|
|
|
|
অনিয়মের অভিযোগ মৌসমের |
ভাঙন প্রতিরোধের কাজ নিয়ে সেচমন্ত্রীর কাছে সাংসদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
এত দিন স্থানীয় বাসিন্দারা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন! এবার রতুয়ার দেবীপুরে ভাঙন প্রতিরোধের কাজে দুনীর্তির অভিযোগ তুললেন খোদ কংগ্রেস সংসদ মৌসম বেনজির নূর। শুধু অভিযোগ তুলেই থেমে থাকেননি উত্তর মালদহের সাংসদ। ভাঙন রোধে দুর্নীতি দূর করতে সোমবার রাজ্যের সেচমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন তিনি। উত্তর মালদহের সাংসদ বলেন, “যে ভাবে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ হওয়া উচিত, তা হচ্ছে না। ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। সকলকে ডেকে বৈঠক করেছি। তাতেও ঠিক মতো কাজ হচ্ছে না দেখে বাধ্য হয়ে সোমবার কলকাতায় সেচমন্ত্রীর কাছে ভাঙন রোধের কাজে অনিয়মের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাব।” সেচ দফতরের নর্থ সেন্ট্রাল সার্কেলের সুপারিন্টেডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ দে বলেন, “এলাকার কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ ভুল তথ্য দিয়ে সাংসদকে বিভ্রান্ত করছেন। ভাঙন প্রতিরোধের যা কাজ হচ্ছে, সবার সামনেই হচ্ছে। অনিয়ম হচ্ছে না।” ইউক্যালিপটাসের লগ, মাটির বস্তা, রিং বাঁধ, কোনও কিছুতেই ফুলহারের ভাঙন ঠেকাতে না পেরে দিশেহারা সেচ দফতর। ফুলহার নদীর আগ্রসী চেহারায় আতঙ্কিত দফতরের কর্তারা। যে কোনও সময়ে ফুলহারের জল ঢুকে পড়বে এই আতঙ্কে রাত জেগে কাটাচ্ছেন রতুয়ার দেবীপুর, কাহালা, বাহারালের লক্ষাধিক মানুষ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভাঙন প্রতিরোধের কাজের নামে জলে মাটি ভর্তি বস্তা, বাঁশ ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা লুট হচ্ছে। লোক দেখাতে ওই কাজ করছে সেচ দফতর। সন্দীপবাবু পাল্টা বলেন, “২০১০ সালে এখানে ভাঙন প্রতিরোধের কাজে এলাকার মানুষ বাধা দিয়েছিলেন। না-হলে আজ সূর্যাপুর থেকে দেবীপুর পর্যন্ত ভাঙনে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি হত না। এখন যে ভাবে নদী ভাঙছে তাতে আমাদের পক্ষে রোখা কঠিন। ভাঙন রোধে যে কাজ করছি কয়েক ঘণ্টার মধেই সেই এলাকা নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে।” তিনি জানান, ইউক্যালিপটাস লগ ফেলা বন্ধ করে ‘ডিপট্রিস’-এর কাজ শুরু করে ভাঙন রোধের চেষ্টা চলছে। শেষ পর্যন্ত তা কাজে আসবে কি না তা অনিশ্চিত। ২০১০ সালে ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ না হওয়ার ফলে ফুলহার নদী প্রায় এক কিমি পাড় ভেঙে এগিয়ে এসেছে দেবীপুরের দিকে। সূর্যাপুর থেকে দেবীপুর পর্যন্ত ১১৩৪ মিটার এলাকা উন্মুক্ত। সেই ফাঁকা অংশে ভাঙন রুখতে হিমসিম খাচ্ছে সেচ দফতর। ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ নিয়ে কয়েকদিন আগে বাসিন্দাদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনাও হয়েছে। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা সেচ দফতরের এক কর্মীকে জলে ফেলে, এক কর্তার কলার ধরে মারধরও করে বলে অভিযোগ। |
|
|
 |
|
|