শিয়রে শমন: বন্ধ হোক বালি তোলা
|
কাঁসাই নদীর বুক থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। যথেচ্ছ বালি তোলার ফলে অ্যানিকেত
বাঁধ পর্যন্ত ভেঙে গিয়েছে। বালি তোলা বন্ধ না হলে খড়্গপুর ও মেদিনীপুর শহরে পানীয় জলেরও সঙ্কট দেখা
দেওয়ার আশঙ্কা। কারণ, জলস্তর নামার পাশাপাশি নদীগর্ভে চলে যেতে বসেছে পাম্পহাউস। পাম্পহাউসের
আশপাশে গভীর গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। পাড় ধসে নদী তার গতিপথও বদলাচ্ছে। ক্রমশ শহরের দিকে এগিয়ে
আসছে।
যন্ত্রের মাধ্যমে বালি তোলার ফলে নদীর বুকে ১৫-২০ ফুট গভীর গর্ত হচ্ছে। দুই শহরকে
পানীয় জলের সঙ্কট থেকে বাঁচাতে, প্রাণহানি রুখতে, অ্যানিকেত রক্ষায় অবৈধ
বালি তোলা বন্ধ হওয়া জরুরি। |
|
পাড় ভাঙছে কংসাবতীর
|
নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে |
|
সুরেন্দ্র গুপ্ত। জেলাশাসক।
অবৈধ ভাবে বালি তোলার অভিযোগ এলেই অভিযান চালানো হয়। যন্ত্র বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে সব সময় নজর থাকেই। এ বার নজরদারি আরও বাড়ানো হচ্ছে। অনুমতি ছাড়া ইচ্ছেমতো বালি তোলার অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে। |
|
|
উদ্বেগজনক অবস্থা |
|
গয়ারাম হাইত। খেতমজুর। গাঁধীঘাট। আগে যেখানে চাষ হত, এখন সেখান দিয়েই নদী বইছে। যথেচ্ছ বালি তোলায় পাড় ধসছে। নদীর পাশে মন্দির ছিল, সেটিও জলের তোড়ে ভেঙে গেছে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।
|
|
|
প্রশাসন উদ্যোগী হোক |
|
যজ্ঞেশ্বর চৌধুরী। ব্যবসায়ী। পাথরঘাটা।
যেখান-সেখান থেকে বালি তোলা বন্ধ করতে জেলা প্রশাসনকেই উদ্যোগী হতে হবে। নদী শহরের দিকে এগোচ্ছে। ফলে জল বাড়লেই এলাকার বিস্তীণর্র্ এলাকা প্লাবিত হয়।
|
|
|
কারও হুঁশ নেই |
|
দুখিরাম মল্লিক। প্রাক্তন শিক্ষক। মহাতাবপুর।
অবৈধ বালি তোলা বন্ধে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। যন্ত্র দিয়ে বালি তোলায় যত্রতত্র বড় গর্ত তৈরি হচ্ছে। গর্তে পড়ে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। অথচ, কারও হুঁশ নেই।
|
|
|
|
|
বালি তোলা চলছেই |
|
পূর্ণচন্দ্র ঘোষ। প্রাক্তন সরকারি কর্মী। নতুন বাজার। অভিযান আগেও হয়েছে। বালি তোলা বন্ধ হয়নি। ক্রমশ নদীর গতিপথ যেন বদলাচ্ছে। অবৈধ ভাবে বালি তোলায় অ্যানিকেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবু যন্ত্র দিয়ে বালি তোলা চলছেই!
|
|
|
পাড় ভাঙছে ক্রমাগত |
|
শেখ রাজু। রিকশাচালক। পালবাড়ি।
নদী সংলগ্ন এলাকায় আমার বাড়ি। সামান্য জল বাড়লেই বাড়িতে জল ঢোকে। এ বারেও এই পরিস্থিতি হয়েছিল। যেখান-সেখান থেকে বালি তোলার ফলেই নদীর পাড় ভাঙছে। |
|
|
পদক্ষেপ করুক প্রশাসন |
|
বীরেন্দ্র রায়। দুধ ব্যবসায়ী। পালবাড়ি।
নদীর মাঝে কোথাও কোথাও ৭০-৮০ ফুট গর্ত হয়েছে। জল থাকলে বাইরে থেকে বোঝা যায় না। এতে ঘটে বিপত্তি। বালি তোলায় সমস্যা। জেলা প্রশাসনকেই পদক্ষেপ করতে হবে।
|
|
|
|