কোল্যাপসিব্ল গেট ভেঙে আবাসন থেকে চুরি হল টাকা, সোনার গয়না-সহ দামি জিনিসপত্র। সোমবার, তেলেঙ্গাবাগানে। পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীরা চারতলার ফ্ল্যাটে আলমারি ভেঙে গয়না, টাকা, ডিভিডি প্লেয়ার ও মোবাইল চুরি করে। ফ্ল্যাটের বাসিন্দা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্মী সৌমিত্র চৌধুরী জানান, তাঁর মেয়ে সকাল সাড়ে সাতটায় স্কুলে যায়। তার পরে তিনি ও তাঁর স্ত্রী কাজে যান। স্ত্রী কলকাতা পুরসভায় কাজ করেন। এ দিন দুপুরে তাঁর স্ত্রী মেয়েকে স্কুল থেকে এনে কোল্যাপসিব্ল খুলতে গিয়ে দেখেন, সেটি ভাঙা। ঘর তছনছ। পুলিশের সন্দেহ, স্থানীয় দুষ্কৃতীরা চুরিতে জড়িত। তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগও।
|
মোটরবাইক চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হল এক যুবক। সোমবার, তমলুক থেকে। ধৃতের নাম স্বপন সিংহ। উদ্ধার হয়েছে মোটরবাইকটিও। পুলিশ জানায়, দিন পাঁচেক আগে কলকাতার তালতলার এস এন ব্যানার্জি রোডে মনোজ যাদবের পুরনো মোটরসাইকেলের দোকানে ক্রেতা সেজে যায় স্বপন। অভিযোগ, ‘টেস্ট ড্রাইভ’-এর জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়েই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। অন্য দিকে, গাড়ি চুরির দায়ে চার দুষ্কৃতীকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত। সোমবার বিচারভবনে অষ্টম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক ওই রায় দেন। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) দময়ন্তী সেন জানান, সাজাপ্রাপ্তদের নাম শ্যামলেন্দু রায়, কৃষ্ণেন্দু সরকার, সৌম্যজ্যোতি দে ও শুভজিৎ সাহা। পুলিশ জানায়, বছর চারেক আগে শ্যামপুকুরের এক পর্যটন সংস্থার থেকে গাড়ি ভাড়া নেয় ওই ৪ জন। মাঝরাস্তায় চালককে বিষাক্ত খাবার খাইয়ে বেহুঁশ করে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়। কিছু দিন পরে ডাকাতির উদ্দেশে বড়বাজারে জড়ো হলে ওই চার জনকে অস্ত্র-সহ ধরা হয়। সেই মামলায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে তাদের।
|
বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবেই নাগরিকদের অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে না বলে মনে করছে পুর-‘গ্রিভ্যান্স’ সেল। সোমবার ওই সেলের বৈঠকে এই তথ্যই উঠে আসে। সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্তারা জানান, বহু বাড়ির নকশা, রাস্তার মাপ, জলাজমি-সহ অনেক তথ্য পুর-রেকর্ড রুমে নেই। তা না থাকায় ঝুলে থাকছে গ্রিভ্যান্স সেলে জমা পড়া বিভিন্ন অভিযোগ। পুর-গ্রিভ্যান্স সেলের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ তারক সিংহ জানান, এখন থেকে নাগরিকদের অভিযোগের নিষ্পত্তির মূল দায়িত্ব বরো কমিটির। আর্থিক বা কোনও সমস্যা হলে তা পুরসভার কেন্দ্রীয় দফতর দেখবে। অভিযোগ ফেলে রাখা যাবে না। এই কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের। প্রতি ক্ষেত্রে পুরসভার ভূমিকা অভিযোগকারীকে জানানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। |