ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট সরকার পিতৃত্বের ছুটি (পেটারনিটি লিভ) চালু করার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বাদল চৌধুরীর কাছ থেকেই এই আভাস মেলে। তবে কবে থেকে এ ব্যবস্থা চালু হতে পারে তার কোনও দিনক্ষণ তিনি জানাননি।
ঘটনা হল, ত্রিপুরায় পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন আর ১৮ মাস পরে। ওই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সে দিকে লক্ষ্য রেখে আগামী মার্চের মধ্যেই রাজ্যর বিভিন্ন সরকারি দফতরে আরও চাকরি দেওয়ার কথা জানাল বামফ্রন্ট সরকার। এ বিষয়ে মন্ত্রিসভাতে আলোচনাও হয়ে গিয়েছে একপ্রস্থ। এরই পাশাপাশি, বিধানসভায় বিধায়করা দাবি তুলেছেন, দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ‘পিতৃত্বকালীন’ ছুটি দেওয়া হয় সরকারি কর্মচারীদের, ত্রিপুরাতেও তা চালু করা হোক।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বাদল চৌধুরী সম্প্রতি জানান, এ রাজ্যেও ‘পিতৃত্বকালীন ছুটি’ চালু করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। বিধানসভায় প্রসঙ্গটি ওঠায় জানানো হয়েছে, অন্য রাজ্য কে কত দিন ‘পিতৃত্বকালীন’ ছুটি দিচ্ছে, তার খোঁজখবর নিয়ে তবেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ধরনের ছুটি যে প্রয়োজন তা বাদলবাবু স্বীকার করে নিয়েছেন। যদিও এ রাজ্যে ‘মাতৃত্বকালীন’ ছুটি আরও বাড়ানোর কোনও সম্ভাবনা এ মুহূর্তে নেই।
সরকারে বিভিন্ন দফতরে, বিশেষ করে অর্থ, পূর্ত, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদি দফতর থেকে গত কয়েক বছরে বহু কর্মী অবসর নেওয়ায় পদগুলি খালি পড়ে রয়েছে। তা ছাড়া দফতরের প্রয়োজনেও কর্মী সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ভাল নয় মেনে নিয়েও অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবর্ষ (২০১২-২০১৩) শুরু হওয়ার আগে সরকারি বিভিন্ন দফতরে প্রায় ১৩-১৪ হাজার চাকরি দেবে রাজ্য সরকার। এবং এটা রুটিন মাফিক প্রক্রিয়ারই অঙ্গ। বাদলবাবু জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আর্থিক বঞ্চনা’র কারণে রাজ্য অসুবিধায় পড়লেও রাজ্যের ‘উন্নয়ন প্রক্রিয়া’ স্তব্ধ হবে না। ত্রিপুরার নবনির্মিত বিধানসভা ভবনের উদ্বোধনে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের। প্রধানমন্ত্রী যদি আসেন, তাহলে ত্রিপুরা প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। |