|
|
|
|
টসে ট্রফি-খরা কাটাল ইস্টবেঙ্গল |
ক্ষুব্ধ মোহনবাগান বয়কট করছে সিএবি অনুষ্ঠান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মরসুমের শেষ দিনেও অব্যবস্থার ‘ভূত’ পিছু ছাড়ল না সিএবি-র। ইডেনে ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান নক আউট ফাইনাল বৃষ্টির দাপটে মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেল। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, টস জিতে নক আউট চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। এবং গোটা ঘটনাটা নিয়েই তীব্র ক্ষোভ মোহনবাগানে।
রবিবারই সন্ধের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়, প্রতিবাদস্বরূপ আগামী ২৩ জুলাই সিএবি-র বার্ষিক অনুষ্ঠান বয়কট করবে মোহনবাগান। ওই দিন ক্লাবের কোনও প্রতিনিধি হাজির থাকবেন না ইডেনে। এতেই শেষ নয়। সরকারি ভাবে প্রতিবাদ করে আজ সোমবার সিএবিকে চিঠিও পাঠাচ্ছে মোহনবাগান। ক্লাবের সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু বলে দিলেন, “এটা অন্যায়। কেন বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও রবিবার ম্যাচ ফেলা হল? তার পর ইস্টবেঙ্গল কর্তারাও যখন রাজি ছিলেন, তখন কেন দু’টো টিমকে যুগ্মজয়ী ঘোষণা করল না সিএবি? উল্টে বলা হল, নিয়ম নেই!” মোহনবাগান ক্রিকেটের সর্বময় কর্তা আরও প্রশ্ন তুলছেন, “কীসের নিয়ম? সিএবি-র খেলা চেন্নাইয়ে হবে নিয়মে ছিল? নক আউট ফাইনাল চেন্নাইয়ে হলে বড়জোর আরও লাখ দু’য়েক বেশি খরচ হত সিএবি-র। দরকারে আমরাই টাকাটা দিয়ে দিতাম। কিন্তু এ ভাবে টুর্নামেন্ট ফের কলকাতায় টেনে এনে প্রহসন করা হল কেন? সিএবি-র বার্ষিক অনুষ্ঠানে মোহনবাগান থাকছে না। আমরা প্রতিবাদপত্র সিএবিকে পাঠিয়ে দেব।” |
 |
সেই টস। জয়ী অধিনায়ক শিবসাগর সিংহ মুদ্রা তুলছেন। ডান দিক থেকে দ্বিতীয়
অলোক ভট্টাচার্য। যাঁর এই ম্যাচেই শেষ আম্পায়ারিং। রবিবার ইডেনে। -নিজস্ব চিত্র |
এ দিন নক আউট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে ঝামেলার শুরু দুপুর দেড়টা নাগাদ। মধ্য কলকাতায় সকাল থেকে বৃষ্টির জন্য ইডেনে পুরো ম্যাচ হওয়া কার্যত অসম্ভব ছিল। ঠিক হয়, ম্যাচ হবে ২৮ ওভারের। কিন্তু আট ওভার পেরোতে না পেরোতেই খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এবং টসে ফাইনালের মীমাংসা হতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মোহনবাগান শিবিরে। উত্তেজিত কর্তারা সিএবিকে কাঠগড়ায় তুলে তখনই বলতে থাকেন, “সিএবি-র অপদার্থতার জন্যই এই অবস্থা হল। এর জের অনেক দূর যাবে।” বলাবলি শুরু হয়, এ মরসুমে পাঁচটা ট্রফির মধ্যে মাত্র দু’টো ঠিকঠাক শেষ করতে পেরেছে সিএবি। পি সেন ট্রফি বাতিল। শেষ মুহূর্তে লিগ চলে গিয়েছে চেন্নাই। আর যখন লিগ চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়াই হল, তখন আর একটা ম্যাচ করতে অসুবিধাটা কোথায় ছিল?
সিএবি-র যুক্তি হল, ১৭ জুলাই থেকে চেন্নাইয়ে মাঠ পাওয়া সম্ভব হত না। কারণ চেন্নাইয়ের ঘরোয়া ক্রিকেট মরসুম চলছে। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, সিএবি-র উচ্চপদস্থ কর্তাদের একজন আবার বলে ফেললেন, ঠিকমতো চেষ্টা করলে নিশ্চয়ই একটা দিন বের করা যেত! সিএবি-র যুগ্ম-সচিব সুজন মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আমরা চেন্নাইয়ের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু লাভ হয়নি।” পাল্টা প্রশ্ন ওঠে, তা হলে নক আউট ফাইনাল ম্যাচটা ১৬ জুলাই কেন করা হল না? ওই দিনটা তো ফাঁকা ছিল। এ বার সচিব বললেন, “আমরা ইস্টবেঙ্গলকে বলেছিলাম। ওরা খেলতে চায়নি কারণ ওদের কয়েক জন ক্রিকেটারের চোট ছিল।”
যা শুনে প্রতিবাদী ইস্টবেঙ্গল শিবিরও। কোচ প্রণব নন্দী যেমন বললেন, “যেমন-তেমন করে খেলতে চাইনি। তা বলে পুরো দোষ আমাদের উপর চাপানোটাও ভুল। আর সিএবি জোর করলে কী খেলতাম না?”
চলতি বছরে গোটা ক্রিকেট মরসুমেই একের পর এক বিতর্ক তাড়া করেছে সিএবিকে। দুর্ভাগ্য এমনই যে, শেষ দিনেও রেহাই মিলল না। |
|
|
 |
|
|