|
|
|
|
|
|
|
সঙ্গীত সমালোচনা... |
|
উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ |
আশিস চট্টোপাধ্যায় |
সম্প্রতি এক সঙ্গীত সন্ধ্যায় তপন থিয়েটারে মুরারি স্মৃতি সঙ্গীত সম্মিলনীর উদ্যোগে সঙ্গীতজ্ঞ মনোজমোহন মিশ্রের শতবর্ষ উদযাপিত হল। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন সঙ্গীত-শিল্পী অরুণ ভাদুড়ী ও ফাল্গুনী মিত্র। এর পরে মুরারি স্মৃতি আয়োজিত সর্বভারতীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় যে সমস্ত প্রতিযোগী কণ্ঠসঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত ও নৃত্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন তাঁদের নিয়ে গান-বাজনা-নাচের আসর বসে। ডোনা পাত্র, শ্রীরূপা ভট্টাচার্য, সঙ্গীতা চন্দ্র ও প্রেরণা ঘোষের সঙ্গীত পরিবেশনের পর অয়নাংশু ও অর্ণব মুখোপাধ্যায় রাগ যোগ এবং বাগেশ্রী পরিবেশন করে মনোরঞ্জন করেন। কৌশিক দাসের মধুবন্তী খেয়াল স্বল্প পরিসরে মনোগ্রাহী হয়ে ওঠে। পরবর্তী সেতারের অনুষ্ঠানে সৃজনী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরিয়ার বিশ্লেষণ শ্রোতাদের সপ্রশংস অভিনন্দন আদায় করে। অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তবলা সহযোগিতা প্রশংসার দাবি রাখে। জ্যোতির্ময় রায়চৌধুরীর তবলা লহরা এ দিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ মাত্রা যোগ করে। পরিচ্ছন্ন রেওয়াজি হাতের বাজনা উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আভাস আনে। মুরারি স্মৃতির অধ্যাপিকা তাপসী মিশ্রের পরিচালনায় ছাত্রছাত্রীদের সমবেত সঙ্গীত ভাল লাগে। শেষে নৃত্যের বিভিন্ন ধারার রূপায়ণে অয়ন্তিকা বাগ, নীতিশ্রী কুন্ডু, স্বয়াস্তিকা সিংহ রায় ও বিনতা চক্রবর্তী উপভোগ্য হয়ে ওঠেন।
|
এ শুধু গানের দিন |
পূরবশ্রী প্রেক্ষাগৃহে ‘এ শুধু গানের দিন’ অনুষ্ঠানের শুরুতেই মৃগাঙ্গ সরকার শুনিয়েছেন, ‘জীবনে আমার’। অপালা বসুর খাম্বাজ রাগের উপর দাদরা তালে ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে’ গানটিতে স্বরক্ষেপণে দুর্বলতা রয়েছে। তন্দ্রা মহলানবিশ গাইলেন বাউলাঙ্গের ‘তুমি হঠাৎ হাওয়া’। সুনন্দা ঘোষের ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ ও ‘পিনাকেতে লাগে’ মনোরম, প্রশংসনীয়।
|
সুর ও সাধনায় |
সম্প্রতি ‘সুর ও সাধনা’র পরিচালনায় কলকাতা টাউন হলে অনুষ্ঠিত হল ‘এই প্রভাতে সেই আমি’। সংস্থার নবম বর্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে গান শোনালেন নবীন ও প্রবীণ শিল্পীরা। শুরুতেই প্রবীণ শিল্পী অদিতি সেনগুপ্তকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাঁর হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দিলেন রাজেশ্বর ভট্টাচার্য ও রামেন্দু চট্টোপাধ্যায়। যে সব শিল্পী গান শোনালেন, তাঁরা হলেন এণাক্ষী চট্টোপাধ্যায়, আশিস ভট্টাচার্য, শম্পা কুন্ডু, অগ্নিভ বন্দ্যোপাধ্যায়, কিংশুক রায়, দেবারতি সোম, সুছন্দা ঘোষ প্রমুখ। রবীন্দ্রগানের মাধ্যমেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানান শিল্পীরা। কিংশুক এ দিন যে দু’টি রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনালেন তা শ্রোতাদের ভূয়সী প্রশংসা পায়। চান মুখ্যমন্ত্রী। চান, মানুষের কাছে গিয়ে সিপিএম-এর কর্মীরা তাদের কথা শুনুন| চান, মানুষের উপরে দলের 'মাতব্বরী' বন্ধ হোক! |
|
|
|
|
|