তৃণমূলের উদ্যোগে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ
শ্রমিক সংগঠনের কার্যকারিতা কী, এর মাধ্যমে শ্রমিকরা ঠিক কী ধরনের সুবিধা পেতে পারেন, সে সব সবিস্তারে বোঝাতে এক প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। রবিবার খড়্গপুর লোকাল থানা এলাকার কলাইকুণ্ডা ১ নম্বর গেটে আয়োজিত এই শিবিরে পশ্চিম মেদিনীপুরের ২৯টি ব্লক থেকেই শ্রমিক প্রতিনিধিরা হাজির হয়েছিলেন। হাজার পাঁচেক শ্রমিকের জমায়েত হয়। প্রশিক্ষণ শিবিরে এ-ও জানিয়ে দেওয়া হয়, যে কথায় কথায় অবরোধ, বন্ধ, কারখানার গেটে তালা ঝোলানোর মতো কর্মসূচি পালন করা যাবে না। দলের শ্রমিক সংগঠনকে মজবুত করে গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ তৃণমূলের। কিন্তু তৃণমূল যেহেতু এখন রাজ্যের ক্ষমতায়, সেহেতু নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই দলের শ্রমিক সংগঠনকে দাবিদাওয়া আদায় করতে হবে। কোন পদ্ধতিতে দাবি আদায় করা যায়, তা নিয়ে একটি পুস্তিকা তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন পেশার শ্রমিকরা কী সুবিধে পেতে পারেন, তার জন্য কোন পথে এগোতে হবে তার উল্লেখ রয়েছে এতে। এ দিনের শিবিরে উপস্থিত আইএনটিটিইউসি’র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সরকারে থাকায় এখন তো আমরা বন্ধ, অবরোধ করতে পারব না। তাই বলে কি শ্রমিকদের স্বার্থ দেখব না! সরকার যেমন শিল্প স্থাপনের জন্য পরিবেশ তৈরি করবে, তেমনই শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব। শ্রমিকদের জন্য নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। তা মেনে চলার ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে প্রয়োজনে আলোচনা করব। কী ভাবে এ সব করতে হবে, তা বোঝাতেই এই শিবির।” শিবিরে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীনেন রায়, মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, বিধায়ক মৃগেন মাইতি প্রমুখ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর ও ঝাড়গ্রামে বেশ কিছু কারখানা রয়েছে। শিল্প ক্ষেত্রে কাজ করেন, এমন শ্রমিকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এর বাইরে জেলা জুড়েই রয়েছেন নির্মাণ শ্রমিক, বিড়ি শ্রমিক, পাথর খাদান, বালি খাদান, ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকরা। সংগঠিত ও অসংগঠিত দুই ক্ষেত্রের শ্রমিকই রয়েছেন। তাঁদের জন্য নানা ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধে যেমন, বিমা-ভাতা-ছেলেমেয়ের পড়ার বন্দোবস্ত ইত্যাদি রয়েছে। কিন্তু কী ভাবে এই সুবিধা পাওয়া যায়, তার জন্য কী করতে হবে, এ বিষয়ে অধিকাংশ শ্রমিকই বিস্তারিত জানেন না। সচেতনতার অভাবে প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধে থেকে তাঁরা বঞ্চিত হন। এ বার শ্রমিক সংগঠনকে মজবুত করে তাঁদের কাছে সরকারি সুযোগ-সুবিধে পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হল তৃণমূল। দীনেনবাবু বলেন, “কেবল ব্লক নয়, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শ্রমিকেরাও যাতে সুযোগ-সুবিধে পান, সে জন্য শ্রমিক সংগঠনকে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে। যাতে প্রত্যেকের শ্রমিক আইন সম্পর্কে একটা ধারনা তৈরি হয়, সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে।”
অসুস্থ বা জেলে থাকার কারণে যে সব তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের পরিবার দুঃখ-দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে, এ দিনের শিবিরে তাদের আর্থিক সাহায্য করা হয়।
Previous Story Medinipur Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.