|
|
|
|
পালাবদলের জের, কলেজ পরিচালন সমিতি ঘিরে জট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকা হলেও সদস্যরা আসতে পারছেন না। উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রস্তাব পাসেরও সুযোগ হচ্ছে না। ফলে উচ্চশিক্ষা দফতর উন্নয়ন-প্রস্তাব চেয়ে পাঠালেও জবাব দেওয়া যাচ্ছে না। কেশপুর, গড়বেতা, গোয়ালতোড়-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কিছু এলাকার কলেজ কর্তৃপক্ষ পড়েছেন রীতিমতো ফাঁপড়ে। রাজ্যে পালাবদলের পরে এক সময়ের ‘লালদুগর্’ এই জেলায় এও এক নতুন অভিজ্ঞতা।
সংশ্লিষ্ট এলাকার কলেজগুলির পরিচালন সমিতিতে এত দিন সিপিএমেরই ছিল একাধিপত্য। পালাবদলের পরে সিপিএম নেতাদের অনেকেই এলাকা ছাড়া। কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকেও তাঁরা গরহাজির থাকছেন। এই অবস্থায় কী করণীয়, সে নিয়ে দোলাচলে বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষরা। কেশপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশান্ত দোলই যেমন বলছেন, “এক মাস আগেই পরিচালন সমিতির বৈঠক ডেকেছিলাম। কেউ আসেননি। অথচ পরিচালন সমিতির বৈঠক না-হলে বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষা দফতরে উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানো যাবে না। তাতে কলেজেরই ক্ষতি।” গোয়ালতোড় কলেজের অধ্যক্ষ হরিহর ভৌমিকও বাস্তব সমস্যার কথা জানিয়ে বলেন, “লাইব্রেরির বই, ফার্নিচারের জন্যও পরিচালন সমিতির বৈঠকেই প্রস্তাব নিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরে পাঠানো হয়। এ বার সে নিয়ে
সমস্যা হচ্ছে।”
ইতিমধ্যেই নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তির পর্ব চলেছে। নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আগে পরিচালন সমিতির বৈঠক হওয়া জরুরি। পরিচালনা বিষয়ে জরুরি কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেই বৈঠকে। উন্নয়ন বিষয়ে আশু প্রয়োজনের বিষয়গুলি নিয়েও সিদ্ধান্ত হয় পরিচালন সমিতির বৈঠকেই। কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পর কেশপুর কলেজে আর এমন বৈঠক হয়নি। পরিচালন সমিতির অধিকাংশ সদস্যের কেশপুরে পৌঁছনো অসম্ভব অনুধাবন করে মাস দেড়েক আগে এমনকী মেদিনীপুর শহরে বৈঠক ডাকেন কর্তৃপক্ষ। সদস্যরা সেখানেও হাজির হতে পারেননি। বৈঠক ভেস্তে যায়। কেশপুর কলেজে পরিচালন সমিতির সভাপতি সিপিএম নেতা নুরুল ইসলাম। তিনি এলাকা ছাড়া। গোয়ালতোড় কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি পদে রয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক এবং সিপিএমের জোনাল সম্পাদক কৃষ্ণপ্রসাদ দুলে। তিনিও এলাকা ছাড়া। গড়বেতা কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি সুশান্ত ঘোষ তো এমনকী বিধানসভাতেও গরহাজির থাকায় রীতিমতো আলোড়ন পড়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। কেশপুর কলেজের অধ্যক্ষ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছেই কী করণীয় জানতে চেয়েছেন।
কয়েকটি কলেজের ক্ষেত্রে যে সত্যিই সমস্যা হচ্ছে, তা মানছেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন্দদুলাল পড়্যাও। তাঁর বক্তব্য, “পরিস্থিতি বিবেচনা করে কী পদক্ষেপ করা যায়, সে নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।” সংশ্লিষ্ট কলেজগুলো যাতে উন্নয়ন-খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পায়, সে জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন উপাচার্য। |
|
|
 |
|
|