টুকরো খবর
|
ইন্দাসে মারধরের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইন্দাস |
বাঁকুড়ার ইন্দাসে ফের এক সিপিএম নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রহৃত ওই নেতার নাম বাদল মল্লিক। ইন্দাস থানার রোল গ্রামে তাঁর বাড়ি। তিনি সিপিএমের রোল লোকাল কমিটির সদস্য। যদিও এই ঘটনায় তাঁদের দলের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। সিপিএমের ইন্দাস জোনাল কমিটির আহ্বায়ক অসীম দাস বলেন, “ভোটের পর থেকে প্রায় দু’মাস ঘরছাড়া ছিলেন আমাদের দলের রোল লোকাল কমিটির সদস্য বাদল মল্লিক। সপ্তাহ খানেক আগে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বাজারে গিয়েছিলেন তিনি।” তাঁর অভিযোগ, “এ দিন রোল বাজারে তৃণমূলের জনা কয়েক দুষ্কৃতী বাদল মল্লিককে তাড়া করে। তিনি দৌড়ে আমাদের দলের সদস্য শেখ সুকুরের বাড়িতে ঢুকে পড়েন। দুষ্কৃতীরা তাঁকে ওই বাড়ি থেকে বের করে লাঠি-রড দিয়ে মারধর করে।” তিনি জানান, গুরুতর জখম অবস্থায় বাদলবাবুকে ইন্দাস ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়। অসীমবাবুর দাবি, ‘‘তৃণমূল এলাকার ফের সন্ত্রাস শুরু করেছে। ওদের ভয়ে আমাদের দলের আক্রান্ত কর্মী-সমর্থকেরা পুলিশে অভিযোগ জানাতেও যেতে পারছেন না।” যদিও সিপিএমের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের রোল অঞ্চল সভাপতি নিমাই মহন্ত। তিনি দাবি করেছেন, “বিধানসভা ভোটের আগে এলাকায় বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে তাণ্ডব চালানোর মূল পান্ডা ছিলেন সিপিএম নেতা বাদল মল্লিক। এ দিন তাঁকে দেখে এলাকার কিছু মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে তাড়া করেছিলেন বলে শুনেছি। মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।” অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা।
|
রাইপুর ব্লকে দু’টি নতুন রেশন দোকান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাইপুর |
জঙ্গলমহলের প্রতিটি গ্রামের ২-৩ কিমি’র মধ্যে রেশন দোকান খোলার ঘোষণা করেছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই ঘোষণার দু’সপ্তাহের মধ্যেই অতিরিক্ত রেশন দোকান খুলে খাদ্য সামগ্রী বন্টনের ব্যবস্থা শুরু করল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। শনিবার রাইপুর ব্লকের মালশোল গ্রামে এবং সিমলাপাল ব্লকের কড়াকানালি গ্রামে রেশন দোকান খোলা হয়। এক অনুষ্ঠানে ওই দু’টি অতিরিক্ত রেশন দোকানের উদ্বোধন করেন জেলাশাসক মহম্মদ গোলাম আলি আনসারি। জেলা খাদ্য নিয়ামক শঙ্কর নারায়ণ বাঁকুড়া বলেন, “এলাকার মানুষের সুবিধার্থে সিমলাপাল, রানিবাঁধ, সারেঙ্গা ও রাইপুর ব্লকে আপাতত ২২টি অতিরিক্ত রেশন দোকান খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখান থেকে বাসিন্দারা ন্যায্য মূল্যে সামগ্রী পাবেন।” জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কড়াকানালি গ্রামের ওই দোকান থেকে কড়াকানালি, শুশুনিয়া, রেংটাখুলিয়া ও পাথরি গ্রামের ১৩৯৩ জনকে রেশন সামগ্রী দেওয়া হবে। অন্য দিকে, মালশোলের দোকান থেকে রেশন পাবেন কুচুইপাল, মালশোল গ্রামের প্রায় এক হাজার মানুষ তাঁদের । এই রেশন দোকান হওয়ায় অবশ্য ওই এলাকার বাসিন্দারা যথেষ্ট খুশি। জেলাশাসক বলেন, “যে সব এলাকার মানুষকে ৪-৫ কিলোমিটার দূরে গিয়ে রেশন সামগ্রী নিয়ে আসতে হয়, সেই এলাকার মাঝামাঝি স্থানে ১টি করে অতিরিক্ত রেশন দোকান খোলা হচ্ছে। খাতড়া মহকুমার ওই ৪টি ব্লকের বাকি এলাকাতে শীঘ্রই রেশন দোকান খোলা হবে।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ামক, মহকুমাশাসক (খাতড়া) নিরঞ্জন কুমার, বিডিও (রাইপুর) কৌশিস রায়।
|
মা, ছেলের ঝুলন্ত দেহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেজিয়া |
