সরকার বলছে, ডিমা হাসাও জেলায় আর জঙ্গি উপদ্রব নেই। কিন্তু রেলের ব্রড গেজ প্রকল্প এবং ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর নির্মাণের কাজে নিযুক্ত বিভাগীয় অফিসার এবং ঠিকাদারদের বক্তব্য একেবারেই অন্য রকম। তাঁদের অভিযোগ, ডিমাসা জঙ্গিরা খাতায়কলমে অস্ত্রবিরতি পালন করে চললেও ডিমা হাসাও জেলায় জঙ্গি সমস্যা নেই, এ কথা একেবারেই বলা যাবে না। হয়তো আগের
থেকে সামান্য কমেছে। আর এই জঙ্গি আতঙ্কের জেরেই দক্ষিণ
অসমের এই দুই বৃহৎ প্রকল্পের কাজে গতি আসছে না।
ডিএইচডি-র দিলীপ নুনিসা এবং জুয়েল গারলোসাউভয় গোষ্ঠীর ক্যাডাররাই এখন সরকারের ডেজিগ্নেটেড ক্যাম্পে। উভয় গোষ্ঠীই এখন অস্ত্র বিরতি মেনে চলছে বলে দাবি করে। কিন্তু শিবিরে থাকলেও তাদের জঙ্গিপনা অব্যাহত এমনই অভিজ্ঞতা অধিকাংশ মানুষের। রেলের অফিসাররা জানান, চাঁদা আদায়, হুমকি, কাজ বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনা এখনও মাঝেমধ্যেই ঘটছে। আগের থেকে হয়তো সামান্য কম এইমাত্র। এখনও বেশ কিছু ঠিকাদার শুধুমাত্র জঙ্গি আতঙ্কের কারণে ডিমা হাসাওয়ে কাজ করতে চান না। একই কাজে বারবার টেন্ডার ডেকেও ঠিকাদার মেলে না। ফলে কাজ করানোই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্য জায়গায় যেখানে কাজ পাওয়ার জন্য ঠিকাদাররা বিভাগীয় অফিসারদের অফিসে ঘোরাঘুরি করেন, সেখানে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ প্রকল্পে ঠিকাদারদের ধরাধরি করে কাজ দিতে হয়। রেলের পদস্থ এক অফিসার জানান, ব্রডগেজ প্রকল্পের কাজ করছেন, এমন সব ঠিকাদারদের কাছে প্রায়ই মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে জঙ্গিরা। আপত্তি করলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ জন্যই ব্রডগেজের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।
প্রায় একই সুরে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অব ইন্ডিয়া-র ম্যানেজার (টেকনিক্যাল) অজয়শঙ্কর কুণ্ডু বলেন, “এখনও ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর নির্মাণে জঙ্গিরা বাধা দেয়। চাঁদার জন্য ঠিকাদারদের ভয় দেখায়।” তবে ডিমা হাসাও জেলার পুলিশের দাবি, প্রকল্প দুটির রূপায়ণে অস্বাভাবিক বিলম্বে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। সেজন্যই কর্তৃপক্ষ জঙ্গি সমস্যার অজুহাত দেখাচ্ছেন। |