|
|
|
|
টুকরো খবর |
টানা ছুটি, স্কুলে তালা
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
শুক্রবার গুরুপূর্ণিমা। শনিবার সবেবরাত। সোমবার শিক্ষকদের আর্জি মেনে স্কুল ছুটি ছিল। পর পর তিনদিন স্কুল ছুটি দেওয়ার প্রতিবাদে স্কুলের গেটে প্রায় ২ ঘণ্টা তালা ঝুলিয়ে রাখলেন অভিভাবক এবং গ্রামবাসীদের একাংশ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নলহাটি থানার ভদ্রপুর মহারাজা নন্দকুমার হাইস্কুলে। তাঁদের দাবি, শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি ছিল। তার পরেও সোমবার শিক্ষকেরা স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছিলেন। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষকের কাছে জবাবদিহি চাইতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বামাপদ দাসের কাছ থেকে এ ব্যাপারে সদুত্তর মেলেনি। এমন কী এ দিন ৩২ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৬ জন উপস্থিত ছিলেন। তাই তাঁরা তালা দিয়ে যেন। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক-সহ কয়েক জন শিক্ষক কিছু দিন ধরে স্কুলে নিয়মিত আসছেন না। স্কুলে যখন তখন বহিরাগতরা ঢুকে অশান্তি পাকাচ্ছে। তাই নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত স্কুলে আসা, পঠন-পাঠনের উন্নতি ও পড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক কাশীনাথ দাসের দাবি, “তিন দিন স্কুল ছুটির ব্যাপারে আমার অনুমোদন ছিল না। প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে, তিনি জবাব দেন কিছু শিক্ষকের আর্জি মেনে ছুটি দেওয়া হয়েছে। আর স্কুলে অনিয়মিত আসার ব্যাপারে প্রধান শিক্ষককে একাধিকবার সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু উনি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম।” বহুবার চেষ্টা করেও এ দিন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। |
পাঁচিল বিতর্কের জবাব দিল বিশ্বভারতী
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
পাঁচিল প্রসঙ্গে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন বিশ্বভারতীর সহউপাচার্য উদয়নারায়ণ সিংহ। মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “বিশ্বভারতীর উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন সমিটির সুপারিশ মতো আমরা আমাদের ১১০০ একর জায়গার ২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের সংরক্ষণে উদ্যোগী হই। প্রথমে লোহার বিম দিয়ে ঘেরা হচ্ছিল। কিন্তু কাজ করার পরে সেই সব লোহার বিম চুরি হয়ে যায়। তখন বাধ্য হয়ে কংক্রিটের পাঁচিল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।” তিনি জানান, পাঁচিল তোলা নিয়ে হইচই হওয়ায় জানুয়ারি মাসে রাজ্যপাল তথা বিশ্বভারতীর প্রধান এম কে নারায়ণন শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন। তাঁর পরামর্শ মেনেই কাজ করা হয়েছে। অনেক জায়গায় পাঁচিলের উচ্চতা কম করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রতীচী ট্রাস্টের এক সভায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতী এলাকায় পাঁচিল দেওয়ার ব্যাপারে বলেছিলেন, “বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁর নিজস্ব জায়গা অবশ্যই সংরক্ষণ করবেন। কিন্তু লম্বা-চওড়া প্রাচীর তুলে শিক্ষাকে একটি দুর্গের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করার কিছু নেই!” সেই সময় বিশ্বভারতীর উপাচার্য রজতকান্ত রায় বিদেশে ছিলেন। অন্য আধিকারিকেরা কেউ মন্তব্য করতে চাননি। বিদেশ থেকে ফিরে মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর উন্নয়ন-সহ নানা দিক নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। সেখানে বিশ্বভারতীর কর্মসচিব মুকুটমণি মিত্রও উপস্থিত। অন্য দিকে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বিশ্বভারতী রাতারাতি দু’টি এলাকায় পাঁচিল তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে উপাচার্যের প্রতিক্রিয়া, “বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন তাই কোনও মন্তব্য করব না।” |
সব বাড়িতে জল পৌঁছে দিতে উদ্যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
রামপুরহাট পুরসভায় প্রতিটি ওয়ার্ডে জলপ্রকল্পের মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার কাজে গতি আনতে উদ্যোগী হল পুরসভা। সোমবার রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুরপ্রধান নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমে’র সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা মন্ত্রীর কাছে বর্তমানে চালু থাকা জল প্রকল্পের কাজে আরও বেশি টাকা প্রয়োজনের কথা জানান। পুরপ্রধান নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২০০৭-০৮ আর্থিক বছরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় এবং পুরসভার কিছু নিজস্ব তহবিল থেকে রামপুরহাট পৌরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডে জল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্প বাবদ ৭ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা অনুমোদিত হয়।” তিনি জানান, ওই টাকায় বর্তমানে দুটি রিজার্ভার, জল তোলার যন্ত্র বসানোর ঘর এবং ৮টি ওয়ার্ডে পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে। পুরসভার বাকি ন’টি ওয়ার্ডে নতুন করে পাইপ লাইন বসিয়ে বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহের জন্য মন্ত্রীর কাছে ২২ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। বিধায়ক আশিসবাবুর কথায়, “মন্ত্রী বিষয়টি অন্যান্য দাবির সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।” আশিসবাবুর দাবি, “কাজটি যাতে তাড়াতাড়ি করা যায় তার জন্য কেন্দ্রীয় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সৌগত রায়ের সঙ্গে পুরপ্রধান ও আমি আলোচনা করব।” নির্মলবাবু জানান, মহানালা সংস্কারের কাজও যাতে দ্রুত করা যায় সে জন্য মাস্টারপ্ল্যান জমা দিয়ে মন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে। তাঁরা জানান, মন্ত্রী এ ব্যাপারে বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে আলোচনা করতে বলেছেন। খুব শীঘ্রই এই আলোচনা করা হবে। |
|
|
|
|
|