|
|
|
|
সেহারাবাজারে সিপিএম নেতা খুনের ঘটনায় ধৃত ৪ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
রাতভর অভিযান চালিয়ে সিপিএম নেতা শমসের আলম খুনের ঘটনায় জড়িত ছ’জনের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম পার্থ নস্কর, চাঁদ খান, শেখ কালো ও তোতন মিশ্র। তাদের বাড়ি যথাক্রমে ভাতারের বলগনার হরিপুর, রায়নার বল্লা-নুরপুর, রায়নার কুইলা গ্রাম ও বর্ধমান থানার মাহিনগরে। ধৃতদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া প্রায় ২ লক্ষ টাকার মধ্যে ৪৪ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। শমসের এবং দুষ্কৃতীদের বাইক দু’টিও পাওয়া গিয়েছে। আটক করা হয়েছে একটি নাইন এমএম পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি। পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “এই ঘটনায় জড়িত আরও দু’জনকে আমরা খুঁজছি। ধৃত চার জনকে বুধবার আদালতে হাজির করানো হবে।”
গত ১২ জুলাই রায়নার শ্যামসুন্দর ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বর্ধমান-আরামবাগ রাস্তায় সিপিএমের খেমতা গ্রাম কমিটির নেতা শমসেরকে গুলি করা হয়। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শমসেরের সঙ্গে মোটরবাইকে ছিলেন তাঁর আত্মীয় তারফিক আহমেদ। তিনিই বাইকটি চালাচ্ছিলেন। অন্য একটি বাইকে আসা শেখ কালো ও শেখ কালু পিছন থেকে তাঁদের বাইকে ধাক্কা মারে। দু’জনেই পড়ে যান। তারফিক পালাতে পারলেও দুষ্কৃতীরা শমসেরকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। সিপিএম তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে। বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উদয় সরকার ওই রাতেই গ্রাম গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। |
|
ধৃত দুষ্কৃতীরা। নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ সুপার বলেন, “তদন্তে জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, টাকা ছিনতাইয়ের জন্যই শমসের আলমকে খুন করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে অনুসরণ করা হচ্ছিল। টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে বাধা দেওয়ায় তাঁকে গুলি করা হয়। ঘটনার ছক কষা হয়েছিল পার্থ নস্করের হলদি মোড়ের হোটেলে। সেহারাবাজারে রাস্তায় দাঁড়িয়ে শমসেরের উপরে নজর রাখছিল চাঁদ খান। ধৃতেরা বর্ধমান শহরে মোটরবাইক চুরির চক্রেও জড়িত।” তাঁর দাবি, অভিযুক্তদের ধরতে এক তৃণমূল নেতা প্রচুর সাহায্য করেছেন।
এ দিকে, সোমবার শমসেরে ভাইপো সেখ জিন্নার আলি পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন, ১২ জুলাই রাতে তিনি দেখেন, এক দল দুষ্কৃতী তাঁদের বাড়ি ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। খুনের ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে বলে হুমকি দিয়ে যায় তারা। কিন্তু সেহারাবাজার ফাঁড়িতে সে কথা জানিয়েও তাঁরা পুলিশের সাহায্য পাননি। পুলিশ সুপার জানান, ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। |
|
|
|
|
|