শিশুপুত্র-সহ মায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মেজিয়া থানার নামো মেজিয়া এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন সান্ত্বনা মজুমদার (২১) ও তাঁর এক বছরের ছেলে মনোতোষ। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটলেও পুলিশ বিকেল ৪টে নাগাদ খবর পেয়ে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রজা বলেন, “মহিলার বাপের বাড়ির লোকজন খুনের অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। মৃত্যুর কারণ জানতে দেহ দু’টির ময়নাতদন্ত হবে। মৃত বধূর স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সান্ত্বনার বাপের বাড়ি বিষ্ণুপুর থানার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে। তাঁর স্বামী মনোজ আইসক্রিম বিক্রি করেন। বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী শিশুপুত্র ছাড়াও শাশুড়ি রমনিদেবী থাকেন। পুলিশের কাছে রমনিদেবী দাবি করেছেন, এ দিন সকালে তিনি মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের ভিতরে শাড়ির ফাঁসে তাঁর নাতি ও দড়ির ফাঁসে পুত্র বধূর দেহ ঝুলছে। ছেলেকে বাইরে থেকে ডেকে আনেন। মনোজ দড়ি কেটে দেহগুলি নীচে নামানোর পর সেখান থেকে পালান। এলাকায় বসতি কম থাকায় বাসিন্দারা পরে খবর পান। তাঁরা পুলিশে খবর দেন।
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
মন্দিরে বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি উল্টে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ার। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম দুলালি মুদি (৫০)। বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের পয়লাডি গ্রামে। শনিবার চারটি গাড়িতে দুলালিদেবী ও তাঁর পরিজনেরা রঘুনাথপুর থানা এলাকার বান্দা-মৌতড় কালীমন্দিরে তাঁর বড় ছেলে লখিন্দর মুদির বিয়ে দিতে এসেছিলেন। এ দিন বিকেলে বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে তাঁরা পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে রঘুনাথপুরের বুন্দলা সেতুর কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ি রাস্তার ধারে ধানের খেতে উল্টে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পড়ার সময় গাড়িটি একজন বাইক আরোহী ও একজন সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুলালীদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আহতদের রঘুনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গাড়ি আটক করেছে পুলিশ।
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু কিশোরের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
এক তরুণের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শ্রীকান্ত সূত্রধর (১৯)। বাঁকুড়া শহরের লালবাজার ডিপোগোড়ায় তাঁর বাড়ি। শনিবার সকালে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন দুপুরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের বাবা বাপি সূত্রধর বলেন, “শনিবার সকাল সাতটায় এক বন্ধুর সঙ্গে শ্রীকান্ত বেরিয়েছিল। সকাল ১০টায় ইঁদারাগোড়ায় দিদির বাড়িতে গিয়ে সামান্য মুড়ি খাওয়ার পরেই ওর মুখ দিয়ে রক্ত ওঠে, শরীরে খিঁচুনি শুরু হয়।” বাপিবাবুর সন্দেহ অনুমান, “সম্ভবত কেউ ওকে বিষ খাইয়েছিল।” তিনি জানান, দেহ সৎকার করার পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করবেন। রবিবার দেহটির ময়নাতদন্ত করা হয়।
|
দুষ্কৃতী গ্রেফতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাশীপুর |
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মোটরবাইক চুরি চক্রের পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ। শনিবার রাতে আদ্রা শহর লাগোয়া ছাইগাদা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতেরা হল মহম্মদ পারভেজ, মহম্মদ তাহিশ, আশিস বাউরি, পারভিন প্রসাদ ও দেবদাস মণ্ডল। দেবদাসের বাড়ি বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানা এলাকায়। অন্য চারজন কাশীপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে তিনটি মোটরবাইক উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান তিনটি বাইকই চোরাই। বাইকগুলির রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সূত্র ধরে এগুলি কোথাকার তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। রবিবার ধৃতদের রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক আশিস বাউরি ও পারভিন প্রসাদকে ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন। বাকিদের তিন দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
