টুকরো খবর
|
এ বার নিরাপত্তা জোরদার হচ্ছে বিধানসভার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মুম্বই বিস্ফোরণের প্রেক্ষিতে রাজ্য বিধানসভায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার রঞ্জিত পচনন্দার সঙ্গে আলোচনা করেন।
ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে স্পিকার এ দিন বিধানসভা চত্বর পরিদর্শন করেন। পরে স্পিকার জানান, বিধানসভার বিভিন্ন গেটে নিরাপত্তার ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন। বিশেষত, বিধানসভার ৬ নম্বর গেট সংলগ্ন কলকাতা হাইকোর্টের চত্বরে গাড়ি রাখার ব্যাপারে পুলিশকে কড়া নজরদারি করার ব্যবস্থা করতে বলেছেন স্পিকার।
ইতিমধ্যেই বিধানসভার পশ্চিম দিকের গেটে দর্শনার্থীদের তল্লাশির জন্য স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে। ডেপুটি স্পিকার বলেন, “সোমবার থেকে বিধানসভার নিরাপত্তার কাজে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের ইউনিফর্ম পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট ও বিধানসভা সংলগ্ন এলাকায় পার্ক করে রাখা গাড়ির উপরে নজরদারি করার জন্য স্পিকার পুলিশের কর্তাদের বলেছেন।” আগামী ১০ তারিখ থেকে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
|
প্রজাতন্ত্র দিবসের শোভাযাত্রায় ফের রাজ্যের ট্যাবলো
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আগামী বছর দিল্লির রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের শোভাযাত্রায় ট্যাবলো পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় পরে এই শোভাযাত্রায় অংশ নিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। এই শোভাযাত্রার দায়িত্ব থাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হাতে। ১৯৯৯ সালে পোখরান পরমাণু পরীক্ষার পরে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার পরমাণুমুক্ত বিশ্ব নিয়ে ট্যাবলো পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সেই নকশা পাশ করেনি। এর পর থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক প্রতি বছর আমন্ত্রণ জানালেও পশ্চিমবঙ্গ ট্যাবলো পাঠায়নি।
রেলমন্ত্রী হওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যাবলো পাঠানো নিয়ে উৎসাহ দেখান। ২০১০-এর শোভাযাত্রায় রেলের তরফ থেকে দুরন্ত এক্সপ্রেসের নকশা নিয়ে ট্যাবলো পাঠানো হয়। এ বছর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ট্যাবলো পাঠানো হয়েছিল। এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকেও ট্যাবলো পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন।
|
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী রাজ্যসভার ৬
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রত্যাশিত ভাবেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ রাজ্য থেকে নির্বাচিত হলেন রাজ্যসভার ৬ প্রার্থী। পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় ৬টি শূন্য আসনে ৬ জনই প্রার্থী ছিলেন। রাজ্য বিধানসভার বিধায়কদের সংখ্যার বিচারে তৃণমূলের ৪, কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের একটি করে আসনই প্রাপ্য ছিল। মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় সীমা পেরিয়ে যাওয়ার অব্যবহিত পরেই শুক্রবার বিকালে রাজ্য বিধানসভার সচিব যাদবলাল চক্রবর্তী ৬ প্রার্থীকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বলে ঘোষণা করেন।
শাসক জোটের তৃণমূলের প্রার্থী দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায় ও সৃঞ্জয় বসু এবং কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যের হাতে এ দিনই বিধানসভার সচিব জয়ীর শংসাপত্র তুলে দেন। সিপিএমের প্রার্থী সীতারাম ইয়েচুরি এখন দেশের বাইরে। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র জানান, সোমবার কলকাতায় এসে ইয়েচুরি শংসাপত্র নিতে পারেন। শাসক জোটের জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানান বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকারের ঘরে তাঁর সঙ্গে জয়ী সাংসদেরা দেখা করলে বিমানবাবু বলেন, “যাঁরা জয়ী হয়েছেন, তাঁরা সকলেই যোগ্য ও অভিজ্ঞ। পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য তাঁরা কাজ করবেন, ওঁদের কাছে এটাই আমাদের আবেদন।”
|
বনকর্তাকে সরানো নিয়ে নির্দেশ স্থগিত
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল অতনু রাহাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট যে-নির্দেশ দিয়েছে, তার উপরে অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি ডি কে জৈন এবং বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশ দিয়েছে। ২৯ জুলাই ওই মামলার শুনানি হবে। রাজ্যের বন দফতরের এক কর্তা এম এ সুলতান হাইকোর্টে অভিযোগ জানান, তাঁকে বঞ্চিত করে প্রধান মুখ্য বনপাল (জেনারেল)-এর পদে অতনুবাবুকে বসানো হয়। মামলার নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত প্রধান মুখ্য বনপাল হিসেবে অতনুবাবুই কাজ চালাবেন।
|
বেশি কেরোসিন চাইল রাজ্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেরোসিন তেলের কোটা ২৫-৩০ শতাংশ বাড়াতে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হলেন খাদ্য ও সরবরাহমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আজ কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী জয়পাল রেড্ডির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বর্তমানে রাজ্যকে মাসে প্রায় ৮০ হাজার কিলোলিটার কেরোসিন দিয়ে থাকে কেন্দ্র। পাহাড়, জঙ্গলমহল ও আয়লা-বিধ্বস্ত এলাকার মানুষের জন্যই অতিরিক্ত ২৫-৩০ শতাংশ বরাদ্দের দাবি রাখেন তিনি। পরে জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, ‘‘আদিবাসী এলাকাগুলিতে কেরোসিনের বরাদ্দ বাড়ানো যায় কি না তা দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন জয়পাল।”
|
শেষের পথে বিধান পরিষদের আলোচনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিধান পরিষদ জিইয়ে তোলার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি নিয়ে আর কালহরণ করতে চায় না অ্যাড হক কমিটি। ১ অগস্ট চূড়ান্ত বৈঠক করে কমিটির প্রস্তাব তৈরি করা হবে। কমিটির মত বিধানসভার আগামী অধিবেশনেই পেশ হবে। বিধান পরিষদ কমিটির দ্বিতীয় পূর্ণাঙ্গ বৈঠক ছিল শুক্রবার। কিন্তু বিধান পরিষদ নিয়ে সরকার আর বিরোধী বাম পক্ষের বাদানুবাদ দেখে ঠিক হয়, আর বিশেষ বৈঠক ডাকা হবে না। |
|