|
|
|
|
দিল্লির যন্তরমন্তরের সামনে ও কোচবিহারে রাস মেলার মাঠে |
আজ থেকে অনশনে জিসিপিএ’র সদস্যরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে থাকাকালীন আজ, সোমবার থেকে কোচবিহারে আমরণ অনশনে বসছেন গ্রেটার কোচবিহার পিপ্লস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। কোচবিহারের ভারত ভুক্তির চুক্তির সঠিক রূপায়ণ এবং তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিসভা গঠনের দাবিতে এ দিন বিপুল জমায়েত করে ওই আন্দোলনে বসছে জিসিপিএ’র সদস্যরা। তাঁরা জানান, কোচবিহার শহরে রাসমেলার মাঠে সকাল ১০ টা থেকে অনশন শুরু হবে। পাশাপাশি একই ইস্যুতে এ দিন থেকে দিল্লির যন্তরমন্তরের সামনে জিসিপিএ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরাও আমরণ অনশনে বসছেন। জিসিপিএ সম্পাদক নমিতা বর্মন বলেন, ‘‘দাবিপূরণ না-হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাব। কোচবিহারে লক্ষাধিক সমর্থক অনশনে সামিল হবেন বলে আশা করছি।” জিসিপিএ’র ওই কর্মসূচিকে ঘিরে গোলমাল এড়াতে কোচবিহার শহর এবং লাগোয়া এলাকা জুড়ে আঁটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। কোচবিহার ডিএসপি (হেডকোয়ার্টার) মহাদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই অনশন কর্মসূচিকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশি ব্যবস্থা থাকছে।” পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, বাস, ট্রেন এবং পায়ে হেঁটে সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রেটারের সমর্থকেরা কোচবিহারে ঢুকবেন। শহরের প্রতিটি রাস্তায় পুলিশি প্রহরা থাকছে। হরিণচওড়া, বাবুরহাট এবং খাগরাবাড়ি এলাকায় ‘পার্কিং’ জোন-এ নজরদারি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক পুলিশ কর্মী পুরো বিষয়টির দায়িত্বে নিযুক্ত করা হচ্ছে। শিলিগুড়ি থেকে জলকামান, বজ্র নামে বিশেষ গাড়ি নিয়ে মজুত করা হচ্ছে। বজ্র’র ভিতর থেকে পুলিশ কর্মীরা গোলমালের ঘটনা ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাস বা রবার বুলেট ছুঁড়তে পারেন। রাজ্য এবং কেন্দ্রের দুই হেভিওয়েট ব্যক্তিত্ব ওই দিন শিলিগুড়িতে থাকায় গোলমালের আশঙ্কা এড়াতে কোনও রকম খামতি রাখতে চাইছে না পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। ২০০৫ সালে আলাদা রাজ্যের দাবিতে গ্রেটারের অনশন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কোচবিহার। জিসিপিএ’ নেতৃত্বের নালিশ, কোচবিহারের ভারত ভুক্তির চুক্তির সঠিক রূপায়ণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানা চলছে। তাতে কোচবিহার ‘গ’ শ্রেণির রাজ্যের মর্যাদা পাচ্ছে না। সে জন্য জিসিপিএ নেতৃত্ব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকাল অনশন চালানোর কথা ঘোষণা করেছেন। |
|
|
 |
|
|