খেলার টুকরো খবর |
কবাডি |
|
এক সময়ে গ্রাম বাংলায় ফুটবলের পাশাপাশি কবাডি খেলায় আগ্রহ ছিল ছেলে-মেয়েদের মধ্যে। বর্তমানে কবাডি খেলায় সেই উৎসাহ দেখা যায় না। তবে সাঁইথিয়ার বাসিন্দা কবাডি প্রশিক্ষক বিপদতারণ মণ্ডল ১৯৭৬ সালে জেলা কবাডি অ্যাসোসিয়েশনের অনুমোদন পান। তিনি এবং তাঁর সহযোগী জেলার প্রাক্তন কয়েক জন কবাডি খেলোয়াড় মিলে কোনও রকমে এই খেলাটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। পুরুষদের ৩০-৩২ জন এবং মহিলাদের ২৫-৩০ জন খেলোয়াড় বর্তমানে সাঁইথিয়া এবং বোলপুরের মুলুক গ্রামে কবাডির প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আন্তঃজেলা প্রতিযোগিতায় কয়েকটি পুরস্কারও পেয়েছে জেলা কবাডি অ্যাসোসিয়েশন। ওই সংস্থার জেলা সম্পাদক বিপদতারণবাবুর আক্ষেপ, “জাতীয় এই খেলাটি নিয়ে কেন্দ্র বা রাজ্য ক্রীড়া দফতর এখনও পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করেনি।” |
ক্যারাটে |
|
খয়রাশোল ব্লকের কাঁকরতলা গ্রামের বাসিন্দা অলোক চট্টোপাধ্যায় প্রথমে রানিগঞ্জ, পরে ভবানীপুর ও ত্রিবান্দমে ক্যারাটের প্রশিক্ষণ নিয়ে সেকেন্ড ডান ব্ল্যাক বেল্ট পেয়েছেন। অলকবাবু ১৯৯৪ সাল থেকে দুবরাজপুর ইয়ুথ কর্ণার ক্লাবে তরুণ-তরুণীদের ক্যারাটের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত তাঁর ১৫ জন ছাত্রছাত্রী রাজ্য ও জাতীয় স্তরের ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন। শিল্পা ধীবর নামে এক ছাত্রী রাজ্য ও জাতীয় স্তরে ৪ বার চ্যাম্পিয়ান হয়েছেন। সুমিত্রা বাউরি জাতীয় স্তরের দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছেন। ওই ১৫ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৫ জন ছাত্রী ও ৩ জন ছাত্র পুলিশে চাকরি পেয়েছেন। অলকবাবু জানিয়েছেন, ক্যারাটেতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের আগ্রহ বেশি। |
বাঁকুড়ার গর্ব |
রাজ্য অ্যাথলেটিক মিটে এ বার বাঁকুড়া জেলা কৃতীত্ব দেখাল। এই জেলার ১০জন প্রতিযোগীর মধ্যে দুজন তিনটি বিভাগে প্রথম হয়েছেন। সম্প্রতি কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। বাঁকুড়া শহরের চাঁদমারিডাঙার বাসিন্দা অনিমেষ মুখোপাধ্যায় জ্যাভলিন ছোঁড়ায় প্রথম হয়েছেন। রামসাগরের সঞ্জয় বাউরি লংজ্যাম্প ও ট্রাইথ্যালন- দুটি বিভাগেই প্রথম হয়েছেন। দুঃস্থ পরিবারের সঞ্জয় জেলার পর এ বার রাজ্য থেকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে আরও সম্মান এনে দিতে চান। ধাদকানালির চন্দনা দন্দপাট হাইজ্যাম্পে তৃতীয় হয়েছেন। সিমলাপালের নিরঞ্জন মুর্মু হাইজ্যাম্পে চতুর্থ, গঙ্গাজলঘাটির লছমনপুরের পাপিয়া কুণ্ডু হাইজ্যাম্পে চতুর্থ ও সানবাঁধার রানা বাউরি ডিসকাসে চতুর্থ স্থান দখল করেছেন। বাঁকুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে আমাদের জেলার ছেলে মেয়েরা অ্যাথলেটিকসে ভাল ফল করছে। আর্থিক সহায়তা পেলে ওরা অনেক দূর এগোবে।” |
ফুটবল |
গত রবিবার সিউড়ির ডিএসএ-র মাঠে অনুষ্ঠিত হল বীরভূম জেলা আন্তঃমহকুমা অনূর্ধ্ব ১৯ অয়ন চট্টোপাধ্যায় স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা। রামপুরহাট মহকুমা ২-০ গোলে বোলপুর মহকুমাকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। ডিএসএ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই খেলার মাধ্যমে ২২ জনকে বাছাই করা হয়েছে। তাঁদের নিয়ে জেলা ভিত্তিক দল করা হবে। তাঁরা আন্তঃজেলা ফুটবলে যোগ দেবেন।
|
সংক্ষেপে |
সম্প্রতি সাই থেকে পুরুলিয়ার দুই মহিলা হ্যান্ডবল খেলোয়াড় আয়কর দফতর কর্তৃক নির্বাচিত হয়েছেন। এই কথা জানান পুরুলিয়া হ্যান্ডবল অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক স্বপন মাঝি। ওই দুই খেলোয়াড় হলেন, সোনিকা সিং সর্দার ও অনিমা বাউরি। দফতর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই দুই মহিলা খেলোয়াড়ের নাম চাকরি প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হবে। |
|