|
|
|
|
কুলটিতে ছাত্র খুনে ধৃত সহপাঠী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
এক কলেজ ছাত্র খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কুলটি থানার পুলিশ দুর্গাপুর থেকে মৃতের এক সহপাঠীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম আমোদ রঞ্জন। তাঁকে মঙ্গলবার আসানসোল আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ জুলাই কুলটি থানার সীতারামপুরের কাছে জলডোবরা জঙ্গল থেকে এক কিশোরের গলা কাটা দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সেই সময় তার পরিচয় জানতে পারেনি। সোমবার রাতে কুলটি থানায় নিখোঁজ ছেলের খোঁজ করতে আসেন ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া স্টেশন রোডের বাসিন্দা মদন ভার্মা। তখনই পুলিশের কাছ থেকে মদনবাবু জানতে পারেন ৯ জুলাই এক কিশোরের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতের ছবি দেখে মদনবাবু ছেলেকে চিনতে পারেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম উদয়কুমার ভার্মা (১৮)।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের বাবা লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন উদয় জামতাড়া কলেজের ছাত্র। তিনি নিয়মিত দুর্গাপুরের একটি কোচিংয়ে পড়তে যেতেন। এই মাসের ৮ জুলাই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে আসানসোলে আসেন মদনবাবু। ওই দিন ছেলের জন্য একটি মোটর সাইকেল কেনার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মোটর সাইকেলের টাকা ছেলের হাতে দিয়ে তিনি আসানসোলে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে যান। মদনবাবু বলেন, “উদয় আমাকে বলে দুর্গাপুরের কোচিংয়ে যাবে। রাতে মোটর সাইকেল কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরবে।” কিন্তু সেই রাতে ছেলে বাড়ি ফিরে না আসায় পরের দিন থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর শুরু করেন তিনি। খোঁজ নেওয়া হয় আত্মীয় পরিজনদের কাছে। মদনবাবু জানিয়েছেন, দুর্গাপুরের কোচিংয়ের বন্ধুদের টেলিফোনে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন ৮ তারিখ উদয় কোচিং যায়নি। সোমবার কুলটি থানায় খোঁজ করতে গিয়ে ছেলের মৃত্যু সংবাদ পান মদনবাবু।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই ছাত্রের বন্ধুরাই টাকার লোভে তাঁকে খুন করে থাকতে পারে। প্রাথমিক অনুমানের ভিত্তিতে ও মৃত ছাত্রের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে দুর্গাপুর থেকে পুলিশ ওই আমোদ রঞ্জনকে ধরেছে। আসানসোলের ডিএসপি (এসআর) সুবীর চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ধৃতকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আসানসোলের এসিজেএম বিচারক। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কিছু তথ্য পাওয়া যাবে। |
|
|
|
|
|