|
বিষপানে মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
বিষপানে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মিঠু বাগদি (৩০)। তাঁর বাড়ি সোনামুখীতে। শনিবার গভীর রাতে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। রবিবার ভোরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, মৃতের ভাই টোটন বাগদি তাদের জানিয়েছেন, মিঠুর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর প্রায়ই বিবাদ প্রায় হত। শনিবার রাতে মিঠু ঘরেই কীটনাশক পান করেন। পরিবারের লোকেরা তাঁকে প্রথমে সোনামুখী গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
|
স্কুলে চুরি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝালদা |
দরজা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে ঝালদার ইচাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের সারজুমহাতু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শনিবার সকালে দেখা যায় স্কুলের দরজার তালা ভাঙা। প্রধান শিক্ষক গোকুল চন্দ্র মাহাতো বলেন, “চোরেরা দরজা ভেঙে মিড-ডে মিলের একবস্তা চাল, সরষের তেল, মসলা, ডালসব নিয়ে গিয়েছে। আলমারি থেকে কাগজপত্র তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। চুরি গিয়েছে দেওয়াল ঘড়ি ও সতরঞ্জিও।” উল্লেখ্য, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার চুরির ঘটনা ঘটল এই বিদ্যালয়ে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
|
স্মারকলিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বরাভূম |
বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনকে পুরুলিয়ার বরাভূম স্টেশনে স্টপেজ দেওয়ার দাবি, ব্লক অফিসের উন্নয়নমূলক প্রকল্প জনগণকে জানানো, নিকাশি ব্যবস্থার হাল ফেরানো, বাইপাস তৈরি-সহ একাধিক দাবিতে স্মারকলিপি দিল বলরামপুরের শিল্পী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবি মঞ্চ। মঞ্চের পক্ষে প্রশান্ত গায়েন ও অসিত দাস-সহ আরও অনেকে এই স্মারকলিপি দেন। বলরামপুরের বিডিও গোবিন্দ ভট্টাচার্য বলেন, “স্থানীয় দাবি পূরণ করা হবে।”
|
পুলিশ ক্যাম্পের দাবি কোটশিলায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোটশিলা |
দেড় মাসের ব্যবধানে দু-দু’টি অপহরণ। মুক্তিপণ দিয়ে রেহাই। দুষ্কৃতী-যৌথবাহিনীর গুলি বিনিময়ের মাঝে পড়ে মৃত্যু এক যুবকের। সব মিলিয়ে আতঙ্কের ঠান্ডা স্রোত বইছে ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া পুরুলিয়ার কোটশিলা থানার হরতান-সহ আশপাশের গ্রামগুলিতে। গ্রামবাসীদের দাবি, অবিলম্বে এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প করা হোক। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর বলেন, “ক্যাম্প করার দাবি খতিয়ে দেখা হবে।” ঝালদা ২ পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সভানেত্রী মেনকাদেবীর স্বামী লক্ষ্মীকান্ত মাহাতোকে বৃহস্পতিবার অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। লক্ষ্মীকান্তবাবু দাবি করেন, “গ্রামের মানুষ আতঙ্কে বাস করছেন। এখানে অবিলম্বে পুলিশ ক্যাম্প বসাতে হবে। কার গুলিতে ভাইপো অশ্বিনীর মৃত্যু হয়েছে তা জানতে চাই।” রবিবার গ্রামে গিয়েছিলেন জয়পুরের বিধায়ক ধীরেন মাহাতো। তাঁকে কাছে পেয়ে গ্রামবাসীরাও একই দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরাও চাই অশ্বিনীর মৃত্যু তার তদন্ত হোক। এলাকায় শান্তি ফেরাতে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।” অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানান, অপহরণের ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। |
|