|
|
|
|
মাওবাদী নেতা ধৃত ঝাড়গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বন্দিমুক্তি, মামলা প্রত্যাহারের দাবির মধ্যেই মাওবাদী কার্যকলাপে যুক্ত সন্দেহে জঙ্গলমহলে ধরপাকড়ও চলছে। রবিবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রামের গজাশিমুল থেকে বীরেন মাহাতো নামে বছর সাতাশের এক যুবককে গ্রেফতারের পরে পুলিশের দাবি, খুন-অপহরণ, নাশকতা, তোলাবাজি এবং অস্ত্র-বিস্ফোরক মজুত রাখার দশটি মামলায় তাঁকে দু’বছর ধরে খোঁজা হচ্ছিল। সোমবার ধৃতকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হলে ৭ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বীরেনের বাড়ি ঝাড়গ্রামেরই মানিকপাড়া অঞ্চলে। রবিবার সন্ধ্যায় গজাশিমুলে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দাঁড়ানো একটি লরি থেকে একটি পাইপগান ও দু’রাউন্ড গুলি সমেত তাঁকে ধরা হয়। তোলাবাজির টাকায় সম্প্রতি বীরেন তাঁর বাবার নামে লরিটি কিনেছিলেন বলে দাবি পুলিশের। লরিটিও আটক করা হয়েছে। তোলাবাজির পাশাপাশি গত দু’বছর ধরে মানিকপাড়া, সরডিহা ও বাঁধগোড়া অঞ্চলের ২০-২৫টি গ্রামে বীরেন মাওবাদীদের ‘গণ-মিলিশিয়া’র নেতৃত্বও দিচ্ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। |
|
ঝাড়গ্রাম আদালতে বীরেন মাহাতো। ছবি: দেবরাজ ঘোষ |
২০০৯-এর নভেম্বরে সিপিএমের লালগেড়িয়া শাখা সম্পাদক অজিত মাহাতো ও মানিকপাড়া পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য ক্ষুদিরাম মুদিকে অপহরণের ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে প্রথম বার পুলিশের খাতায় বীরেনের নাম ওঠে। পরে মাওবাদীরা বিবৃতি দেয়, ওই দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই দুই সিপিএম নেতার দেহ অবশ্য আজও মেলেনি। ২০১০-এর জানুয়ারিতে মুড়াবনির তৃণমূল নেতা খোন্দকার মেহফুজ আলি ও তাঁর সঙ্গী নির্মল নায়েক খুনেও জড়ায় বীরেনের নাম। গত বছর ২৩ জুলাই ইন্দ্রাবনির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মাহাতোকে হত্যা, এ বছর মার্চে মুড়াবনির মোমেনা বেওয়া ও আমেনা বিবি নামে দুই মহিলাকে অপহরণ করে খুনের ঘটনাতেও বীরেন যুক্ত বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সপ্তাহ খানেক আগে মানিকপাড়ার আখড়াশোলের বাসিন্দা এক পার্শ্বশিক্ষককে অপহরণ করে পঞ্চাশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন এই বীরেন। ঘটনাচক্রে যৌথ বাহিনী খবর পেয়ে বরবাড়ি গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ওই পার্শ্বশিক্ষককে উদ্ধার করে। সে দিন অবশ্য পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছিলেন বীরেন। |
|
|
|
|
|