|
|
|
|
দুই পঞ্চায়েতের মাঝে আটকে রাস্তার কাজ, বিপাকে পড়ুয়ারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নানুর |
একটি রাস্তার দুই প্রান্ত ছুঁয়েছে দু’টি ভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকা। আর সেই রাস্তার মাঝে রয়েছে কচিকাঁচাদের স্কুল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় মাটির রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অথচ দু’টি পঞ্চায়েতের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় বৃষ্টিতে কষ্ট করে যেতে হয় নানুরের নওয়ানগরডাঙ্গা প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নানুরের জলুন্দি পঞ্চায়েতের দিঘিরপাড় থেকে নওয়ানগর-কড্ডা পঞ্চায়েতের নওয়ানগর-ডাঙ্গা গ্রামের সংযোগকারী রাস্তার পাশেই রয়েছে ওই প্রাথমিক স্কুলটি। রাস্তার দুই প্রান্তের দু’টি গ্রাম থেকে মোট ৬৭ জন স্কুলে আসে। পৌনে ১ কিলোমিটার রাস্তার কিছু অংশ জলুন্দি পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। বাকিটা নওয়ানগর-কড্ডা পঞ্চায়েতের অধীনে। মাটির রাস্তাটি মোরাম অথবা কংক্রিটের করার কথা ছিল। কিন্তু সংস্কারের ব্যাপারে দুই পঞ্চায়েত সমান উদাসীন বলে অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। নওয়ানগর-ডাঙ্গা গ্রামের ইসমাইল শেখ, দিঘিরপাড় গ্রামের সালাম খানদের অভিযোগ, “উন্নতমানের রাস্তা নির্মাণ বা সংস্কারের দাবি জানাতে গেলে দু’টি পঞ্চায়েতেই একে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে। আখেরে আমাদেরই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।” |
 |
জল-কাদা ডিঙিয়ে স্কুলের পথে পড়ুয়ারা। ছবি: সোমনাথ মুস্তাফি। |
এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে স্কুল পড়ুয়ারা। চতুর্থ শ্রেণির মামনি খাতুন, তৃতীয় শ্রেণির মেহেরুল খানদের কথায়, “বছরের অন্যান্য সময়ে ওই রাস্তা দিয়ে যেতে খুব একটা সমস্যা হয় না। তবে বর্ষাকালে রাস্তা কাদা হয়ে যায়। আছাড় খেতে খেতে স্কুলে যেতে হয়। মাঝে মধ্যে মাঠের জল রাস্তায় উঠে আসে। তখন আমাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।” প্রধান শিক্ষক বিকাশচন্দ্র দাস বলেন, “এমনিতে রাস্তার বেহালের জন্য অনেকে আমাদের স্কুলে ভর্তি হতে চায় না। যে কজন ভর্তি হয়, বর্ষাকালে উপস্থিতির হার কমে যায়। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও রাস্তার হাল ফেরেনি।”
নওয়ানগর-কড্ডা পঞ্চায়েতের প্রধান, সিপিএমের হৃদয় থান্দারের সাফাই, “সত্যিই রাস্তাটির হাল খারাপ। কেন এত দিন রাস্তাটি সংস্কার হয়নি বলতে পারব না। তবে আমাদের পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে রাস্তার যে অংশ রয়েছে মোরাম দেওয়ার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। শীঘ্রই কাজের বরাত দেওয়া হবে।” অন্য দিকে জলুন্দি পঞ্চায়েতের আরএসপি প্রধান হাসিবুর রহমানের কথায়, “ওই রাস্তার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। তবে পাশের পঞ্চায়েত যদি তাদের অংশে মোরাম দেয়, আমরাও যথাযথ ব্যবস্থা নেব।” পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামলী প্রধান বলেন, “রাস্তা সংস্কারের জন্য দুই পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলব।” |
|
|
 |
|
|