|
|
|
|
সিপিএম কর্মীর মৃত্যু, মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাত্রসায়র |
মারধরে গুরুতর জখম এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মৃতের নাম উৎপল বাগদি (৩০)। পাত্রসায়র থানার শালুইপাড়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। তৃণমূলের লোকজন বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ওই সিপিএম কর্মীকে মারধর করে বলে অভিযোগ সিপিএম নেতৃত্ব এবং মৃতের পরিবারের। যদিও এ ব্যাপারে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি।
সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্রের অভিযোগ, “ওই এলাকায় দেড় বছর আগে জলধর বাগদি নামে এক আমাদের দলের সমর্থককে খুন করেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ওই মামলার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন উৎপল। তাই তাঁকেও পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে তৃণমূলের লোকেরা।” তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, “জলধর বাগদি খুনের ঘটনায় যারা জড়িত ছিল, তাঁদের মধ্যে এক জনকে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে। ওই ঘটনায় উৎপল বাগদিকে খুঁজছিল পুলিশ। সিপিএম জলধর খুনের ঘটনায় আমাদের ফাঁসিয়েছিল। এ বার সিপিএমের লোকেরাই উৎপল মেরে আমাদের ফাঁসাচ্ছে।”
রবিবার ভোরে বর্ধমান মেডিক্যালে মারা যান উৎপল। এ দিন হাসপাতালে মৃতের মামা ক্ষুদিরাম মাঝি জানান, পেশায় খেতমজুর উৎপল সিপিএমের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরেই তিনি গ্রাম ছাড়েন। শেষে গত ১১ জুলাই গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। ক্ষুদিরামবাবুর অভিযোগ, “বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়েছিল আমার ভাগ্নে। ঘুম থেকেই ওকে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূলের লোকজন। সারারাত ওকে খুঁজে পাইনি। পরদিন সকালে একটি খেতের পাশে গুরুতর আহত অবস্থায় উৎপলকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মাথা, তলপেট, পা ও বুকে আঘাতের চিহ্ন ছিল।”
সিপিএমের স্থানীয় বালসি লোকাল কমিটির সম্পাদক রঞ্জিত শ্যামের অভিযোগ, “১১ জুলাই সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে আমাদের দলের কর্মী উৎপলকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। রাতভর তাকে আটকে রেখে লাঠি-রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। শালুইপাড়া থেকে পরের দিন ভোরে উৎপলকে উদ্ধার করা হয়।” তিনি বলেন, “প্রথমে তাকে ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়।” তাঁর দাবি, “তৃণমূলের লোকেরা ওই সিপিএম কর্মীর পরিবারকে হুমকি দিয়েছিল। ভয়ে তারা কেউ পুলিশের কাছে অভিযোগও করতে পারেননি।” উৎপলবাবুর বাবা দিলীপ বাগদিও বলেন, “ওই দিন সন্ধ্যায় ছেলেকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কয়েক জন মারধর করেছিল। আমরা ভয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে যেতে পারিনি।”
তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তথা আবাসন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, “ওই যুবককে মারধরের ঘটনায় আমাদের দলের কেউ যুক্ত ছিল বলে জানা নেই। পুরোটা সিপিএমের সাজানো।” এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) দিব্যজ্যোতি দাস জানান, অপহরণের কোনও অভিযোগ হয়নি। |
|
|
 |
|
|