নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
আইএনটিটিইউসি-র মহকুমা কর্মী সম্মেলনে এসে জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা করলেন না সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দোলা সেন। রবিবার এই অধিবেশনে প্রথমে একই কারখানায় দলের একাধিক সংগঠন থাকা চলবে না বলে জানালেও, কর্মীদের চাপে সভা শেষে দুর্গাপুর ইস্পাতে দলের দুই সংগঠনের কাজেও সম্মতি জানালেন তিনি।
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় আইএনটিটিইউসি-র স্থায়ী শ্রমিকদের একটি সংগঠন রয়েছে। আবার কারাখানায় ঠিকা শ্রমিকেরা আইএনটিটিইউসি-রই একটি আলাদা সংগঠন করেছেন। সভার শুরুতে দোলা সেন জানান, একই কারখানায় আইএনটিটিইউসি-র একাধিক সংগঠন থাকা চলবে না। তা অবশ্য কার্যকরী হল না। এ দিন সভার শুরু থেকেই আইএনটিটিইউসি সমর্থকেরা নিজেদের নেতাদের হয়ে জোরালো সওয়াল করেন। শেষ পর্যন্ত দোলাদেবীও দুর্গাপুর ইস্পাতে দু’টি সংগঠনই কাজ করবে বলে জানান। তাঁর যুক্তি, দু’টি সংগঠন দু’ধরনের শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করছে। সুতরাং সেখানে দু’টি সংগঠনই থাকতে পারে। কিন্তু দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড, দক্ষিণবঙ্গ রাস্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বা বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় এই যুক্তি না খাটায় সমস্যা মিটল না।
এ দিন অধিবেশনে জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা না হওয়াতেও তাঁরা হতাশ বলে জানিয়েছেন উপস্থিত প্রায় আড়াই হাজার কর্মী-সমর্থক। প্রেক্ষাগৃহের আসন সংখ্যা ১৪০০। তাই এত কর্মী-সমর্থক আসায় সভায় কিছুটা বিশৃঙ্খলাও দেখা দেয়। এ দিকে, দলের কয়েক জন বিধায়ক না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন কিছু সমর্থক। দোলাদেবী তাঁদের জানান, ওই বিধায়কদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এর পরে তাঁরা শান্ত হন। আইএনটিটিইউসি কী ভাবে সংগঠন পরিচালনা করবে, এ দিন তার নির্দেশিকাও দেন দোলাদেবী। জানানো হয়, প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও শ্রমিকদের কাছে আন্দোলনের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করতে এখন থেকে শ্রম কমিশনারকেও আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে, নেতারা কুপন ছাপিয়ে চাঁদা তুলতে পারবেন না, সংগঠনের নেতৃত্বে থাকবেন শ্রমিকরাই। এছাড়াও কারখানায় ঠিকা শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সিটুর সঙ্গে ৫০-৫০ ভাগ করে নেওয়ার কথা জানানো হয়। |