগ। পুলিশের অভিযোগ, এ ভাবে তারা বেশ কিছু মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলেছে, যা বেআইনি। যদিও ওই সংস্থার পক্ষ থেকে এ সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হুসেন বলেন, “উইন অফ আর্থ গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্ট্রিজ নামে ওই সংস্থাটি ৩০ শতাংশেরও বেশি হারে সুদ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা তুলছিল। যা আইনত দণ্ডনীয়। তারা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমতি বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না-পারায় সংস্থার অফিসটি বন্ধ করে দিয়েছি। তবে কেউ ধরা পড়েনি।”
এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রায় আড়াই মাস আগে হাবরা স্টেশন সংলগ্ন পোস্ট অফিস রোডে সংস্থা একটি শাখা অফিস খোলে। হাবরা থানার পুলিশ জানিয়েছে, সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সেখানে বিভিন্ন মেয়াদে টাকা জমা রাখলে চড়া সুদ দেওয়া হবে।
পুলিশের দাবি, এর পরে বেশ কিছু মানুষ অভিযোগ আনেন যে, চড়া সুদের নামে প্রতারণা করছে সংস্থাটি। তার ভিত্তিতে ওই অফিসে তদন্তে যায় হাবরা থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, সংস্থা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমতি-সহ অন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে থানায় সেগুলি জমা দেওয়া কথা বলাও হয়। পুলিশ জানায়, তা সত্ত্বেও সংস্থা কাগজ -পত্র দেখায়নি। এর পরেই নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। হাবরা অফিসে তালাও লাগিয়ে দেয়।
চিট ফান্ডের হাতে টাকা দিয়ে সর্বস্ব খোয়ানোর ইতিহাস এই জেলায় নতুন নয়। এর আগে একাধিক সংস্থার হাতে প্রতারিত হয়েছেন বহু মানুষ। পুলিশ তদন্তে আরও জানতে পেরেছে, অন্যত্র একই কায়দায় ব্যবসার নামে এই সংস্থার হাতেও প্রতারিত হয়েছেন বহু মানুষ। অবশ্য, সংস্থার দাবি, তাদের রেজিস্ট্রেশন ও ব্যবসার অনুমতিপত্র রয়েছে। তারা জ্যাম, জেলি-সহ বিভিন্ন জিনিস পাইকারি ও খুচরো বাজারে বিক্রি করে। সংস্থার দাবি, ব্যবসায়িক স্বার্থে সুনাম নষ্ট করতেই কিছু লোক ‘মিথ্যা’ অভিযোগ এনেছে।
কী ভাবে টাকা ফেরত পাবেন সেই প্রশ্নই এখন অনেক হাবরাবাসীর মুখে। |
|
|
|
|
|