সোওজা ব্যাগবাজার চলে যান, কুইক
সাজ শেষে একটি ব্যাগ। তা আবার যেমন তেমন নয়। জমকালো আর অবশ্যই পোশাকের সঙ্গে মানানসই। নইলে? সাজটাই যে মাঠে মারা যাবে। কারণ ব্যাগ এখন তো শুধু প্রয়োজনের জন্যই নয়, ফ্যাশন-এর অন্যতম আনুষঙ্গিকও বটে। বলা ভাল, সব সাজের ফিনিশিং টাচ। তাই তো নিত্যনতুন গড়নে, নতুন রঙে, নতুন নতুন নকশার ব্যাগ এসেছে বাজার জুড়ে। দেখলেই ভালবেসে ফেলতে হয়। মন বলে, এমন একটি যদি আমার না হয়, তবে জীবনে আর রইল কী?

নতুন ট্রেন্ড
এক সময় লম্বা বাহারি ব্যাগের কদর ছিল আকাশছোঁয়া। কিন্তু এখন ট্রেন্ড বড়সড় ব্যাগের। চওড়ায় বড় আর দৈর্ঘ্যে খাটো। সঙ্গে চওড়া স্ট্র্যাপ। এ রকম গড়নের ব্যাগই বিকোচ্ছে রমরমিয়ে। যা কিনা প্রয়োজন আর ফ্যাশন-এর মেলবন্ধনও বটে। ভেতরে জায়গা অনেকখানি। আবার দেখতেও ফাটাফাটি। ব্যাগ-বাজারে হিট এয়ারহোস্টেস ব্যাগ। চৌকো ও ভারিক্কি চেহারার এই সব ব্যাগ মূলত অফিসের জন্যই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এ রকম একটি ব্যাগ কাঁধে ঝোলালেই ব্যক্তিত্ব আলাদা মাত্রা পাবে।
আসলে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফ্যাশন যেমন বদলায় তেমনি পুরনো ফ্যাশন-এর আনাগোনা চলতেই থাকে। ফ্যাশন-এর সেই ফর্মুলা মেনে ফিরে এসেছে পুরনো ডে-ব্যাগ। ঠিক যেমনটি থাকত সত্তরের দশকের সাদা-কালো ছবির ফ্যাশন দুরস্ত নায়িকাদের হাতে। শরীরে শিফন শাড়ি, চোখে রেট্রো লুক-এর রোদচশমা আর হাতে মানানসই ডে-ব্যাগ। পুরনো ধাঁচে নব্য ফ্যাশন।
শুধু গড়নে নয়, ব্যাগ তৈরি হচ্ছে রকমারি উপাদানেও। লেদার-এর পাশাপাশি লেদার লুক-এর ব্যাগের চাহিদা এখন তুঙ্গে। এক সময় লেদার-এর ব্যাগ না হলেই ভ্রূ কুঁচকে যেত। যেন সস্তা, খেলো ব্যাগ। সময় বদলে গিয়েছে। উঠে এসেছে ফোম, পলিয়েস্টার, কর্ড, সুতির কাপড়ের আকর্ষণীয় সব ব্যাগ। প্যু-লেদার’এর নরম ব্যাগগুলো তো আজকালকার তন্বীদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়। চটের ব্যাগও ফ্যালনা নয়। আবার ডেনিম-এর তৈরি ব্যাগ যেমন ট্রেন্ডি তেমনি টেকসই।
বাহারের পাশাপাশি বর্ণেও এখনকার ব্যাগ নজর কাড়ছে। পোশাক যে রঙেরই হোক, বাজার ঘুরলেই মিলবে মানানসই ব্যাগ। আর রংচঙে ব্যাগের পাশে স্ব-মহিমায় বিরাজ করছে সাদা রঙের ব্যাগ। ছিমছাম অথচ ডিগনিফায়েড। এখন কলকাতাতেও পাওয়া যাচ্ছে বিদেশি ব্যাগের রকমারি সম্ভার। নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ফ্রান্স বা লন্ডন-এর মোলায়েম ও ট্রেন্ডি লুক-এর এই সব ব্যাগ সত্যিই নজর কাড়ে। পাবেন বিভিন্ন শপিং মলে। দাম শুরু ২০০০ টাকা থেকে।

জমকালো সাজে
সাজ যদি হয় জমকালো, তবে হাতেও চাই জম্পেশ একটি ব্যাগ। এই সব ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল সংগ্রহে যদি থাকে দুই-একটি ক্লাচ ব্যাগ। সোজা কথায় যাকে বলে ইভনিং ব্যাগ। এই ধরনের ব্যাগগুলো সাধারণত হয় ডুয়াল স্টাইল-এর। হাতে নেওয়া তো যায়ই, সরু চেন-এর সাহায্যে কাঁধেও ঝোলাতে পারেন। নকশাও নজরকাড়া। কোনও ব্যাগের শরীর ঢাকা নরম পালকে, কোনওটায় আবার স্যাটিন-এর কাপড়ের নকশাদার আবরণ। আবার কোথাও ব্যাগের গা বেয়ে ঝুলছে নরম একগোছা ঝালর।
তবে এখন বেশ জনপ্রিয় ছোট্ট বক্স-এর মতো দেখতে ক্লাচ ব্যাগ। উপরে সোয়ারভ্স্কি স্টোন-এর জমকালো নকশা বা ছিমছাম সাজ। আবার মেটাল বডির ক্লাচ ব্যাগও দারুণ দেখতে। পাবেন রকমারি শেপ-এ। যেমন ঝিনুকের আকৃতির ক্লাচ ব্যাগ। দেখলে বোঝাই যাবে না সেটি ব্যাগ। এই রকম একটি ব্যাগ আপনার সাজের অনেকখানি দায়িত্ব নিয়ে নেবে। ক্লাচ ব্যাগের পরিবর্তে নিতে পারেন মেটাল-এর তৈরি বটুয়া ব্যাগও। এত দিন বটুয়া ব্যাগ মানেই ছিল রাজস্থানি নকশার জমকালো সাজ। মোটামুটি ভাবে ৩৫০ টাকা থেকে পাওয়া যায় এ রকম ব্যাগ। এখন পাওয়া যাচ্ছে রংচঙে পাথর সেটিং জমকালো মেটাল-এর বটুয়া। অক্সিডাইজ্ড লুক। জমকালো সাজের জন্য আদর্শ। দাম মোটামুটি ৫০০০ টাকা।
Previous Item Utsav First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.