|
|
|
|
পুরসভায় স্মারকলিপি তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
জোট সঙ্গীর দখলে থাকা পুরসভার প্রশাসনিক কাজকর্মে গুরুত্ব ও সহযোগিতা চাইছে তৃণমূল। কংগ্রেসের দখলে থাকা জলপাইগুড়ি পুরবোর্ডের কাজকর্ম নিয়ে ১৮ দফা দাবি জানিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে আলোচনা চেয়েছে তৃণমূল। গত শনিবার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে পুরসভার চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দেন দলের শহর ব্লক নেতৃত্ব। কিছু ক্ষেত্রে কংগ্রেসের কাউন্সিলাররা ‘জোট সঙ্গী’ তৃণমূলের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না বলেও অভিযোগ করা হয়েছে ওই স্মারকলিপিতে। গত বছর জলপাইগুড়ি পুরসভার নির্বাচনে কংগ্রেস-তৃণমুলের জোট হয়নি। শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে কংগ্রেস একক শক্তিতে ১৭টি আসনে জয়ী হয়ে বোর্ড গঠন করে। তৃণমূল একটি আসনে জয়ী হয়। যদিও রাজ্য রাজনীতির সমীকরণে চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও দুই দল জোট করেই সরকার গঠন করেছে। কেন্দ্রেও দুই দলের জোট রয়েছে। সেই বাধ্যবাধকতা মেনে জলপাইগুড়ি পুরসভার কাজকর্ম পরিচালনাতেও দুই দলের সমণ্বয় চাইছে তৃণমূল। দলের স্মারকলিপিতে কেন্দ্রে ও রাজ্যে ‘জোট’ গড়ে সরকার পরিচালনার প্রেক্ষিতে দুই দলের কোনও রাজনৈতিক মতভেদ না থাকায় পুরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদেরকে যথাযথ ভাবে অবহিত করার দাবি জানিয়েছে তৃনমূল। তৃণমূলের অভিযোগ, শহরে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হলেও তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধিদের রাখা হয়নি। বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, বাল্মিকী আবাস যোজনার মতো প্রকল্পে কংগ্রেসের কাউন্সিলররা দলতন্ত্র চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি শহরের নাগরিক পরিষেবা উন্নত করতেও একগুচ্ছ দাবি জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে। জলপাইগুড়ি পুরসভার কংগ্রেসি চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “তৃণমূল নেতারা স্মারকলিপিতে তাঁদের বক্তব্য জানিয়েছেন। আমার সঙ্গে ওদের আলোচনা হয়েছে। জলপাইগুড়ি পুরসভা পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কতটা অগ্রগতি করেছে সে বিষয়েও ওনাদের পরিষ্কার ধারণা ছিল না। সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। ওয়ার্ড কমিটি গঠন বা অনান্য বিষয়ে ওঁরা সহযোগিতার কথা বলেছেন। জলপাইগুড়ি শহরের উন্নয়নের স্বার্থে এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তৃণমূলের তরফে পুর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া স্মারকলিপিতে যে দাবিগুলি জানানো হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে আলোচনা চাওয়া হয়েছে। অন্যথায় ‘অন্য কোনও ব্যবস্থার কথা’ বিবেচনা করা হবে বলে দলের পক্ষ থেকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শহর ব্লক তৃণমুল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি মনোতাষ রায়, সাধারন সম্পাদক প্রদীপ বন্দোপাধ্যায় এবং দলনেতা সুব্রত পালের নেতৃত্বে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। শহর ব্লক তৃণমুলের কার্যকরী সভাপতি মনোতোষ রায় বলেন, “বেশ কিছু পরিষেবার দাবি এবং কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভার কিছু কাজকর্ম নিয়ে দলের অসন্তোষ জানানো হয়েছে। আমরা চাই শহরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কংগ্রেস পুরবোর্ড আমাদের সঙ্গে সমণ্বয় করে কাজ করুক। গণতন্ত্রের নিয়ম মেনে ওয়ার্ড কমিটি গঠন থেকে শুরু করে পুরসভার কোন খাতে কত টাকা এসেছে, সেই টাকা কিভাবে খরচ করা হয়েছে তাও জানাতে বলা হয়েছে। আমাদের আশা দুই দলের প্রকৃত সমন্বয়েই জলপাইগুড়িকে স্বপ্নের শহরে রূপান্তর করা যাবে।” |
|
|
 |
|
|