আগামী ২১ জুলাই ব্রিগেডে বিজয় সমাবেশে লক্ষাধিক সমর্থক নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল। সমাবেশের প্রচার ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে ইতিমধ্যেই ব্লক স্তরে নির্দেশ পাঠিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব। বৈঠক হচ্ছে মহকুমা স্তরেও। শনিবার তমলুক মহকুমার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ব্লক সভাপতিদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক হয় নিমতৌড়ি স্মৃতি সৌধে। রবিবার হলদিয়া মহকুমার প্রস্তুতি বৈঠক হয় মহিষাদলের প্রজ্ঞানানন্দ ভবনে। জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে বলেন, “আমাদের জেলা থেকে লক্ষাধিক সমর্থককে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। বৈঠক, মিছিল ও পথসভা করে প্রচার চালানো হচ্ছে জেলা জুড়ে।” বিজয় সমাবেশে নন্দীগ্রামের শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাওয়ার জন্যও উদ্যোগী হয়েছে জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস। সুকুমারবাবু জানান, নন্দীগ্রামের শহিদ পরিবারের সদস্যদের সমাবেশে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে যুব তৃণমূলের তরফে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ২৫টি ব্লক ও ৫টি পুরসভা এলাকার কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুব সভাপতিদের বলা হয়েছে। সমাবেশে যাওয়ার জন্য বাস-সহ বিভিন্ন যানবাহনের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। যাঁরা ট্রেনে যাবেন তাঁদের সাহায্য করার জন্য মেচেদা ও পাঁশকুড়া স্টেশনের কাছে যুব সংগঠনের তরফে ক্যাম্প অফিস খোলা হচ্ছে। সুকুমারবাবু বলেন, “সমাবেশ থেকে ট্রেনে চেপে স্টেশনে পৌঁছনোর পর সড়কপথে বাড়ি ফিরতে যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য ওই দিন বেশি রাত অবধি বিভিন্ন রুটে বাস চালানোর অনুরোধ জানিয়ে বাসমালিক সংগঠনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।” শহিদ দিবসকে সামনে রেখে শনিবার মেদিনীপুর শহরেও সভা করেছে যুব তৃণমূল কংগ্রেস। ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী। সভা সফল করতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের প্রচারে জোর দেওয়ার কথা বলেন নেতৃত্ব।
|
মুখ্যমন্ত্রীর জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে বেলপাহাড়ির সুমন্ত মণ্ডল। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা অনার্সে ভর্তির পরেও দুশ্চিন্তায় এই কৃতী ছাত্র। কয়েকজনের অর্থ সাহায্যে স্নাতকে ভর্তি হয়েছে রবীন্দ্রভারতীর মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা সুমন্ত। কিন্তু লেখাপড়ার বাকি খরচ আসবে কোত্থেকে? প্রশাসনের নানা মহলে ঘুরে লাভ হয়নি। মাস খানেক আগে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছে সুমন্ত। কিন্তু জবাব আসেনি। বেলপাহাড়ির হাড়দা অঞ্চলের ভাণ্ডারপুর গ্রামে টিনের ছাউনি দেওয়া মাটির এক চিলতে ঘরে মায়ের সঙ্গে থাকে সুমন্ত। ছোট ভাই সদানন্দ ঝাড়গ্রামে স্কুলের হস্টেলে নিখরচায় থেকে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে। সুমন্তর বাবা রাখহরি মণ্ডল বছর দশেক আগে মারা গিয়েছেন। মুড়ি বেচে সংসার চালাতেন রাখহরিবাবু। স্বামীর মৃত্যুর পর সুমন্তর মা পূর্ণিমাদেবী ঝাড়গ্রামের এক নার্সিংহোমে রান্নার কাজ করতেন। আপাতত তিনি ভারসাম্যহীন। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষই পূর্ণিমাদেবীর চিকিৎসার ভার নিয়েছেন। এই প্রতিকূলতার মধ্যেই বাঁকুড়ার রানিবাঁধে হলুদকানালি এসসি উচ্চতর বিদ্যালয় থেকে এ বারে উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করেছেন সুমন্ত। স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তমকুমার খাঁ বলেন, “সুমন্তর পড়াশুনার যাবতীয় খরচ এতদিন স্কুলের শিক্ষকেরা বহন করেছেন।” কিন্তু এ বার কী হবে? সুমন্তর কথায়, “২৭ জুলাই থেকে স্নাতকের ক্লাস শুরু হবে। কী ভাবে পড়াশুনা চালাব জানি না।” ভবিষ্যতে আইএএসে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখেন সুমন্ত। আর সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রীর কাছে আবেদনপত্র পাঠিয়েছে বেলপাহাড়ির এই কৃতী ছাত্র।
|
মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূলকর্মীর বিরুদ্ধে। এগরা থানা এলাকার উড়িজলকর গ্রামে ওই নাবালিকার বাড়ির লোকেরা শনিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত শঙ্কর মান্না পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ, শুক্রবার বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে বছর ষোলোর ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে পেশায় রিকশাচালক শঙ্কর। সন্ধেবেলা মাঠে চাষের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পরে তা জানতে পারেন ওই কিশোরীর বাবা-মা। এরপরেই পাড়া-প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান তাঁরা। থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। রবিবার ওই নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা হয় এগরা মহকুমা হাসপাতালে। এ দিকে, এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে সিপিএম-তৃণমূলে। তৃণমূলের দেশবন্ধু অঞ্চল সভাপতি অলোক মহাপাত্র বলেন, “শঙ্কর ভোটের আগে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেয়। সেই আক্রোশে সিপিএম পরিকল্পনামাফিক মিথ্যা অভিযোগ করছে।” আর সিপিএমের বালিঘাই জোনাল কমিটির সম্পাদক বিশ্বম্ভর রায় বলেন, “দলীয় কর্মীর ঘৃণ্য অপরাধ আড়াল করতেই ভিত্তিহীন ভাবে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ টানছে তৃণমূল।”
|
পাশাপাশি পাঁচটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেল খেজুরির পানখাই বাজারে। শনিবার ভোরে অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনা ইচ্ছাকৃত বলেই মনে করছে পুলিশ। পাশাপাশি দুই দোকানের মালিক সুবল দাস ও ফজলু মহম্মদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। এই নিয়ে গ্রামে বহু বার সালিশি সভা বসলেও ঝামেলা মেটেনি। এ দিন এই দু’জনের দোকান ছাড়াও আরও তিনটি দোকানে আগুন লাগে। সুবল দাস ও ফজলু মহম্মদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
|
বাড়ির পাশে আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হল রবিবার সকালে। মৃত জয়গোপাল আদক (৩৩) মহিষাদলের নাটশাল পঞ্চায়েতের কুম্ভচক গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় দিনমজুর জয়গোপাল দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় ভাল করে চিকিৎসাও করাতে পারছিলেন না। শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পরিবারের লোকেদের অনুমান।
|
‘বেনফিশ’-এর চেয়ারম্যান হলেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি। ভাইস চেয়ারম্যান হলেন মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতা লক্ষ্মীনারায়ণ জানা। শুক্রবার দু’জনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। প্রসঙ্গত, এর আগে বেনফিশের চেয়ারম্যান ছিলেন পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের মৎস্যমন্ত্রী কিরণময় নন্দ।
|
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্কুল ভোটে জয়ী হলেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। পটাশপুর ২ ব্লকের চক্রশূল হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধির ৬টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তৃণমূলেরই দশ জন। শেষমেশ দলীয় নেতৃত্বের চাপে চার জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। |