পূর্ব কলকাতা: লেকটাউন, বারাসাত
চাপান-উতোর
মর্জির অটো
ত্তর ২৪পরগনার একাধিক রুটে ট্রাফিক পুলিশের সামনে দিয়েই অবাধে যাতায়াত করছে ডিজেল ও কাটা তেলে চালিত অটো। এমনই অভিযোগ উঠল।
আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী গ্যাস ছাড়া অন্য জ্বালানিতে চালিত অটো রাস্তায় দেখা মাত্রই পুলিশ তা আটক করবে। কিন্তু বারাসত চাঁপাডালি মোড়ে অটোস্ট্যান্ডগুলো ঘুরলে দেখা যাবে গ্যাস-চালিত অটোর সঙ্গে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ডিজেল বা কাটা তেলে চালিত অটো। আশপাশের গুমটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে কাটা তেল। অথচ এখানে সবসময় দাঁড়িয়ে থাকেন ট্রাফিক সার্জেন্ট সহ ছয় সাত জন ট্রাফিক পুলিশ কর্মী। কিন্তু ধরপাকড়ের পরিবর্তে সকলেই ব্যস্ত থাকেন যানজট ছাড়াতে।
বারাসত কলোনি মোড়। বারাসত শহরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উত্তরবঙ্গ ও নদিয়াগামী দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটের একমাত্র বাস স্টপ। বারাসত স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে অটো এই রাস্তার উপর দিয়ে হৃদয়পুর ও মোচপুল যায়। বারাসত স্টেশন থেকে হৃদয়পুর রুটে কিছু গ্যাস-চালিত অটো থাকলেও মোচপুল যাওয়ার রুটে একটিও গ্যাস-চালিত অটো নেই। এ ছাড়াও এখানে রয়েছে কলোনি মোড় চাঁপাডালি রুটের অটো স্ট্যান্ড। এই মোড়ে দু’জন ট্রাফিক কর্মী থাকলেও ডিজেল কাটাতেল চালিত অটো ধরপাকড়ের কোনও রেকর্ড নেই। ঢিল ছোড়া দূরত্বে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের হেলা বটতলা মোড়। হেলাবটতলা মোড়ের দুই রুটের অটোস্ট্যান্ডেও রয়েছে একাধিক ডিজেল ও কাটাতেলে চালিত অটো।
যশোহর রোডের মধ্যমগ্রাম বিরাটি মোড়ে এলে দেখা যাবে মধ্যমগ্রাম বাদু, মধ্যমগ্রাম সোদপুর, বিরাটি বেলঘরিয়া, দুর্গানগর মাঝেরহাটি সহ চারপাশের এলাকার বিভিন্ন রুটে অসংখ্য ডিজেল ও কাটাতেলে চালিত অটো যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করছে।
একটি কাটাতেলে চালিত অটোর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চালক বলেন, ‘‘সময়মতো গ্যাস-চালিত অটোর জন্য আবেদন করিনি তাই এখনো পাইনি। আর এখন চাইলেই যে পাওয়া যাবে এমন নয়। নির্দিষ্ট সংখ্যার পর আর অটো পাওয়া যাচ্ছে না।’’
তৃণমূলের ট্রেড ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি (বারাসত) তাপস দাশগুপ্ত বলেন “এই রুটগুলিতে কয়েকশো অটো আছে যারা নতুন অটো ও রুট পারমিট পায়নি। তাদের রাস্তায় চলতে সমস্যাও হয়। আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরে বহু বার ডেপুটেশন দিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন ‘‘বিভিন্ন রুটে কাটা তেলে চালিত অটো চলছে কি না তা দেখার দায়িত্ব বিভাগীয় পরিবহণ দফতরের। আমরা কেবল ফোর্স দিয়ে সাহায্য করতে পারি।”
বারাসতের আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক (ভারপ্রাপ্ত) সমীর প্রামাণিক বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভা এলাকায় কলকাতা পুলিশ সব কিছু দেখভাল করে। রাজ্য পুলিশের আলাদা করে ট্রাফিক বিভাগ রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে, তার পরেও তারা কেন ধরপাকড় করছে না জানি না।’’
ছবি: সুদীপ ঘোষ
Previous Story

Kolkata

Next Story




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.